আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের (৮ই সেপ্টেম্বর) গুরুত্ব ও তাৎপর্য
অভিজিৎ দত্ত (জিয়াগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ)
সোমবার আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস (০৮/০৯/২৫)।এই দিবসটির অসম্ভব গুরুত্ব রয়েছে আমাদের কাছে।নিরক্ষরতা একটা অভিশাপ। নিরক্ষর হওয়া যেমন নিজের জন্য বিপদ তেমনি বিপদ দেশ ও দশের জন্য। সাক্ষরতার আলোয় মানুষ যতদিন না উদ্ভাসিত হচ্ছে জীবনের গুরুত্ব কি সে অনুভব করতে পেরেছে? দেশ ও সমাজকে উন্নত করতে হলে সবচেয়ে বেশি দরকার শিক্ষার বা সাক্ষরতার। এইকারণে ১৯৬৬ সালে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সম্মেলনে ১৪তম অধিবেশনে ৮ই সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।১৯৬৭ সাল থেকে প্রতিবছর ৮ই সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।শান্তিপূর্ণ,ন্যায়সঙ্গত , বৈষম্যহীন,একটি উন্নত সমাজ গড়তে হলে সাক্ষরতার খুবই দরকার।ন্যায়, সাম্য, মূল্যবোধ,সততা ,শান্তি ও অহিংসার জন্যও সাক্ষরতার দরকার। সাক্ষরতা একজন মানুষকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।সাক্ষরতা মানুষকে সমস্ত অন্যায়-অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়তে শেখায়।আজ বিশ্বের ৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী প্রায় ২৫ কোটি শিশু স্কুলের বাইরে রয়েছে।বিশ্বের প্রায় ৬০ মিলিয়ন শিশু প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। উন্নত পৃথিবীর স্বপ্ন তখনই সফল হবে যখন সব শিশুকে শিক্ষার আঙিনায় নিয়ে আসতে পারবো।তাই সবচেয়ে বেশী দরকার সাক্ষরতার। সাক্ষরতা ছাড়া মানুষ কোনকিছু পড়তে বা জানতে পারবে না।তারফলে মানুষ সচেতন হতে পারবে না।ফলে উন্নত সমাজ গড়ার যে স্বপ্ন আমাদের পূর্বজরা দেখেছিল তা ব্যর্থ হতে বাধ্য। তাই সবাইকে শিক্ষার আঙিনায় নিয়ে আসতে হবে ও উপযুক্ত শিক্ষার সাহায্যে তাদের উপযুক্তভাবে গড়ে তুলতে হবে।এইজন্যই স্লোগানটি জনপ্রিয় হয়েছে সবকা সাথ, সবকা বিকাশ। তাই আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস গোটা বিশ্বে গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হোক।
আমার এই কবিতাটি প্রকাশ করার জন্য মাননীয় সম্পাদক মহাশয়, এবং কাব্যপট পত্রিকার সবাইকে জানাই আমার আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ।
Very very nice.
Very nice
[…] শিশুর চাবি… বিশ্বনাথ সাহা […]
[…] আরও পড়ুন:-ভ্রমণ পিয়াসী : বিশ্বনাথ সাহা […]