Spread the love

দেউলিয়া মন

প্রবীর কুমার চৌধুরী
—————————
যুগ সন্ধিক্ষণে কিছু  সময়োপযোগী শব্দ খুঁজে পেয়ে-
তা ছুঁড়ে মারতেই তোমার চোখ,মুখ,কান –
সূর্যোদয়ের অঙ্গার বর্ণে  –  তুমি রক্তিম হলে …।
আমি তো বিস্ফারক শব্দ গড়ি,তাতে ভেঙে পড়ো অবশেষে দয়া পরবশত: সেই ভাঙা টুকরো জোড়া লাগাই।

গোপন সুড়ঙ্গ পথ বেয়ে নেমে আসে  তোমার অভিসন্ধি,

প্রকাশে শঙ্কিত হয়ে খামচে ধরো আমার  জীর্ণ হাড়ের খাঁচাখানি,
হাড় – মাসের দুর্বল হিসাবের কৌটোয় লুকিয়ে রাখো তোমার  অভিসার।
চাল-ডাল-তেলের পাহাড় চুড়োয়  আমি মুক্তি খুঁজি।

কলমের ডগায় অক্ষরলিপির মিছিলে স্লোগান তোলে আমার ধূসর কবিতার পাণ্ডুলিপি।

কিছু, কিছু নিষিদ্ধ প্রেম  দূষণ ছড়ায় মেহনতে  অর্জিত প্রিয় রাতে ,
কত পরকীয়া দেখি গর্ভাশয়ে দুঃস্বপ্নের ছবি আঁকে প্রায়শই।
তবুও ছেঁদো কথার প্রেমকাব্য প্রায়ই জগৎজুড়ে ঝড় তোলে।

মৌচোরের প্রেমে দেউলিয়া হতে ভীষন অনীহা, দুঃসাহসিকতায়
ভীতু প্রেম শুয়ে থাকে ট্রেনলাইনে, সিলিং ফ্যানে, কখনো শিরাকাটা হাতের গভীরে।
অবিশ্বাসের আঘাতে কত ঘর ভেঙে যায় নষ্ট দুপুরে।

কবি হয়ে প্রশ্ন করি, কেন ছন্দহীন, বেসুরো জীবন  বসন্ত সন্ধ্যায় ছোটে,
পোড়া ঠোঁটে লিপস্টিক লাগিয়ে যৌবন হাসে নিষিদ্ধ পাড়ায় ?
হিসাবে তোলপাড় –  সহস্র যৌবন ফাঁদে পড়ে – ” বগা হাসে “।
ভালো যে বেসেছ প্রমাণ দাও  দুঃখের  ভাগ নিয়ে,
চমকে ওঠে সময় … পৃথিবী হাসে।

******************
প্রবীর কুমার চৌধুরী
গড়িয়া,কলকাতা-৮৪

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *