KABYAPOT.COMঐতিহাসিককবিতারেসিপি,সনেটসাহিত্য সংবাদস্বাস্থ্য চেতনাস্মৃতির স্মরণিকা

এটা কার বাড়ি? : সত্যেন্দ্রনাথ পাইন।

Spread the love

এটা কার বাড়ি?

: সত্যেন্দ্রনাথ পাইন।

 

ও ভাই! শুনছেন!

— হ্যাঁ বলুন। কাকে খুঁজছেন?

— আমি, কাকে আর খুঁজবো!

আচ্ছা এখানে পুরোনো যারা ছিল তাদেরকে দেখতে পাচ্ছি না! তাই—

ও;!!!!

বলুন।

আচ্ছা পুরোনো বাবা মায়েদের স্নেহের মায়ায় জড়িয়ে

যারা দায়িত্ব পালন করতো তারা কোথায়!?

আরে বাবা, যারা ছিল তারা আসলে স্বার্থপর হয়ে

অন্য বিগবাজারে শপিং করছে।

— ও আচ্ছা।

তবে ঐযে পুরোনো রংচটা বাড়িটা দেখছেন ওখানে কবি আবুল হোসেন থাকতেন। এখন, সেখানে উদ্দাম নাচের ফোয়ারা বসে।

সততা ও নিষ্ঠার বাড়িটা কোথায় জানেন ?!

হা হা হা( হাসি) এখন সেখানে পরনিন্দা আর পরচর্চা কীসব যেন খেয়ে মাতাল হয়ে দিগ্বিজয়ী হয়ে গেছে ।

তা ভাই, ভায়েদের সাথে করে নিয়ে প্রবল হয়ে যে মানুষ টা রোজ মাঠে খেলতে যেতো সেই লোকটা?

আরে দূর মশাই! আপনি কাকে চাইছেন বলছেন না তো!

বলছি ভাই বলছি— আমাদের যৌবন এখনো টলোমলো এলোমেলো হয়ে গেছে আমি আর সহ্য করতে পারছি না।এসময় আপনি আমাকে সরাসরি সুযোগ দিচ্ছেন কেন কিছু বুঝতে পারছি না ।

আচ্ছা মশাই, আপনি ঠিক কাকে চাইছেন বললেন না তো।

বলছি ভাই বলছি—

আচ্ছা মর্যাদা আর সম্মান তারা কোথায় জানেন!?

ও!!!!— সেখানে এখন পর্যন্ত কোনো মাতাল হতে পারে এমন জিনিস বিক্রি করে কেউ পালিয়েছে।

গৃহবধূর মৃত্যু হবে জেনে ‘বারে’ ক্যাবারে নাচতে গেছে।

আচ্ছা ঐ যে দূরে দেখতে পাচ্ছি — পুরোনো রংচটা বাড়িটা, ওখানে যাঁরা ছিলেন তাঁরা এখন কোথায়!?

ঐ বাড়িতে এখন মদ মাংসের সাথে মিলে মিশে শঠতা, আর অবিশ্বাস বাসা করেছে।

ওদের পয়সা কড়ি অনেক আছে। তবুও খেতে পারেন না। কারণ, সব সুগারের রুগী।আপনি ওদের সাথে লড়তে যাবেন না। ওরা সবাই বিষ মাল। একবার জেনে গেলেই না আপনাকেও ওদের দলে নেবে।

আপনি এসব মিথ্যা মিথ্যা কথা বলে আমাকে ঠাট্টা তামাশা করছেন না তো!

— আরে মশাই, আমি এখানে বাসা ভাড়া নিয়ে দিন কাটাতে এসেছি। ভাববেন না। আপনাদের কোনো ক্ষতিই করবো না।

বেশ তাহলে বলি– এখানে এখন যাঁরা আছেন তাঁদের সবাইকে আমি ঠিকমতো চিনি না বুঝলেন!

ব্যাঙ্গ আর বিদ্রুপ দের বাসায় এখন ঘুঘু ডেকে ভোর হয়।

তাদের কয়েক মাস আগে দেখেছিলাম। তাঁরা এখন তোলাবাজি আর চিটিং ফান্ড করে “হ্যায়” লোক!

ওদের দুজনকে কাউকেই জড়িয়ে যেন আপনি ফাঁসবেন না।।

ভালো সৎ ব্যবসাদারের যে তাঁবেদারি করতো সেই বামুন টার কী হাল!

এই রে, সেযে ভাই রাঢ়ি “বামুনের বাচ্চা” বলে পরের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে ভালোই কাটাতো এখনও সেই রকমই আছে ।

আপনি সেই চাটুকারিতার খুব ফ্যান বুঝি! পছন্দ করেন নাকি!

দূর মশাই! আমি জল পাই চাইছি। জল কোথায় পাই বলুন তো!

তাই বলুন। আমি ভাবলাম আচ্ছা গাঁজা খোরের পাল্লায় পড়েছি আমি।

এখানে গরু চোর, ধাপ্পাবাজি আর বালি চোরের মতো মানুষের পাশে আপনি দাঁড়াতে পারবেন না।

এখানে ভোট কেউ দেয় না। আপনা হতেই ছাপ্পা ভোট হয়ে যায়।

এখানে কোর্ট, থানা ,পুলিশ অফিসার সবাই ছিল। এখন তারা ঘুষের টাকা দিয়ে এক্কেবারে মন্ত্রী হয়ে গেছে।

 

আচ্ছা, সৎ নিষ্ঠার প্রতি অগাধ বিশ্বাস করে যে লোকটা ভোটে দাঁড়ালো সেই লোকটা হারলো কেন?

আরে মশাই, আপনি ঠিক কোথা থেকে আসছেন বলুন তো! অন্য কোনো গ্রহের লোক নয়তো!. আপনি জানেন না, এখানে এখন মিথ্যা আর অবিশ্বাস রাজা হয়েছে।

ওরা এখানে সবটাই কিনে নিয়েছে।

আচ্ছা ভাই আপনি ঠিক বলেছেন।আমি এখন তাহলে এখান থেকে পালাই বলুন।

আপনার জন্য শুভকামনা রইল। আপনি ভালো মতো ম্যাসাজ করে গায়ে গামছা দিয়ে পতন রোধ করুন।

নইলে!! আপনার দুর্দশা কে রুখবে!

আপনি পালান দাদা, পালান। যত শীঘ্র সম্ভব পালিয়ে বাঁচুন।।

তাই চললাম ভাই। তোমার হৃদয়ে যেটা আছে সেটা জেনেও যেন কেউ নজর না দেয়!

আমি বরং আসি ভাই, আসি! কেমন!!

শুধু মাত্র বলছি— কুয়োর ব্যাঙ না হয়ে সাগরের তুফান হতে চাও‌ তো হ ও।

অবিশ্বাস আর অস্থিরতা আর কতদিন চলবে!?

আমরা সমগ্র দেশবাসী যে একদমই অন্য জগতের বাসিন্দা।

 

আচ্ছা আমি বলছি –পাগলামী করে যারা সবসময় মানুষকে বোকা বানাতো সেই মানুষ গুলো কোথায় গেছে!

ওরা মানুষ হতে চেয়ে বৃদ্ধাশ্রমে গেছে। ওখানেও পার্টি করছে। অসম্মান অমর্যাদাকর খামখেয়ালিপনা এখানে বংশবৃদ্ধির ফলে মাঝ নদীতে গোসল করছে।।

গীতা পাঠ, চন্ডী পাঠ, সংকীর্ত্তন, ভাগবৎ পাঠ যেখানে হতো সেই জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করেছে কারা!?

জানি না। যারা অভাবী হয়তো তারাই হবে ।

অভাব হয়না , ফ্যানে ভাতে না খেয়ে শুধু টাকা ব্যাংকে জমাচ্ছিল যারা তারা সেই অকৃপণ ভদ্রলোকের নাম টা যেন কী?

নামটা বলতে পারবোনা। তবে মনে হয় তারা সবটাই দেদার খরচা করে দেউলিয়া হয়ে গেছে।

আপনি কী মিডিয়ার লোক? আপনি চলে যান নাহলে হয়তো আপনাকে খুন করতে লোক এসে হাজির হবে!!!!

আর নির্বাচন কমিশন থেকে ঘোষণা হবে — সবাই সুস্থ এবং হাসিখুশি মনে ভোট দিয়েছে। খুব শান্তি পূর্ণ ভোট হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই।

এরপর রেজাল্ট যা হবার সবটাই আগে থেকেই লেখা আছে। এখন শুধু ভোগলুমি হচ্ছে।।

আপনি এসব কদরের কথা কাউকেই বলবেন না। তাহলে আপনার নামটার আগে ঁ বসে যাবে।

এখানে মদ, জুয়া, বোমা, পিসৃতল সব রকম প্রস্তুতি আছে। মানুষের পাশে জীবন বা শান্তি নামের দূজনের কেউই নেই ‌।

আচ্ছা শান্তি দির বাড়িটা কোনটা!

আনন্দের দিদি শান্তি র কথা আর নাই বা বললেন। ওরা ভয়ে লেজ গুটিয়ে বঙ্গজ কুকুরের মত পালিয়েছে।।

“মা তারা” “মা কালী”র প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলছি– বাঁচাতে ও বাঁচতে চান তো বলুন। নাহলে পালিয়ে যান। এখনই এখানে পঞ্চায়েত সদস্যরা হাজির হবে আপনি আর পালিয়েও বাঁচতে পারবেন না তখন।

একশো দিনের কাজের টাকা দিতে না পেরে সুখে দিন কাটাচ্ছেন কামরুল সাহেব এবং সাহেবী কায়দায় থাকা সন্ন্যাসী দাদা । ওরা আরও সাঙ্ঘাতিক। ওরা ভীষণ ফেরোশাস ।

************

 

পড়ে কেমন লাগল তা জানিয়ে দিন মন্তব্যের স্থানে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *