Spread the love

খুব_মিস_করি…

       সেই দিনগুলি ——

———————————————

হারানো সেই স্মৃতিগুলো আবার যদি ঝাঁ চকচকে নতুন হয়ে ফিরে আসতো তাহলে আর যেতেই দিতাম না !

ভোরের বেলার সেই টিউশনি…

মা ঘুম থেকে তুলে দিত, তারপর মুহূর্তের মধ্যে ব্রাশ,ব্রেকফাস্ট করে কুয়াশার মধ্যে একটা চাদরে দুই – তিনজন ঢাকা দিয়ে একসঙ্গে কাঁপতে কাঁপতে পড়তে যাওয়া,তাড়াহুড়ো করে বাড়ি ফিরে এসে আবার রেডী হয়ে স্কুল বেরানো ।

বর্ষার বৃষ্টিতে সন্ধ্যায় পড়তে যাওয়া,ছাতা মাথায় করে বাড়ি ফেরার সময় বাঁশ তলার মধ্যে রাস্তা পেরিয়ে যে পুকুরগুলো পড়ত ,তার মাছগুলো বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় উঠে ব্রেকড্যান্স করতো , আমরাও তাদের ধরতে ব্যস্ত হয়ে পড়তাম সেই আনন্দ ছিল বেশ ।

খুব মিস করি…..

স্কুলে_টিফিন_টাইমে সবার সাথে টিফিন কারাকারী করে খাওয়া , তাছাড়া সবথেকে বড় ব্যাপার টিচার দের একটা করে স্টুডেন্টদের দেওয়া নাম থাকতো , ক্লাস অফ গেলেই থাকতো স্টুডেন্টদের অভিনয়সত্তা দেখানোর পালা টিচারদের অনুরূপ আচরণ করে দেখানো .. আরো কত কি !

আরও মিস করি….

সন্ধ্যাবেলায় লোডসেডিং । লোডসেডিং হলে বেশ পড়তে বসতে হতো না, দোতলার ছাদে এক আকাশ তারার নিচে বসে , বাড়ির সবার সাথে বসে আড্ডা দেওয়া , এখনকার মতো তখন লোডসেডিং এ বিরক্ত ছিল না বরং আনন্দ করার একটা মোক্ষম উপায় ছিল । পড়াশুনাটাও চলত বেশ , একটুক্ষণ পড়লেই পড়া রেডি হয়ে যেত , বেশি পড়াশোনা লাগতো না । সত্যি দিনগুলো মিস করার মতোই । শীতের রাতে উনান পারে বসে খাওয়ার মজাটাই ছিল আলাদা।

তারপর আছে পূজোর ছুটি পড়বে কবে সেই দিনগোনা শুরু হয়ে যেত , পূজোর আর কয়টা দিন বাকি সেই চিন্তায় ঘুম আসত না।

এই মজাদার টেনশনগুলো আর প্রবল ভাবে কাজ করে না , আমাদের ওই বিষণ্ণতায় ভরা নিরেট মস্তিষ্কগুলিতে ।

আসলে আমরা স্কুলছুটির পর আমতলা, কুলতলা , জামতলা করে আধাঘন্টার পথ একঘন্টায় বাড়ি পৌঁছানোর দিনগুলো হারিয়েছি ।

বড্ড মিস্ করি সেই দুপুরবেলা না ঘুমালে মায়ের বন্দী করে রাখার সময়গুলো ।

              বড্ড ফিরে পেতে ইচ্ছে করে দিনগুলি ।

যে সময়গুলি চলে গেছে সেগুলি একেবারই চলে গেছে , ফিরে আসার মত পর্যাপ্ত কিছু না রেখেই আমাদের সেই সোনালী_স্মৃতিগুলো সময়ের হাতছানি পরে চুরি হয়ে গেছে ,

আর কখনও ফিরে আসবে না সেই দিনগুলি।।

                                কলমে :অন্তরা ঘোষ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *