Spread the love

ভ্যালেন্টাইন্স ডে  || ঋদেনদিক মিত্রো

 

[ A Bengali poem like “Valentine’s Day”, by Ridendick Mitro, India. This poem glorifies and points to the worldly and cosmic ideals of man, including sexuality, which increases the purity of man. ] 

 

ভ্যালেন্টাইন্স ডে

 —————————– 

  ঋদেনদিক মিত্রো  ( ভারত)  

 

কল্পনা বলে কিছু নেই তুমি ছাড়া, 

বাস্তব বলে কিছু নেই তুমি ছাড়া, 

এর নাম ভ্যালেন্টাইন্স ডে।  

 

কবিতার তলা দেখা যায়, 

সমুদ্রের প্লাবন গুহার দেশে

মানুষের উন্নয়ন জিজ্ঞাসা-জ্যোৎস্না নিয়ে  

কাজ করে সারা রাত  

over time শ্রমিকের মত, 

কল্পনা চুপচাপ জলের আদিমে হাঁটে

 যেন ডুবুরি বিজ্ঞানী,  

জলের উপরে সব স্বাভাবিক

সবেমাত্র সঙ্গম শেষ করা

দীর্ঘ বছরের দম্পতির অভ্যস্ত বোঝাপড়ার মত। 

 

তুমি তো এভাবে নিয়ম, ভ্যালেন্টাইন। 

 

তুমি তো কিছুই নও, 

আমিও কিছুই নয়, 

দুজন রক্ত মাংস চামড়া নিয়মে

কিছু শব্দ, কিছু নীরবতা, 

অসারতা দাঁড়িয়ে থাকে বিরাট তোরণ হয়ে 

বার্ধক্য ও মৃত্যুর ঘোষনা নিয়ে

ওরেব্বাস জয়ধ্বজা তুলে। 

সেও যেন খুব সংকুচিত লতার অসহায়তা। 

 

এর মধ্য থেকে আলাদা আওয়াজ তুলে

যে ঘোষনা করে তার নিরঙ্কুশ জয় — 

সে তুমি ভ্যালেন্টাইন্স ডে। 

 

যৌনতা হল প্রাণের প্রমাণ,  

মৌনতা হল তোমার দিশা, 

সুখ বলে কি কিছু আছে? 

দুঃখ বলে কি কিছু আছে? 

 

এদুজন যৌনতায় মেখে যায় ক্রিমের মত, 

তারপর যৌনতার স্বচ্ছতা হয়ে যায় টুথপেস্টে

দাঁত মাজা খিলখিল হাসি। 

 

এর থেকে ফুট্টানি করে বেরিয়ে আসে

বালিসের তলা থেকে কয়েনের মত

কয়েকটা খেয়াল, 

 

আহ, অরন্যের ভিতরে দুজনে  

ফন্দি-ফন্দি খেলি তাঁবু খাটিয়ে, 

কখোনো সমুদ্রের আওয়াজে চামড়া নাচবে, 

কে কাকে কার কোলে বসিয়ে মাজবে —

ঘাটে বসে এঁটো কাঁসার থালাকে হাতে নিয়ে

 চেপে ধরে একটি নারী যেমন কষে মাজে  

 দাঁতে দাঁত চেপে…   

 

জ্যোৎস্নার টুকরোগুলো হাওয়া থেকে

উড়ে এসে রূপকথার গল্প নিয়ে

বসে যাবে মুখে, চোখে, চুলে, 

এ দৃশ্য কেউ দেখেনি।  

 

নারী তো কিছুই নয়, বুকে দুটি চাঙাড়ি স্বাধীনতা,

দুপায়ের মাঝে একটি বিদ্যুৎ জখম গর্জন নেশা,

পিছনে আড়াল করতে চাওয়া অতিষ্ট নাগরদোলা, 

চোখে কি কিছু নেই নারীর? 

তবে অনেক ভ্রম মন্ত্র চলমান — 

স্কুলে যাওয়া ছাত্রছাত্রীর নতুন সাইকেলের মত, 

রোদে জলে চাকার নতুন spikes চলমান, চলমান। 

 

পুরুষ তো কিছুই নয় — 

ভৌতিক বেগুনি দড়ি, হাওয়ায়-হাওয়ায় এসে

বেঁধে ফেলে যাকে

 সে হল নারী।  

পুরুষের দুপায়ের মাঝখানে

মহাজাগতিক স্বতঃসিদ্ধ, 

এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকে

নিয়ন্ত্রন করে মুক্তিনামা।

 

সবই সত্য বটে, 

তবু, সব পুরুষের জন্য নয় সব নারী, 

সব নারীর জন্য নয় সব পুরুষ, 

 

ভ্যালেন্টাইন মানে যে যার মত এক একজন, 

এও এক চরম সত্যতা

রোদ লাগা চকচকে নতুন স্টিলের মতন,  

 

নারী মানে নারী, 

পুরুষ মানেই পুরুষ, 

 

তবুও অজানা ওজন আছে — 

কত কী design করে

 পারস্পরিক মেপে দেখার নিয়ম, 

 

নইলে, রোদকে লাগে খরা, 

রাতকে লাগে অভিশাপ, 

 

নিমজ্জনতাকে লাগে শ্বাসকষ্ট, 

 

একজনের কাছে আর এক জনের

 শরীরকে লাগে দানবিক।

  ছায়াকে লাগে আতংক।  

 

আবার কারোর-কারোর কাছে 

 মনের মতন হলে একে অপরের কাছে

 সমস্ত ওজন হয় মসলিন, 

 

আর, তখন খিস্তিগুলো রচনা করে নগরের আলো। 

 

সব প্রাণীর এত কাজ, বাঁচার লড়াই, 

তবু মরবার লড়াই চেয়ে মানুষের পরিচয় বার্তা। 

এর নাম ভ্যালেন্টাইন্স ডে।

 

তবুও আবার জিজ্ঞাসা করি, 

প্রেম বলে কি কিছু আছে? 

 

নেই, কিছু নেই! 

 

এই মহাজাগতিকে এসব অসার। 

 

তবুও প্রেম নামিত কী একটা চলমান।  

 

জীবিতের দেহে মৃত্যুর অমরতার parade, 

কিংবা মৃতের দেহে একাগ্রতায় থাকা — 

যে-রকম একটা গরুর গায়ে একটা ঠোঁট তীক্ষ্ম পাখি

 পোকা বেছে সুখ দেয়

  গরুর হাড়ের আমেজে, 

আর এদিক ওদিক তাকায়। 

 

মানুষ তো মরে গেলে ছাই বা কবরের নিশ্চিন্ত ঘুম। 

 

তবু, প্রেম কী, এই নিয়ে সূর্যোদয়  

প্রতি সংকেতে — 

প্রানীকে জানিয়ে দেয় তার জাগ্রত কথা, 

 

চামড়া লোল হয়, চুল পাকে, 

শরীর দুর্বল হয় কাউকে না জানিয়ে

রাত্রে জলে মাছের জ্যোৎস্না দেখার মত, 

তবুও এই নীরবতার অহংকারকে থাপ্পড় মারে

 ছাত্রকে শিক্ষকের মত — ,

 

আর সে দাবি করে — আমি বার্ধক্য হই না, 

লোল চামড়া হল প্রেমের শেষ অবলম্বন।

 

বার্ধক্য হল যৌনতার তপস্যা, 

 

পাকা চুল হল কামুকতার পুঁথি। 

 

এভাবে ঘোষনা করছ তুমি সচেষ্ট, 

 

কে কোন্ জায়গা থেকে অজান্তে তোলে পতাকা, 

 

কেউ জানে না। 

 

তবে সে ঘোষনা করে — 

তুমি চেনো বা না চেনো,  

জানো বা না জানো,  

আমি পতাকা তুলে আছি

আমার বাড়ির ছাদে, একা।

 

এ আমার ভ্যালেন্টাইন। 

 

ভ্যালেন্টাইন তাকেও বলে — 

খাপ না খেলে সরে যাবার সুখ, 

 

মেঘ সরে জেগে ওঠে চাঁদ। 

 

আর যদি দুজনে জমে যায়,  

তখনি জোড় সাঁতারুর মতো  

জল ছিটকে উড়ে যায় জলে পাশাপাশি,  

 চোখের পলকে কাছ দেখে কত দূরে…

 

কী যে ভালোলাগে দেখতে। 

 

Super ভালেন্টাইন।  

 

সমস্ত যৌনতার সুচারু অভিসন্ধি  

   অসহায় জীব ও প্রকৃতি সেবায়। 

  প্রতিটি কীটের কষ্ট বুঝতে পারাও 

   আরো-আরো যৌনতা, 

 

আমাকে মাপ করো কবিতা, 

 

এই বার্তা না দিলে valentines day কবিতাটা 

  হয়ে যাবে প্রতারক, 

 

কিংবা সুবিধেবাদী।  

 

উৎকৃষ্ট যৌনতা হল নিরামিষ খাবার জীবন। 

সৎ সাহস ও সুক্ষ্ম বিচারের আয়ত্ব, 

পুস্তকে চোখ দিয়ে হেঁটে যাওয়া  

  দূরে, দূরে, দূরে। 

 

উপচে পড়া যৌনতায়  

 নগ্ন শরীর নিয়েও হেঁটে যেতে-যেতে  

   নগ্ন করে দেওয়া যায় পৃথিবীর স্বার্থপরতা, 

 

আমরা কি এত বড় হতে চাইবো না কোনোদিন?

 

নাকি সে-পথেই চলতে শুরু করেছি — 

 

এবার হাঁটি চলো — 

 

অমাবস্যায়, জ্যোৎস্নায়, কোনো মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষের একাকিত্বে। 

 

জীবন তো এরকমই,  

 

নির্ঝঞ্ঝাট একাকীত্ব। 

 

মুগ্ধকর অস্থিরতা।  

 

সমীহ জিজ্ঞাসা। 

 

অনিয়ন্ত্রিত রোদ জানালা। 

 

—————————————–  

            ☺️☺️

( রচনা : ১৪-১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ভ্যালেন্টাইন্স ডে, স্বরস্বতী পুজা। রাত্রি)  

—————————————–

বিঃদ্রঃ — ঋদেনদিক মিত্রো ( Ridendick Mitro) , পেশায় ইংরেজি ও বাংলাভাষায় কবি-উপন্যাসিক-গীতিকার-কলামিষ্ট।  

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *