
মোঃ মাইনুল ইসলাম।
# 2024 – 25 সালে শিক্ষারত্ন সম্মানে ভূষিত #।
জন্ম ২-য় মার্চ, ১৯৭৭ সাল। পিতা – কাসেম মন্ডল ওরফে মোঃ আবুল কাসেম। মাতা – সালেহার বিবি। জন্মস্থানঃ গ্ৰাম -গোবিন্দপুর, পোঃ- যুগিন্দা,থানা – ডোমকল, জেলা- মুর্শিদাবাদ।
পঃ বঃ।
লেখাপড়াঃ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মক্তবে হাতে খড়ি।অনেক সমস্যা অনেক জটিলতার পথ মাড়িয়ে পাশের থানা হরিহরপাড়ার এইচ,এ,বি সিনিয়র মাদরাসায় ক্লাস ফাইভে ভর্তী। ছোট্র হৃদয়ে একটা তাজা স্বপ্ন- পড়তে হবে।পড়ার পর কি হয় জানা নেই কিন্ত মনের কোনে ভাবনা লেখাপড়া করলে নাকি ভালো কিছু একটা হওয়া যায়।মা’র কাছে শোনা গল্পে, কোমল হৃজয়ের ভিতরে এই বিশ্বাস তৈরী হয়েছিল।মা’র ইচ্ছাতেই লেখাপড়া করার জন্য মাদরাসার দরজায় পা-রাখা।জেনারেল শিক্ষার সাথে ধর্মীয় শিক্ষা প্রয়োজন তবেই সৎমানুষ হওয়া যাবে,এই ভাবনা বহন করতেন জননী। সরল পল্লী জননির মত পুতপবিত্র ছিল তা়ঁর চেতনাময় লালন পালন।সততার মাতৃমূর্তিরূপে জীবনের লোহ নির্মিত ভীত নির্মান করে দিয়ে ছিলেন।আজ পৃথিবীতে মা নেই কিন্ত তাঁর নির্মান করা স্বপ্নটা কর্মপথে খোদায় করা রয়েগেছে।
” ১৯৯৩ সালে মাধ্যমিক( আলিম) “পাশহল হরিহরপাড়া এইচ. এ.বি সিনিয়র মাদরাসাহ থেকে। জেলা-মুর্শিদাবাদ।ধূলো-কাদা মাখা প্রান্তিক জীবনের এক পথচারি হলেও ভিতরে অদম্য এক ইচ্ছা ছিল কোলকাতার মওলানা আযাদ (গভঃ)কলেজে ভর্তী হতেই হবে।এটা শহরের বিখ্যাত এক কলেজ।যেথায় রাজ্যের উঁচুমানের ছেলে-মেয়েরা পড়ে।এই ইচ্ছার জাগরণো হয়েছে শোনা কথা থেকে।প্রেসিডেন্সি,আযাদ কলেজ শুনতে শুনতেই এই ইচ্ছা জন্ম নিয়েছে মনের ভিতর।ইচ্ছার পিছন ধরে এক রাতের আঁধারে চোখে একটু আলো নিয়ে এক বন্ধুর সাথে বহরমপুর ষ্টেশন থেকে রাত ১০টা ৫৫ মিনিটের ট্রেন ধরে জীবনে প্রথমবার কোলকাতার পথে যাত্রা।হতাশাময় বাতাসের ধাক্কা অনেক থাকলেও আশায় পূর্ণ ট্রেনটা ভোর বেলায় শিয়ালদায় পৌঁছালো। ইলিয়ট গভঃ হোষ্টেলে (তালতলা) আশ্রয় হল এক বন্ধুর কাছে।
“উচ্চ মাধ্যমিক ” বিদ্যাসাগর কলেজ, কলকাতা। “স্নাতক” মৌলানা আজাদ
গভঃ কলেজ,কলকাতা। এবং এম.এ,বি-এড” ডিগ্রি লাভহল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ।
কলকাতা আলিয়া মাদরাসাহ( অধুনা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে ধর্ম বিদ্যায় ফাজিল, কামিল, এম.এম (এম.এ)পাশ হল।
SSCপরীক্ষা প্রথমবার দিয়েই শিক্ষকতা শুরু হল- ২০০৩ সালে । প্রথমে শ্যামনগর
হাইস্কুল, মুর্শিদাবাদ। তারপর (বর্তমানে )- হরিহরপাড়া হাইস্কুলে। মুর্শিদাবাদ ।
লেখাজোখা শুরু – ছাত্র জীবন থেকে। লেখা হয়েছে ছাত্র ও যুব সমাজের জন্য – সময়ের সঠিক ব্যবহার নিয়ে বই।শিশু কিশোরকে সঠিক পথের দিশি দিতে পরিপূর্ণ
গাইড বুক। বিশেষ ভাবে ছাত্র সমাজের জন্য নীতিগল্প। সাম্প্রদায়িক আগ্রাসন থেকে মুক্তির জন্য- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপর গবেষনা মূলক বই-হিন্দু মুসলিম দুই জতি এক জাতীয়তাবাদ।বিশেষভাবে যুব সমাজের হতাশার অবসানে – হতাশ হবেননা। মার্ক্সবাদ পুঁজিবাদ ও ধর্ম নিয়ে তুলনা মূলক আলোচনা গ্রন্থ । ছোটোদের জন্য জীবন শৈলীর বই। মুসলিম সমাজের পিছিয়েপড়া বর্গের প্রয়োজনে – যাকাত সিস্টেমের উপর দারিদ্রতা দূরীকরণের বই। কিশোর-কিশরীদের জন্য – মণীষীদের জীবনী গ্রন্থ । প্রকাশ পেয়েছে দেশপ্রেম,মানব প্রেম এবং ধর্ম ও নৈতিকতার জন্য একাধিক বই। । আছে কবিতা,গল্প,প্রবন্ধ,গজল,গন সঙ্গীত। পত্র – পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে লেখা এবং বিদ্যালয় পত্রিকা সম্পাদনা।
এখন পর্যন্ত প্রকাশিত
বই ১৭ খানা।
১,হতাশ হবেননা
২,হিন্দু মুসলিম দুই জাতি এক জাতিয়তাবাদ
৩, শৈশবের সোনার খনি
৪,শৈশবের মনিকান্চন
৫,মরণের উপহার
৬, হৃদয়ের দাওয়া
৭,সময়ের বার্তা
৮,ইসলাম আধুনিক অর্থনীতি ও ব্যবসা বানিজ্য
৯,প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর চোখের পানি
১০, নবী মোহাম্মদের শিষ্যদের (সাহাবা)চোখের পানি
১১,বিশ্বের দরবারে ইসলামি অর্থবন্টন ব্যবস্হা
১২,ভালোবেসে দাও একটু সময়(নাটক)
১৩,রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের গল্প অবলম্বনে নাটক- কাবুলিওয়ালা
১৪, শিশির বিন্দু(কবিতা)
১৫,শান্তির নাম সংগ্রাম
১৬,অমৃত কুন্জ্ঞ(কবিতা সংকলন প্রকাশের পথে)
ছোটো বড়ো কিছু কাজের মাঝেও প্রতিবছর একটা বা দুটো করে বই প্রকাশিত হয়।
ছাত্র জীবনে ছাত্র সংগঠন – পশ্চিম বঙ্গ
মাদরাসাহ ছাত্র ইউনিয়নের রাজ্য সহ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তারপরের টার্মে রাজ্যের সভাপতি। এরপর রাজ্য একজিকিউটিভ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। এইভাবে পরপর তিনবার ছাত্র নেতারূপে দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে কলকাতা মাদরাসা কলেজ বা আলিয়া মাদরাসার গভর্ণিক বডির সদস্য এবং চাকুরিতে যোগদান করার পরে
বি-এড করাকালে গান্ধী সেন্টেনারী বি টি কলেজে ছাত্র প্রতিনিধি হিসাবে গভর্ণিং বডির সদস্য নির্বাচিত হন। বৈচিত্রে ভরা ছাত্র জীবনে -ছাত্র সংগঠন,লেখাপড়া,লেখাজোখার কাজ চলেছে তার সমানভাবে।
২০০৩ সাল থেকে শিক্ষকতা শুরু । সাথে সেচ্ছাসেবী সংগঠন পরিচালনা এবং লেখাজোখা । সকল ধর্মের ধর্মগরুদের নিয়ে ধর্ম সমন্বয়ী সংগঠন পরিচালনা করেন। পুরোহিত, ইমাম-মুয়াজ্জিন,ফাদার,শিখ,জোইন,
ধর্মগুরুদের সমন্বয়ে রক্তদান শিবির করার মাধ্যমে এবং মানুষের পাশে দাঁড়ান।
বাল্য বিবাহ, শিশু স্রমিক, নারি পাচার রোধে বলিষ্ঠভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ তাঁর ধারাবাহিক কাজের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত। নেশামুক্ত সমাজ ও নারীর অধিকার রক্ষা করতেই হবে এযেন এক দৃঢ় অঙ্গিকার। বিদ্যালয় ছুট শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনার কাজো চলে সর্বদা।
লোকাল লাইব্রেরী অথরিটির (L.L.A) সদস্য (গ্রন্থাগার ও জনশিক্ষা প্রসার বিভাগ পঃবঃ সরকার) হিসেবে মুর্শিদাবাদ জেলা বই মেলা পরিচালনা এবং দেড়শোর উপরে সরকারি গ্রন্থাগার উন্নয়ন দেখভালের সুযোগ।
শিক্ষা সেমিনারের বক্তা হিসেবে বিভিন্ন সেমিনারে বক্তব্য প্রদান। স্কুল কলেজ ও সমাজের অনুষ্ঠানে আলোচক রুপে অংশ গ্ৰহন চলে বারো মাস।নেতাজী ইন্ডোর ষ্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে কোরান ও মানবতা বাদের উপর বক্তব্য প্রদান। সাতটা দেশের ধর্মীয় স্ককলাররা এই সেমিনারে উপস্হিত ছিলেন।সেমিনার ও বক্তব্য অনুষ্ঠান পরিচালনার কাজো থাকে অব্যাহত।
বর্তমান ঠিকানা ঃ আমতলা। থানা – নওদা। জেলা – মুর্শিদাবাদ। পঃবঃ। পিন নম্বর – ৭৪২১২১।
আমার এই কবিতাটি প্রকাশ করার জন্য মাননীয় সম্পাদক মহাশয়, এবং কাব্যপট পত্রিকার সবাইকে জানাই আমার আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ।
Very very nice.
Very nice
[…] শিশুর চাবি… বিশ্বনাথ সাহা […]
[…] আরও পড়ুন:-ভ্রমণ পিয়াসী : বিশ্বনাথ সাহা […]