শিক্ষক বন্দনা
সৈয়দ শীষ মুহাম্মদ
তুমিই হলে মাস্টার,
শিক্ষা দাতা তুমি,
তুমি ছাড়া সমাজটা
হয় যে মরুভূমি।
রোগ ব্যাধি সেরে যায়
তোমার ছোঁয়ায়,
মরা গাছে ফুল ফোটে
তোমার দয়ায়।
দশ তুমি, দেশ তুমি,
তুমি পিতা-মাতা,
শিক্ষা তুমি, মুক্তি তুমি,
তুমি শক্তি দাতা।
চন্দ্র তুমি, সূর্য তুমি,
তুমি জ্বালো আলো,
তুমিই আসল নেতা-
যে করও ভালো।
সমাজ সেবক তুমি,
দিয়ে দিলে সব,
তুমি ছাড়া আর কে বা
এ সেই গৌরব।
যে গৌরবে দেশ দশ
গর্বিত হয়,
তোমায় হৃদয় দিলে
জীবন জয়।
সমাজে কজন বোঝে
তুমি হলে স্টার,
যাকে বলে আমাদের
প্রিয় সে মাস্টার।
কবি সৈয়দ শীষ মহাম্মদ ওরফে- ডাকু মীর ভারতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলার নওদা থানাস্থিত জলঙ্গী নদীর পশ্চিম-দক্ষিণ পাড়ে রঘুনাথপুর গ্রামে সম্ভ্রান্ত সৈয়দ বংশে ১৯ শে মার্চ ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন, পিতা- কবি ও সমাজসেবী সৈয়দ আহাসান আলী, মাতা- সৈয়দা চাহাতুন্নেসা, চার ভাই দুই বোনের মধ্যে চতুর্থ ।
সাঁকোয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়াকালীন ১৯৭১ সালে বন্যা ও পূর্ব পাকিস্তানের যুদ্ধের কারণে রিফিউজি আসায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্কুল বন্ধ হয়ে যায় তখন থেকেই স্কুল শিক্ষায় অনীহা আসে ও পরবর্তীকালে স্কুলের পাঠ অনিয়মিত হয়ে উঠলেও পরিবার ও প্রকৃতির কাছ থেকে শিক্ষা লাভ করে পারিবারিক সূত্রে সাহিত্য সংস্কৃতির পরিবেশে বেড়ে ওঠেন ।
১৯৮২ সালে তরুণ বয়সে “শিশু সংকল্প” ক্লাব প্রতিষ্ঠা করে খেলাধুলা সহ নাটকের টিম তৈরি করে সুনাম অর্জন করেন ।
১৯৮৭ সালে “সোনালী প্রিন্টিং প্রেস” স্থাপন করে গ্রন্থ সম্পাদনা করতে থাকেন কিন্তু চার বছরের মধ্যেই প্রেস উঠে যায় তখন তীর্থ পর্যটনে বাহির হন এবং দীর্ঘ সময় যাবত সমগ্র ভারতবর্ষ পরিভ্রমনে বিশেষ জ্ঞান অর্জন করেন ।
১৯৯২ সালে “আদিত্য” নামক সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ করেন ।
ওভারল্যান্ড দৈনিক পত্রিকা সহ বেশ কিছু সাপ্তাহিক, পাক্ষিক সংবাদপত্রে সাংবাদিকতা করেছেন, তিনি মুর্শিদাবাদ জেলা সাংবাদিক সঙ্ঘের সক্রিয় সদস্য ।
সৈয়দ শীষ মহাম্মদ সুদক্ষ বাচিক শিল্পী এবং মঞ্চ পরিচালক, নাটক-যাত্রাপালায় অভিনয় ও পরিচালনা করেন, ইউটিউব চ্যানেলে নাট্য আন্দোলনের কর্ণাধার, বর্তমানে ১২ টি চ্যানেলে অভিনয় করছেন ।
পিতার নামাঙ্কিত সাহিত্যচর্চা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, প্রতি বছর পরিবারের সহযোগিতায় সাড়ম্বরে সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত করেন এবং গুণীজনদের সংবর্ধনা সহ পুরস্কার প্রদান করেন ।
পিতা ১৯৫৮ সাল থেকে “নবারুণ” ত্রৈ মাসিক সাহিত্য পত্রিকা শুরু করেন, পরে ১৯৯৭ সালে পিতার মৃত্যুর পরে নিজে সম্পাদক হন এবং দায়িত্ব পালন করছেন ।
তার হাত ধরে বেশ কিছু সাহিত্য পত্রিকা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং অসংখ্য ছেলেমেয়ের সাহিত্য রচনায় হাতে খড়ি হয়েছে, তিনি একজন বর্ষীয়ান সাহিত্য সংগঠক ।
কবিতা ছড়া প্রবন্ধ প্রতিবেদন ইত্যাদি রচনা করেন, বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশ হয়, প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ- জগৎ ঘর, বেহালাটা বেজেই চলেছে, ছড়ার বই- কাটা তালিকা, বিভিন্ন সংস্থা থেকে সংবর্ধিত ও পুরস্কৃত হয়েছেন ।
অসহায় পশুপাখি ও দুস্থ রুগীদের জন্য নিবেদিত প্রাণ ।
স্ত্রী- নুরজাহান বেগম, পুত্র- শাহ আলম মুর্তজা, পুত্রবধূ- রেক্সোনা পারভিন ও ছোট ভাই চিরকুমার সাধক দীন মহাম্মদ মীর কে নিয়ে পাঁচ সদস্য একত্রে আশ্রমিক পরিবেশে পিতার কবি কুটিরে বসবাস করছেন ।
সাং- রঘুনাথপুর (কবি কুটির), পোস্ট- আমতলা, থানা- নওদা, জেলা- মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত , পিন কোড নাম্বার- ৭৪২১২১
আমার এই কবিতাটি প্রকাশ করার জন্য মাননীয় সম্পাদক মহাশয়, এবং কাব্যপট পত্রিকার সবাইকে জানাই আমার আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ।
Very very nice.
Very nice
[…] শিশুর চাবি… বিশ্বনাথ সাহা […]
[…] আরও পড়ুন:-ভ্রমণ পিয়াসী : বিশ্বনাথ সাহা […]