KABYAPOT.COMকবিতা

কবিতা ঃ আমি কবি, কে- ঋদেনদিক মিত্রো ( ভারত ) 

Spread the love

কবিতা ঃ আমি কবি, কে 

 

              ঋদেনদিক মিত্রো ( ভারত ) 

 

[ A Bengali poem like “Ami kabi, ke” i,e “Who is me as a poet”, by Ridendick Mitro describes that a poet gets disrespect in early time and when established also fall in painful situations maximally. Family and society claim that poets life is a ocean of tragedy and unfulfillment.

 

The poet makes us understand that the world runs with the fundamental helps of the poets’ works, as in education, films, theatre, national anthems, poems and songs for movement, reading books for mental groth, buying books of poetry man get satisfaction, children read rhymes to develop memory and fresh thought in life, reading poems in the courses man takes degrees and next takes a job, capitalists use the poets writing for advertisement, lovers use poetry for love, none but poets were the first honors in principality, poets are alive after death as they have had not retirement, and their name glorified family’s name, politicians use poetry in slogans to walls, the best awards are made and given to the poets over the world, and in every step of life. But, others disobey actual honor of poets. On this inhumane structure of ignorance in society Ridendick reveals the actual demands of poets in the civilization with those examples in writing with excellent style into rhyme-levelled process.

——————————–

 

কবিতা,  আমি কবি, কে

 

    ঋদেনদিক মিত্রো  ( ভারত ) 

 

কবিতাটা লিখছি বলে,

করছ আমায় তিরস্কার,

কবির পেট কেমন চলে,

এই প্রশ্ন বিশ্বটার।

 

কবি আবার পদটা কেমন,

কী আছে এর উচ্চতা,

কী আছে এর প্রমোশন,

যা আছে তা তুচ্ছতা।

 

কবিরা কী চাকরি করে,

কবি হওয়া চাকরি কি?

তা-ই না হলে, এ কাজ ধরে

মাথায় গাধার পাগড়ি কী?

 

কবির প্রেম ও বিবাহতে

প্রায় চায় না জুড়তে কেউ,

কারণটা এই সমাজ মতে

কবি মানে জগৎ ফেউ।

 

এতক্ষন শুনিয়ে দিলে

কবির উপর ক্লেচ্ছাচার,

তোমরা করো সবাই মিলে

কবির উপর স্বেচ্ছাচার।

 

এবার আমি বলি তবে,

আসল কারণ ঈর্ষতার,

কিংবা অজ্ঞতাটা হবে,

এই যে সারা বিশ্বটার।

 

আমি কবি, সে কাজ করি,

যে কাজেতে নোবেল প্রাইজ,

সেই কাজে পথ আমি ধরি,

দাঁড়াও, আমি করছি সাইজ।

 

সেই কাজটা আমারই কাজ,

অস্কার বা আছে গ্র‍্যামি,

বিশ্ব জুড়ে যা কিছু সাজ

পুরষ্কারের মেডেল, money,

 

সেরা-সেরা পুরষ্কার ও

উপাধীরও সেরাগুলি,

কবিই তো পায়, ভাবতে পারো,

দিচ্ছি আরো প্রমান ঝুলি।।

 

কবির হয়ে রাষ্ট্রপদক,

রাষ্ট্রসংঘও তো তা-ই,

কবি নিয়ে আরো বিষদ,

বাক্স খুলে দিচ্ছি ভাই।

 

বিশ্ব জুড়ে ছোট বড়

আছে যত প্রতিষ্ঠান,

সকল সভায় হিসেব ধরো

কবির লেখা কাব্য, গান।

 

প্রতি দেশের মূল পরিচয়

জাতীর নামে যে সঙ্গীত,

সেটাই কবির রচনা জয়,

সেখানটাতেও কবির জিৎ।

 

যুদ্ধ কিংবা আন্দোলনে

কবির লেখা কাব্য, গান,

সৈনিক ও জনগনে

আগে সেটাই পাবে স্থান।

 

মায়ের কোলে ছোট্ট সোনা

ঘুমায় যখন চন্দ্রিমায়,

মায়ের মুখে সুরের বোনা

ঘুম পাড়ানি কবিতায়।

 

শিশু যখন পড়তে শেখে,

কবির ছড়ায় পড়তে হয়,

এইভাবে সে পড়ে লেখে,

পড়ার মেধা গড়তে হয়।

 

নিচু থেকে উচ্চ ক্লাসে

কবির লেখা চাইই চাই,

এইভাবে তো ডিগ্রি আসে,

নইলে কারোর শিক্ষা নাই।

 

পথে কত লোক হাঁটছে,

কারোর সেটা খেয়াল নেই,

কোথাও যদি কবি যাচ্ছে,

ঐ যে কবি, নামটি ঐ।

 

তখন মৃদু চঞ্চলতা

ছড়িয়ে পড়ে চারিপাশ,

এসব অনেক গভীর কথা,

কবি নিয়েই কী উচ্ছাস।

 

নানা কাজে নানা গুণী,

পুরষ্কার তো পাচ্ছে কেউ,

কিন্তু কবি পাবে যখন,

আলোচনার পৃথক ঢেউ।

 

কবির বইয়েই আলমারি আর

চেয়ার টেবিল খাট ভরা,

এটাই নাকি বনেদিয়ানার

পরিচয়টা হয় ধরা।

 

বংশ কিংবা পরিবারে

কবির খ্যাতিই পরিচয়,

কবির খ্যাতির পাশে ধারে

অন্য কারোর খ্যাতি নয়।

 

প্রেমেও কবি, প্রেম পত্রে

সবাই লেখে কবিতা,

মনের আবেগ ছত্রেছত্রে

মনের রঙে শোভিতা।

 

রোগ শহ্যায় রুগী পড়ে

কবিতা বই মন দিয়ে,

দুই চোখে তার অশ্রু ঝরে

অনুভবের সুখ নিয়ে।

 

ভোটের সময় নানা দলের

বাহিনীদের দেওয়াল লিখন,

কবিতাতে নানা ছলের

দর্প ভাষায় প্রচার ভীষন।

 

কোনো সভায় সভাপতি,

কবিকে দাও আগে চেয়ার,

হোক তা ছেঁড়াছন্ন গতি,

কবির প্রতি বেশি care।

 

সেই কবিকেই পরিবারে

দিয়ে থাকে অপবাদ,

কাব্য করে, আর কী পারে,

এতে কি আর জুটবে ভাত?

 

এই বিশ্বে সবার পেটের

ভাত দিচ্ছে শুধু কবি,

সেই কবিকে অপমানের

ক্রুসকাঠেতে ঠেসছে সবি।

 

বেতার, টিভি, ইন্টারনেট,

শিক্ষা বিষয় সেই সাথে,

আরো নানা বিষয় অনেক

জুড়ে আছে কবির হাতে।

 

অন্যেরা সব ধনী, নামী,

গ্ল্যামার হয়ে ফাটে হাঁটে,

একটু ভেবে তখন থামি,

এসব গড়া কবির হাতে।

 

কবি থেকেই এসছে আলো,

বিবতর্নের সেই ধারা,

জাগল ভাষা, বোধ গজালো,

সভ্যতাটা হয় সারা।

 

মহাকাশে বিজ্ঞান যায়,

সঙ্গে কবির লেখনি,

মঙ্গলেরও কবিতাটায়

গান হয়েছে দেখোনি?

 

অনন্তে যে পাঠিয়েছে

ভয়েজার এক, দুই, যান,

সেখানেও তো চলেগেছে

কবির লেখা কাব্য, গান।

 

এবার বোঝ, কোন কাজটা

করছি আমি দর্পতে,

এই বিশ্ব যে সাজটা

দেখায় সেরা গর্বতে।

 

এতর পরেও আমায় বলো,

কবি হয়ে লাভটা কী,

কবির ভাষায় সবাই চলো,

তবে এত রাগটা কী!

 

তাই তো কবিতাটা লিখে

গর্ব তাতেই হয় আমার,

যে বিষয়ে পৃথিবীতে

সেরা মান ও পুরষ্কার।

 

যে বিষয়ে মরার পরে

কৃতির খ্যাতি ছড়ায় আরো,

ছড়িয়ে পড়ে ঘরে-ঘরে,

এসব কি কেউ ভাবতে পারো?

 

কবির কাজে নেই অবসর,

নেই তো ছাঁটাই চাকরিতে,

কবিই শুধু যুগের প্রহর

বসে থাকে পদটিতে।

 

কবিকে তাই মানটা দিতে

কারা দেখায় দয়াগুণ,

এবার কবি গেল জিতে

মাখিয়ে তোমায় কালি চুন।

 

খাচ্ছ দাচ্ছ, আছো তো বেশ,

করছ কেন মাতব্বরি,

কবির নামে নালিসটা পেশ,

সত্যি তোমার বাহাদুরি।

 

পুঁজিপতির ব্যাবসা বাড়ে

বিজ্ঞাপনে কবিতায়,

এমনি করে যে যার খাড়ে

যে যার প্রতিযোগিতায়।

 

সুপ্রাচীন কালের থেকে

কবিরাই তো রাজসভায়

শ্রেষ্ঠ মানী সবার চেখে

অস্বীকার কি করা যায়।

 

কবির শুধু অনুমতি

রানীর সাথে প্রেম করা,

রানীদেরই দ্বিতীয় পতি,

নয় তো এটা মন গড়া।

 

স্কুল কলেজে ফাংসানেতে

উদ্দীপনার যা কিছু সব,

সবই কবির কলমেতে,

সব গৌরব, সব অনুভব।

 

সারা বছর সমাজেতে

যত মজার আলোড়ন,

সকল রকম উৎসবেতে

কবির লেখার জাগরণ।

 

যেমন তেমন লেখ তুমি,

ভালো না তা হয়ও যদি,

তবুও তোমায় বলবে গুণী,

বড় না হোক, লোকাল কবি।

 

নাম বাড়ালে, সে তো তখন

সূর্যোদয়ের মতো জ্বলে,

সে কাহিনী অন্য রকম,

প্রমান আছে জলে স্থলে।

 

কেউ বা বলে, কজনে পায়

কবি হয়ে গন্য স্থান,

বোঝো কত কঠিন উপায়,

তাই তো এটার সেরা মান।

 

বুঝলে নিজে, যে মান সেরা,

সেটাই মানতে কাড়াকাড়ি,

এবার যদি হবে ট্যেরা,

খাবে এবার জুতোর বাড়ি।

 

————————————

 

About the poet :– 

 

ঋদেনদিক মিত্রো ( Ridendick Mitro ) পেশায় ইংরেজি, বাংলা ও স্প্যানিস ভাষায় কবি-উপন্যাসিক-গীতিকার-কলামিষ্ট। কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *