উত্তম ভট্টাচার্য।
বুঝলে বেটা-
উড়ছে যেটা,
‘ফানুস’ সেটা-
আগুন দিয়েছ যার গায়ে;
পুড়ছে শরীর
জ্বলছে শিখা-
রং মশলা পড়ছে ঝড়ে।
খানিক আলো
খানিক নাচা-
দু’চোখ তুলে তাকিয়ে থাকা;
তা ধিনধিন
নেই ভাবনা-
জীবনটাও বুঝি এমনি সোজা।
বুঝছ নাকি
ধোঁকা বাজি-
ফানুসে ফানুসে ভেসে থাকা;
বেকুব তুমি
ভীষন বোকা-
স্বপ্নভেলায় যায় নাতো বাঁচা।
চোখের ঝলক
বুকের পুলক-
মিলিয়ে যাবে এক পলকে;
মশলা ফুড়িয়ে
আগুন ছেড়ে-
ফানুস যখন চুপসে পড়বে।
হ্যান করেঙ্গা
ত্যান করেঙ্গা-
গাজর ঝুলিয়ে বাঁদর নাচেগা;
আবোল তাবোল
ছাগলের দল-
নেই চলেগা নেই চলেগা।
বুজরুকি যত
কচুরিপানার মত-
থমকেই দেবে জীবন ধারা;
করবে বশ
হীনতার যশ
মিথ্যার জাল আর প্রবঞ্চণা।
ভালোর ভালো
তারচে ভালো-
‘ফানুস’ ছেড়ে বেরিয়ে পড়ো;
দিবাস্বপ্ন ছেড়ে
আবেগ ঝেড়ে-
চেষ্টা করেই হওনা বড়ো?
চেষ্টা বিনে
স্বপ্নের দানে-
সফল হয়নি কেউ দুনিয়ায়;
মেহনত বিনে
করুণার দানে-
তরী ডুববে মাঝ দরিয়ায়।
বাঁচা-না-বাঁচা
ভুলভুলানি ধাঁচা-
হাহাকার ভরা সারাটা জীবন;
ভুলে আত্মসন্মান
ঘৃণিত জীবন-
মুক্তির চাবিকাঠি শরীরের ঘাম।
আমার এই কবিতাটি প্রকাশ করার জন্য মাননীয় সম্পাদক মহাশয়, এবং কাব্যপট পত্রিকার সবাইকে জানাই আমার আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ।
Very very nice.
Very nice
[…] শিশুর চাবি… বিশ্বনাথ সাহা […]
[…] আরও পড়ুন:-ভ্রমণ পিয়াসী : বিশ্বনাথ সাহা […]