Spread the love

করবা বল্লাল শাহ’র কিসসা

************
অরিন্দম মুখোপাধ্যায়

*********
সবেমাত্র এবছর ছাব্বিসে জানুয়ারি পর্যটকদের জন্যে খুলে দেওয়া হয়েছে এই অভয়ারণ্য  চন্দ্রপুরের খুব কাছে, মহারাষ্ট্রে। সেই বলে না যাবে কেন? খুলে দিলেই যেতে হবে? যেতে হবে আছে যখন because it is there. ব্যাস হয়ে গেল সমস্ত যুক্তি তক্কের অবসান। এখন নতুন জায়গা, থাকবো কোথায়? কে করবে ব্যবস্থা। অগত্যা, তাড়োবার ঝারানা রিসোর্টের অভিষেককে ফোন করতেই হলো। বলল চলে আসুন। আমার কাছেই থাকবেন না হয়। বলি, তুমি তো তাড়োবা আমি তো যাবো করবা। তাতে কী দাদা আমিও তো চন্দ্রপুরেই আছি আর করবা চন্দ্রপুর থেকে দশ কিমি। আমার কাছেই আসুন একটা সাফারি করুন, মটকাসুর কে দেখে তারপর বল্লারে সাফারি করুন। ব্যাপারটা খুব খারাপ নয়। ঝারানা খুবই ভালো রিসোর্ট। খাওয়া দাওয়া সবই ভালো। কটেজ এর পিছনেই তাড়োবার বাফার জোন। বারান্দায় বসেই অনেক সময় দর্শন মেলে আমাদের মতো যারা দরশ দিওয়ানা। লে আর ক্যাট বলে যাদের সেই ক্যারকল, ভাম বিড়াল, মেছো বিড়ালের দেখা মেলে এখান থেকেই। ভাগ্য ভালো থাকলে লেপার্ড বা বড় বাঘ। একসময় তাড়োবার বিখ্যাত মায়া সান্ধ্য ভ্রমণে বেরুতো এই রাস্তায়। লেপার ক্যাটদের ধর্ম হচ্ছে তারা গভীর জঙ্গল অপেক্ষা হালকা জঙ্গল পছন্দ করে। পছন্দ করে গৃহস্থ পাড়ার কাছাকাছি থাকতে। যাতে গৃহস্থ্যের হাঁস মুরগি সহজেই তুলে নেওয়া যায়। সদ্যোজাত শিশুদের পেলেও নিয়ে যায় এরা। আর লেপার্ড তো খুব ভালোবেসে কুকুর খায়। তাড়োবা আন্ধেরি টাইগার রিজার্ভ এর আর এক বিখ্যাত বাসিন্দা হল ব্লাকি। মেলানিস্টিক লেপার্ড ব্লাকি। তাডোবার ঝারানার কাছে একটা পাড় বাঁধানো ঢালাও আছে যেটার নাক বরাবর গেলেই পার্কে ঢোকার রাস্তা। এই রাস্তায় ব্লাকি অনেক সময় ঘুরে বেড়ায়। যার ফলে ঝড়নায় থাকা অনেক পর্যটক তাকে ঘুরে বেড়াতে দেখতে পায়। আমি একবার এই রাস্তা, ঢালাও এমনকি জঙ্গলের গেট পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম কিন্তু ব্লাকি দর্শন হয়নি। আফসোস আছে সেই থেকে।
যাই হোক ঝিলম গাড়ি নিয়ে এসেছিল আমি বেশ সকাল সকাল তাডোবা পৌঁছলাম। রৌদ্রজ্জ্বল আকাশ, তুলো বুনেছে মাঠে সরু ঝাঁটার কাঠির মতো ডগায় বুড়ির পাকা চুলের মতো সেটে আছে তুলোর বল। ব্ল্যাক লোমি সয়েল  এই তো তুলো বোনে, ছেলেবেলার ভূগোল বই অস্পষ্ট দেখি। শিমুল তুলো বাতাসে ভাসতে দেখেছি গল্ফ ক্লাবের সিমেট্রিতে। ছোট ছোট বীজ জড়ানো পেঁজা তুলো। বাড়ি থেকে না বেরুলে এসব দেখা হয় না। নাগপুর থেকে করবার দূরত্ব ১৭০ কিমির মতো। রাস্তা খুব ভালো আজকালকার ছেলেপিলেরা বলে কোন চাপ নেই। ঝিলম গাড়ি থামায় একটা ধাবার কাছে। রুটি তড়কা আর গরম চা। পাশে একটা ছোট দোকান থেকে আমার পান নেওয়া হলো তারপর আবার পথ চলা। মোহারলি গেটে অনেক রিসোর্ট – হোটেল আছে কিন্তু আমার পছন্দ চন্দ্রপুর। ঝারানা পৌঁছলাম একটা নাগাদ। রিসোর্টের সামনেই একটা ছোট মাঠ আছে তারপর একটা গাড়ি বারান্দা সেখানে একটা বার্নিশ করা হল রাখা থাকে। হল কর্ষণ এর হল। সমৃদ্ধির প্রতীক। তারপর অন্দরে প্রবেশ করলে বিরাট একটা হলরুম, রিসেপশন ওখানে ডানপাশে ডেস্ক। অভিষেক নমস্কার করে। প্রতিনমস্কার করে বলি, আমি কিন্তু এবার থাকবো না, তোমার সঙ্গে দেখা করতে এলাম মাত্র। সেকি, লাঞ্চটা তো করবেন। করবো। ওয়াশরুমটা থেকে আসছি একটু। তামলে ডাইনিং এ চলে আসুন। ওকে। ডাইনিং এ গণপতি বাপ্পার বিরাট মুর্তিটা এখনও আছে দেখলাম। সিংহাসনে বসা গণপতি। প্রণাম করি, তারপর উত্তর দিকে একটা জানালার পাশে বসলাম। অভিষেক যত্ন করে খাওয়ালো। ওদের ক্ষীরটা আমার ভালো লাগে না। দুধভাত মার্কা। কিন্তু নিরামিষ রান্না অসাধারণ। চিকেন এসেই কারি পেস্টের ব্যবহার একেবারেই ভালো নয়, কিন্তু মশলা বেটে কে খাওয়াবে? সে লোক কই।
করবা বলারশাহ অভিমুখে চললাম। মুখে বলি নতুন অভয়ারণ্য, কিন্তু অরণ্য নতুন হবে কী করে? জঙ্গল একটাই, নামের ফারাক তাকে নতুন করে। এই আর কী। কোথা হইতে আসিয়াছ নদী? নদী সেই পুরাতন সুরে কহিল, মহাদেবের জটা হইতে….
প্রেমেন্দ্র মিত্র, সাগর থেকে ফেরায় লিখেছিলেন। FRH নামটা বেশ কায়দার আসলে ফরেস্ট রেস্ট হাউস। একটা বিরাট আমলতাস গাছ বাংলোর হাতায় আর সেখানে দেখি অজস্র পাখি। ট্রি পাই, সিপাহী বুলবুল দোল খাচ্ছে। Paradise fly catcher এর নারীটিকে দেখি, চিন্তে পারি না কারণ এর তো সেই বিরাট পুচ্ছ নেই। কিসুন বলতো প্রকৃতি পুরুষ কে বেশি সুন্দর করে গড়েছে, ময়ূরের পেখম হয় ময়ূরীর নয়। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে আমার মনে হয় উল্টোটা সত্যি। নারী অনেক বেশি সুন্দর। নারী রহস্যময়ী, নারীর ধারণ শক্তি অনেকই বেশী। ধপধপে খাট বিছানা সুন্দর খটখটে বাথরুম, সামনে প্রশস্ত বারান্দা। একনজরেই পছন্দ হয়ে যাবে যে কারোর। গুছিয়ে বসি। চা আসে সঙ্গে হাইড এন্ড সিক বিস্কিট। মনটা ভালো হয়ে গেল। বিকালে সাফারি নেবো না। যা নেবার সকালেই নেবো, মানে ভোরে। জঙ্গলে যখনি বেড়াতে আসি নবিকৃত হয়ে ফিরে যাই কাজে। প্রশাসনিক কাজের ঝক্কি অনেক তাই ওই নতুন করে পাবো বলে – টা খুব জরুরী। আর জঙ্গলের গল্প করার মতো লোক বেশী নেই সবাই নিন্দা মন্দ করতেই ভালোবাসে জঙ্গল তাই লুকিয়ে রাখি কাবুলিওয়ালার আঙ্গুল ছাপের

মতোই। সম্পাদক মশাই শিকার কাহিনী চান। আমি জীবনে শিকার করিনি কখনো শুধু একতরফা ভালোবেসে গেছি জঙ্গল কে। যখন যেতে পারিনি তার কাছে, ছবি এঁকেছি, গল্প লিখে ফিরে ফিরে গেছি তার ঘ্রান পেতে তাকে নিবিড় করে কাছে পেতে। এর বেশী কী আর বলি। মুগ্ধতার চরমে বিরাজ করে নৈশব্দ। নৈশব্দ কখনো খালি হাতে ফেরায় না, আমাকেও ফেরায়নি তাই জঙ্গল আমার প্রথম প্রেম। শিকার না করলেও হান্টিং এর ওপর কয়েকটা বই কিনেছিলাম ormond, Rice and Dahl এর লেখা।
বন্দুকের রকমফের জানতেও। বন জঙ্গল কে জানতে হলে এগুলো না জানলে চলবে না কারণ বিখ্যাত শিকারিরাই কেবল পারেন সংরক্ষণ করতে এবং অবশ্যই জঙ্গলের লেখা লিখতে। কেনেথ আন্ডারসন, জিম করবেট মায় জুনিয়র আন্ডারসন এরা প্রত্যেকেই প্রথম জীবনে ছিলেন শিকারী। পড়ে বন্দুকের বদলে ক্যামেরা নিয়ে শুট করতে যেতেন এঁরা। করবা বলারশাহ কিন্তু একটা নতুন ধারণার প্রবর্তন করল কারণ এখানে সমস্তটাই পরিচালনা করবে জনজাতির মানুষজন।

ট্যুরিজম থেকে সাফারি পুরোটাই ট্রাইবাল মানুষদের দ্বারা পরিচালিত হবে। জঙ্গলের মানুষ যারা, তারা বিকল্প আয়ের রাস্তা পাবেন এভাবেই ভেবেছেন বন বিভাগ। বস্তুত এটা একটা revolution. কিন্তু partnership আটকাতে হবে। না হলে শিখণ্ডী খাড়া করে মুনাফা লুটবে শহুরে বেওসাদার। তাই মহারাষ্ট্র বন বিভাগ অনেক ভেবে চিন্তে চন্দ্রপুর এর বল্লারশাহ কে খুলে দিল যার কেন্দ্রে থাকবেন, পরিচালনায় থাকবেন জনজাতি গোষ্ঠীর মানুষজন।
রেঞ্জার সাহেব এসেছিলেন দেখা করতে। বললেন দাশগুপ্ত সাহেব আসবেন সন্ধ্যা বেলা। দাশগুপ্ত সাহেব মানে কল্যাণ দাশগুপ্ত IFS আমার বন্ধু প্রবালের বড় ভাই। প্রবালরা শিলিগুড়ির মানুষ। থানার পাশেই ওদের বাড়ি। আমার চাকরি জীবনের বন্ধু সে।
কল্যাণ দা শুধু এলেন ই না আমায় ধরে নিয়ে চললেন ফরেস্ট বাংলোয়।  মোহারলি তে। নাগপুরেই তাঁর পোস্টিং। Pccf পদে আছেন এখন গুনমুগ্ধ ভক্তেরা বলেন একদিন ভারত সরকারের বন বিভাগের সর্বোচ্চ পদে আসীন হবেন তিনি।

সে যাই হোক কল্যাণ দা প্রচুর আয়োজন করেছিলেন বললাম এতো কী পাত্তা না দিয়ে বললেন হয়েই থাকে। সেটা ঠিক আমাদের বড় কত্তারা যখন আসেন তখনও এলাহী কান্ড ঘটে। যদিও আমি এখানে ছোট কত্তা। একবার টাকি পি এইচ ই বাংলোয় ডিএম এবং আরও বড়ো অফিসারেরা খেতে বসেছেন না না রকম পদ রান্না হয়েছে। সবাই বলছেন খুব ভালো হয়েছে বিডিও সাহেব আমি বিনীত ভাবে বলি আমি নয় ম্যাডাম এসডিও সাহেব মেনু করেছেন। তাই নাকি বললেন ডিএম ম্যাডাম। কচুর লতি দিয়ে ইলিশ মাছ তোমার এসডিও ভিভেক ভাসমি করেছে বলতে চাইছ তো? সবাই চুপ। আমি আরও বেশী। সরে এলাম অগত্যা।
কী ভাবছো বললেন কল্যাণ দা। বললাম এতো খাবো কী করে? ঠিক আছে কফি দিয়ে শুরু করো আসতে আসতে খাও। স্নেহের পরশ। ভাই কাছে নেই তাই বন্ধুই সই।
একথা সেকথার পর বললেন নতুন পর্যটন ক্ষেত্র কিন্তু এখানেও পোচিং হচ্ছে সেটা জানা আছে?
বলেন কী, পোচিং?এখানে?

হাঁ হে চেষ্টা করেছিল কিন্তু পারেনি। পারেনি কেন জান? বলি রক্ত।রক্ত, তাই পারেনি….
দুজনেই হো হো করে হেসে উঠি জলসাঘর ছবির ডায়ালগ বলে। তারপর সিরিয়াস হয়ে বলে তবে শোন্
ঘটনাটি ঘটে বিষাপুরে। বিষাপুরের কাছেই বল্লার পুর আমরা তখন সেখানটায় ক্যাম্প করে আছি। পার্ক খুলেছে জানুয়ারী আর এটা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের ঘটনা। প্রবল শীত এখানে। অন্ততঃ রাত্রে খুব ঠান্ডা। এখানে সব মিলিয়ে গোটা পাঁচেক টাইগার আছে। এটাই নিয়ম আস্তে আস্তে বাড়বে। বায়োদিভার্সিটির নিয়ম পালন করেই বাড়বে। হরিণ, সম্বর এর অভাব যখন নেই। বাঘের সুস্বাস্থ্যের জন্যে হাদেস্তি আর বলারপুরের জঙ্গলের মাঝে সমতল জায়গাও আছে যেখানে বাঘ শিকারকে তাড়া করে বেদম করে শিকার করে। কানহায় যেমন এমন অনেক medow আছে। বামনি দাদারের নাম তো শুনেই থাকবি।
এই সময় জঙ্গলের মধ্যে কূপ কাটা হয়। সেগুলোর জন্যে অনেক কুলি কামিন জঙ্গলে এসে যায় এবং কাজ না হওয়া পর্যন্ত থেকে যায়। দুষ্কৃতীরা

জোগাড়ের ছদ্মবেশে জঙ্গলের ভিতরে অনায়াসেই ঢুকে আসে। দিনের বেলা কূপ কাটার কাজে থাকে আর বাকিটা জঙ্গলের রহন সাহান লক্ষ্য করে। ওরাও দুটো বাঘ স্পট করে যাদের অন্যতম হচ্ছে কোলারবালি রেডিও কলার পড়ানো ফিমেল টাইগার। কোলারবালির চলন থেকে সবকিছুই মনিটর হচ্ছে তখন। স্পোটিংও। একদিন মেহেফুজ এসে জানাল যে স্যার কোলারবালি কিন্তু ক্রমাগত জায়গা বদল করে যাচ্ছে এমন হলে রেঞ্জের বাইরে চলে গেলে মনিটরিং অসুবিধে হবে। ন্যায্য কথা বলেছে মেহফুজ। বন কর্মী সে কিন্তু জঙ্গলটা সে ভালোই চেনে। এই ধরণের কর্মীরা আমাদের সম্পদ। সব বিভাগেই এঁরা আছে এখনো তাই চলছে বুঝলি… বলি যা বলেছ দাদা।

কোলার্বালী যখন রেঞ্জের বাইরে চলে গেল প্রথমটায় গা করিনি। আমরাও এগিয়ে যাবো ঠিক করলাম। পরের ক্যাম্পে গিয়ে ট্র্যাক করবো আবার এমনটাই ঠিক ছিল এরমধ্যেই খারাপ খবরটা চলে এলো। একটা বাঘের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে ভিভ কুন্ডের কাছে। চামড়া ছাড়ানো বীভৎস

দেহের সামান্য অংশই উদ্ধার হয়েছে আর উদ্ধার হয়েছে ছিন্ন ভিন্ন এক কলার। সনাক্ত করতে অসুবিধা হলোনা এতটুকুও। কিন্তু এ কাজ কার বা কাদের। কূপ কাটা দলের প্রত্যেকের আন্টিসিডেন্ট দেখা হলো সন্তর্পনে এবং তিনজনকে আটক করলাম আমরা। তাদেরকে জেরা করে সোসারচাঁদ নামের এক লোকের খবর পেলাম আমরা। এই সেই সোসারচাঁদ যে পান্না এবং সারিষ্কার জঙ্গলে লাগাতার বাঘ ধ্বংস করে গেছিল দীর্ঘদিন যাবৎ  এক আন্তর্জাতিক চক্রের পান্ডা সে। এই প্রথম জঙ্গলে STP নামানো হলো বুঝলি এক রাখেল এর ঘর থেকে ধরা পড়লো সে বামাল সমেত।
সাসারচাঁদকে চন্দ্রপুরে ফিরিয়ে আনা হলো। পুলিশ হেপাজতে দেওয়ার কাগজ তৈরী করছি আমরা, হটাৎ গুলির শব্দ। ছুটে বাইরে এলাম সকলে। সাসারচাঁদ পড়ে আছে মাটিতে। লাল মাটি রক্তে ভেসে যাচ্ছে আর বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে আছে মেহফুজ। দুজন ফরেস্ট গার্ড মেহেফুজকে ছুটে গিয়ে আগলে ধরলো। সাসারচাঁদকে আর পুলিশে দেবার প্রয়োজন নেই। যা করার মেহফুজ করে

দিয়েছে। বললাম এরপর কী হলো? কী আবার হবে STP এনকাউন্টার এর তত্ত্ব সাজালো।
মারা গেল মোট চারজন।
সাসারচাঁদ আর তার তিন জোগাড়ে।
বাকি তিনজনই STP র শিকার।
বুঝলি ভারতের সব জঙ্গলেই স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ডিপ্লোয় করা উচিৎ। আর্মি থেকে স্পেশাল ডেপুটেশনে আনা উচিৎ এঁদের। তবেই বাঁচবে বন আর বন্যপ্রাণ।
……………………

কলমে অঅরিন্দম মুখোপাধ্যায়


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *