কবি লেখকের প্রতিষ্ঠার পথ
—————————-
ঋদেনদিক মিত্রো
লেখাকে বলিলে “শখ” কিংবা “অবসর”
পাঠক ভাবিবে, এ কবির নাহি দর,
এ লেখক যাহা লেখে নাহি গভীরতা,
নাহি কোনো মূল্যবান চিন্তা স্থবিরতা,
নাহি কোনো উন্নত শৈলীর স্তর,
এ কবি লেখক তো লেখে অবসর।
লেখক যখন কহে, আমি তো লেখক,
অন্তরে, বাহিরে এই পরিচয় সব,
তখনি পাঠক ভাবে, এর আছে মূল্য,
তারই লেখা পড়ে তারা হয়ে উৎফূল্ল।
কোন্ শব্দে পরিচয় নিজেরে দেবে,
সেই মত প্রতিষ্ঠা সমাজে নেবে।
আমার লেখনি পেশা, তোমার তা নয়,
তবে বল, কেবলি লেখক শুধু,
নহে শখ, নহে অবসর,
দেখিবে কেমন আসে কাজের বিজয়।
কত জন ভালো লেখে, কিন্তু বুদ্ধি হারা,
কবি পরিচয়ে লেখে “শখ” তাহারা,
কিংবা তাহারা কে লেখে “অবসর”,
এর ফলে কত গুণী হটে বিস্তর,
যোগ্য হইয়াও পায় নাকো যোগ্য মূল্য,
নিজ দোষে নিজে করে তুচ্ছের তুল্য।
ইহারা এমনি ভাবে, অন্য চাকুরি করে —
সেই পরিচয় যদি সমাজে ধরে —
কবি পরিচয়ে দিলে “শখ”, “অবসর”,
সাহিত্য ধন্য হইবে তাহাতে বিস্তর,
পাঠক ভাবিবে, আহা, পেশা চাকুরে,
সাহিত্য করিতেছে, কত বুদ্ধি পুড়ে!
সাহিত্য হইল ধন্য — চাকুরের হাতে,
চাকুরেরা এই রূপে নিজগুন মাপে।
চাকুরেজীবি ছুঁইলো কালি ও কলম,
কাগজের পরে দিল ভাবুকের মন,
ধন্য হইল কাগজ, কলম, কালি,
ধন্য হইল কবিতা, গল্পের ডালি,
ধন্য হইল সমাজ, দেখি গুণনিধি,
কবিতা লিখিছে কোন্ চাকুরি জীবি।
আসলে উল্টোটাই হয়ে যায় তাতে,
তুমি যে স্বল্প কবি, সমাজ তা মাপে।
এবার না খুলিলে বুদ্ধি, বোঝায় কার বাপে!
লেখনিই বড় চাকরি, এই বোধে কাঁচা,
ইহারা ডিগ্রিধারী হইয়া আগাছা।
দেশের শিক্ষা শাসন এমন ভাঁড়ন,
সুশ্রেষ্ঠ কর্মরে কয়, শখের তাড়ন।
——————————
ঋদেনদিক মিত্রো, ( Ridendick Mitro ) পেশা, বাংলা, ইংরেজি, স্প্যানিস ভাযায় কবি, উপন্যাসিক, গীতিকার, কলামিস্ট। ভারত।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
—————————
আমার এই কবিতাটি প্রকাশ করার জন্য মাননীয় সম্পাদক মহাশয়, এবং কাব্যপট পত্রিকার সবাইকে জানাই আমার আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ।
Very very nice.
Very nice
[…] শিশুর চাবি… বিশ্বনাথ সাহা […]
[…] আরও পড়ুন:-ভ্রমণ পিয়াসী : বিশ্বনাথ সাহা […]