*হেরে যাওয়া*
সৈয়দ খুকুরানী
———————-
সব হেরে যাওয়া ,হেরে যাওয়া নয়।
চুপ করে থাকা , মানেই হেরে যাওয়া নয়।
অন্ধ ভালোবাসা মানুষকে এক সময় চুপ করিয়ে দেয়।
আমার থেকে সবাই দূরে সরে যাবে ,
আমি একার রাজত্বে গুমরে মরবো বলে এই ভয়ে আমি মরিনা।
মরচে পড়া হৃদয়’টা টুকরো টুকরো বিদীর্ণ হবে হয়তো, তায়।
সময়ে এক সময় পলি পড়ে যাবে ভাবনায়।
অবহেলা অবজ্ঞা চোখ রাঙানি কোনো শিক্ষার প্রকাশ নয় ,
আমার সহনশীলতা রং পরিচয় যেনো ,বাকরুদ্ধ স্তব্ধতা।
যা কোনো প্রমানের প্রয়োজন নেই।
অবাধ্য , গতিপ্রকৃতি , গোপন যন্ত্রনার নিন্দনীয় অত্যাচার।
যা লোক সমাজে তুলে ধরার কেউ মূল্য দেয়না।আপন খেয়ালী পাগল , নিজের খেয়ালে মাতে। কোন ব্যাথা , কার ঘুম কাড়ে , সে তার খোঁজ রাখে না।
অনেক দিন যাবৎ মৃত্যুর কষ্ট আমাকে আর আড়াল থেকে ভয় দেখাতে পারেনা।
শতশত মানুষ আকাশের তারা হয়ে দৈনন্দিন।
সকলের দেহ বিলীন হয়। মুছে যায় স্মৃতি।
দেহ নিথর, নিস্তব্ধ হয় , শোনে সব কথা। শুধু বলেনা কিছু।
বসুমতি মায়ের মতো।
আমি কিছুই চাইনি বলে , আমার কিছুই যে
কারোর কাছে পাওয়ার নেই তা নয় ,
শুধু যার দেখার চোখ নেই
যার বোঝার ক্ষমতা নেই
তার কাছে , অবজ্ঞার বাড়-বাড়ন্ত।
মাত্রারিক্ত যন্ত্রনা , বোকা করেছে আমাকে।
স্তব্ধ করেছে।
অসহায় করেছে ।
মা জীবনের সব সুখ কেড়ে নেয়।
সব ঘুম কেড়ে নেয়।
সেই গল্প ঢাকা থাকে।
আমার মনের মাঝে সৌখিনতার বসন্ত আসে আজও ।
রঙ্গীন পলাশ , শিমুল ফোটে ।
সীমান্ত রেখার অবাধ্য কোনো কালেই , ছিলাম না আমি ,
তাই বলে , বাধ্যতার গন্ডি ডিঙ্গোতে পারিনি
তবে সেটা আমার হেরে যাওয়া নয়।
শুধু অসংখ্য ভাবনারা , ভেবে ভেবে গোপনে অসুখ বাঁধায়।।