Hairuba_हाइरुबा_হাইরুবা
কবি ষষ্টী কুমার দাস
[India _इन्डया_ইন্ডিয়া, পশ্চিমবঙ্গ, মুর্শিদাবাদ, সুতি-১]
Hairuba_हाइरुबा_হাইরুবা: “হাইরুবা” একটি নব্যকাব্য ধারার নাম। বাঙলাভাষার সাহিত্য আঙ্গিনায় কবি ষষ্ঠী কুমার দাস মহাশয়ের সৃষ্টি এই নতুন কাব্যধারা যূথিকা সাহিত্য প্রকাশনী (ISSN:2581-7485) থেকে ২৬শে জানুয়ায়ী ২০১৮ তারিখ প্রথম প্রকাশ হয়। অনুভূতির কথা ব্লক সম্পাদন মহাশয়ের কথায় “হাইরুবা” কাব্যধারা সমাজ সংস্কৃতির রক্ষক অ্যান্টিভাইরাস।
নামকরণ: হাইরুবা কাব্যধারায় প্রথম স্তবকে বহু প্রাচীন হাইকু কাব্যধারার কবিতার বৈশিষ্ট্য ও দ্বিতীয় স্তবকে রুবাইয়ত কাব্যধারার কবিতার বৈশিষ্ট্য আছে। কবি নিজেই হাইকুর শব্দটি থেকে হাই শব্দাংশ এবং রবাইয়ত- শব্দের থেকে রুবা শব্দাংশ জুড়ে দিয়ে হাইরুবা শব্দটি উদ্ভব করে নামকরণ করেছেন। স্বস্ব
বাংলা সাহিত্যে নব ধারার “হাইরুবা” কবিতার চারিত্রিক ও গঠণ বৈশিষ্ট্য আছে। কবির তাঁর বাঙলা সাহিত্য আঙ্গিনায় “তানকা ও হাইরুবা” (ISBN: 978-81-938794-4) কাব্যগ্রন্থে নিজেই হাইরুবা কাব্যধারার বহু উদাহরণ সহ বৈশিষ্ট্য গুলি বাংলা করেছেন।
ক) বাংলা সাহিত্যে নব ধারার “হাইরুবা” কবিতার উদাহরণ সহ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হলো:
১) “হাইরুবা” কবিতার প্রধান চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হলো ব্যঙ্গ বিদ্রুপমূলক কবিতা। তাই হাইরুবা কবিতাকে সমাজ সংস্কৃতির ধারক বাহক রক্ষক ও প্রতিশেধক অ্যান্টিভাইরাস।
২) প্রথম স্তবকে ব্যঙ্গ বিদ্রুপের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন দিকের দোষ ত্রুটি বিচ্যুতি কুসংস্কার অভাব অভিযোগ ফুটিয়ে তোলা।
৩) দ্বিতীয় স্তবকে ১ম স্তবকের উক্ত বক্তব্যের প্রতিহত করে প্রতিরোধের মাধ্যমে দিশা প্রদর্শন বা পথ নির্দেশ সুকৌশলে উপস্থাপন করা হয়।
৪) ব্যঙ্গ বিদ্রুপ বটে কিন্তু ব্যক্তি গোষ্ঠি আক্রমণ নয় ও কোন সম্প্রদায়ের বিশ্বাসে আঘাত নয়।
৫) “হাইরুবা” কবিতা তির্যক ব্যঞ্জনাত্বক, আক্রমণাত্মক ভাব আবেগ হলে শিশু পাঠকের বোধগম্য হবে।
৬) কবিতার বক্তব্যের ভাষা ও বক্তব্য প্রকাশে যথাসাধ্য সহজ সরল ভাষায় হবে, আঞ্চলিক ভাষার প্রয়োগের মাধ্যমে মনোভাব প্রকাশ করা হয়।
খ) “হাইরুবা” কবিতার গঠনগত বা গঠনশৈলীর বৈশিষ্ট্য হলো:
১) পংক্তি- হাইরুবা কবিতার সাতটি পংক্তি হয়।
২) স্তবক- ২টি স্তবক নিয়ে গঠিত হাইরুবা কবিতা।
ক) ১ম স্তবকে তিনটি লাইন বা পংক্তি নিয়ে গঠিত হয়। ১ম পংক্তিতে পাঁচটি শব্দ, ২য় পংক্তিতে সাতটি শব্দ, ও ৩য় পংক্তিতে পাঁচটি শব্দ নিয়ে গঠিত।
খ) ২য় স্তবকে চারটি পংক্তি নিয়ে গঠিত। এই স্তবকে ৪র্থ ও ৬ষ্ঠ পংক্তিতে পাঁচটি করে শব্দ এবং ৫ম ও ৭ম পংক্তিতে সাতটি করে শব্দ নিয়ে গঠিত।
৩) পর্ব- শব্দ সংখ্যা নির্দিষ্ট রেখে বর্ণবৃত্ত গণনায় লাইনে পর্ব বিভাজন ও পর্ব সংখ্যা কবির ভাব প্রকাশের সুবিধা মতো।
৪) অন্ত্যমিল-
ক) ক, খ, ক; গ, খ, গ, খ/
খ) ক, খ, ক; গ, গ, ঘ, ঘ/
গ) ক, খ, ক; ক, খ, ক, খ
৫) লয়- কবিতায় ব্যবহারিত পর্ব, ছন্দ, কবির মনোভাব প্রকাশ ও কথা বা শব্দের প্রয়োগের উপর লয় দ্রুত, মধ্যম ও ধীর হবে।
৬) ভাব প্রকাশ- কবি যদি মনে করেন একটি হাইরুবা কবিতায় ভাব প্রকাশ করা যাচ্ছে না, তবে পরপর একাধিক হাইরুবা কবিতায় সম্পূর্ণ মনোভাব পোষণ করবেন।
হাইরুবা কবিতায় শব্দ সংখ্যা ঠিক রেখে বর্ণবৃত্ত মাত্রায় গণনাও বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। তবে সুরকারের ও গায়কের বিশেষ সুবিধা হবে, আপনার কবিতার প্রাণ প্রতিষ্ঠায়।
গ) বাংলা সাহিত্য কাব্যধারার তানকা ও হাইরুবা গ্রন্থে তানকা কবিতার পাশাপাশি হাইরুবা কবিতা লিখেছেন, এমন কয়েকটি উল্লেখ করা হল।
১) মহাকবি
ভাবের প্রেমিক, ভবে হাবুডুবু হায়!
লেখক কবি শিল্পী সাহিত্যিক সাংবাদিক নেতা নেত্রী
তাল মিল ছন্দে ভাবের খেয়াবায়।
যার লেখার পাঠক সর্বত্র সাধারণ
তিনিই হলেন লেখক সাহিত্যিক কবি সাহিত্য সাথী
আর যে সাহিত্যের পাঠক সাহিত্যিকগণ
তিনিই হলেন কবির কবি মহাকবি সংস্কৃতির সাথী।
================================
২) জীবাণু যুদ্ধ
১
বিশ্বের শক্তিধর অস্ত্র ব্যবসায়ীরা বহুরূপী!
ওরা আজ জীবাণু ধ্বংসকারী ঔষধ ভ্যাকসিন বিক্রেতা
দেশবাসী কর্মচারী সাবধান, চক্রান্ত বিশ্বব্যপী!
ব্রহ্মান্ডের বিশ্বব্যপী শুরু জীবাণুযুদ্ধ
পৃথিবীর কোনায় কোনায় মৃত্যুর মিছিল অভ্যাহত
জীবাণুবোমা বাস্টে মুক্তিপথ অবরুদ্ধ
রাষ্ট্রপুঞ্জ হু কে রাখে কার খবর কেন এত হতাহত।
২)
বোঝছেন, চাচা আপন জান বাঁচা!
চল NO করোনা YES করুণা আন্দোলনে নামবেনা!
মহাবিপদ CAA NRC আন্দোলন বাছা!
নোবেল করোনা কাঁসর ঘন্টায় পালাবেনা
ক্যাডার নেতা নেত্রী মন্ত্রী কাওকে তো ছাড়েনা
ধর্মীয় উৎসব সুড়সুড়ি জাতপাত মানেনা
কভিড ১৯ডাক্তার পুলিশ প্রশাসন আইন ধারেনা!
৩)
শোনো, প্রকৃতির ভারসাম্য প্রকৃতিই রক্ষিবে!
ঠাকুর দেবতা পীর মানুষের সাধ্যকী তাহা খন্ডিবে!
গবেষক আবিষ্কারক স্রষ্টারই সৃষ্টি জানবে!
দৃশ্য অদৃশ্য প্রকৃতির সৃষ্টি পঞ্চভূত
ঈশ্বর বিদ্যুৎ শক্তি সরূপ তারের ভিতরে বয়
বায়ুতে রয় তাপের মতো অনুভূত
এ অশরীরী অদৃশ্য শক্তি মোদের মারবে নিশ্চয়!!
==================================
৩) পরাজয় মানে হার নয়
(১)
দান-ধ্যান প্রকল্প ভাতা উন্নতি নয়!
সিভিক গেষ্ট দিয়ে রাজ কার্য চালা প্রতারণা!
শিল্পী বুদ্ধিজীবী দল-দাস মতি হয় !
ভাষণ তোষণ বিরোধী মাওবাদী নয়!
বিজয় উল্লাস “জয় শ্রী রাম” গালাগালি না!
জেনেছে ভোটার, কী বিচক্ষণ হায়!
মানে’না, “পরাজয় মানে হার নয়” ভাবে করুণা।
(২)
সভামঞ্চে গাওয়া স্ততি, মন্ত্র নয় !
যা-তা আওড়ানো সূরা, মন্ত্র পাঠ নিরপেক্ষতা না!
কেউ নাতো শিল্পপতি চপ ভাজায়!
পরোপকার পরকীয়া আসক্তি নয়!
সর্ব-শ্রী মিথ্যা গুজবে বিশৃঙ্খলা উন্নয়ন না!
জেনে গেছে ভোটার, কিসে উন্নতি হয়।
মানে না “পরাজয় মানে হার নয়”! ভাবে যন্ত্রণা।
(৩)
হিজিবিজি শব্দগুচ্ছ কাব্য নয়!
উদ্ভট কল্পনা! অবাস্তব ভাবনা! কবিতা না!
৪২ মানে ২২ রাজনীতিতে হয়।
ন্যায়ের বিরোধীতা প্রগতি নয়!
ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ ইচ্ছা, পদত্যাগ না!
ওরা পরিবর্তনের পরিবর্তন চাই!
মানে না “পরাজয় মানে হার নয়” ভাবে সান্তনা।
(৪)
ন্যায্য প্রাপ্য চাইলে ঘেউ ঘেউ হয়!
প্রোমোটার তোলাবাজ সুযোগ সন্ধানী, বন্ধু না।
ন্যায় পাওনা চাওয়া অন্যায় নয়!
সরকারী কর্মচারী কৃতদাস তো নয়!
দলীয় নেতা কর্মী পোষ্যপুত্র বা ঘর জামাই না
ওরা জার্সি পাল্টে পাল্টে খেলতে চাই!
মানে না “পরাজয় মানে হার নয়” জয়ের সম্ভাবনা।
(৫)
নোটবন্দী নয় ফন্দি, নয় অভিনয়
সার্জিক্যাল স্টাইক, দেশের সঙ্গে নয় ছলনা
গায় জয়ধ্বনি “ভারতমাতা কি জয়”।
সত্য ন্যায় প্রগতি, ধর্মের জয় সদায়
সেবা ত্যাগ ভ্রাতৃত্বে মুক্তি, জেনেও বলি বিড়ম্বনা।
আমি জানি, স্বদেশের লাভ হোথায়!
তবুও বলি “পরাজয় মানে হার নয়” এ দল বন্দনা।
==================================
৪) সিভিক ছানা
(১)
হাসপাতালে রোগী দেখবে সিভিক ডাক্তার
চাল চলন বেশ ভূষায় হম্বিতম্বিতে ফুল ডাক্তার
ফাঁকি দিয়েই চেম্বার করে বাটপার
বিপদে রোগী ডাক্তার ভোগী ছলে
নিত্য খেলছে জীবন মরন বাঁচা মারার খেলা।
জাল জোচ্চরির ফল্স সার্টিফিকেট তুলে
প্রত্যহ হাতে কলমে ফাঁকি কাজ কর্ত্তব্যে অবহেলা।
(২)
শিক্ষা দীক্ষার প্রতিষ্ঠানে সিভিক শিক্ষক
শিক্ষা দিতে বেশ ভূষায় চাল চলনে মাষ্টার
উপরি আয়ে প্রাইভেটেতে সে পরীক্ষক
ছাত্র ছাত্রীর আদর সোহাগ সম্ভোগ
লেখা পড়ার ছলে মেটায় মন পিপাসা দু’বেলা
সিলেবাস আর ক্লাসের বাহিরে সুযোগ
বোঝ টাকা নিয়ে ফাঁকির ডিগ্রী কেনার জ্বালা।
(৩)
প্রশাসন পুলিশী দায়িত্বে সিভিক ছানা
বেশ ভূষায় বড় অফিসার টাকা ছাড়ার মাষ্টার
উপরি আয়ে ঘুষ জোচ্চুরিতে নেইমানা।
সমাজ সেবা শিকেয় তুলে ধান্দাবাজ !
স্বাধীন দেশবাসী নেতা নেত্রী সুজন পাচ্ছে আঁচ !
ভেকধারী সব সিভিক নেতা তোলাবাজ !
সাধু যোগী মোমিন সাবেক সংবিধান পাল্টে বাঁচ।
=========================
৫) কমনওয়েল্থ
১)
কমন-ওয়েল্থ ভুক্ত দেশের স্বাধীনতা !
নিলামে যুব যুবার স্বপ্ন, গণতন্ত্র গা মাথাব্যাথা
স্বাদ-হীন-তা বুঝছে সব পার্টির জনতা!
বিশ্বমাঝে মাথা তোলার নেই ক্ষমতা?
পররাষ্ট্র ছাঁচে গড়া দেশ গুলোর রীতিনীতি খাজা!
খেয়ে বেহুঁশ জনতা হারিয়েছে মানবিকতা,
অপরাধী সক্রিয় সাধু যোগী মোমিন পাচ্ছে সাজা!
২)
ব্রিটিশী উপহার ঐ কমনওয়েলথ সিষ্টেম
যা প্রজা শোষণ রিমোট যন্ত্রের মানুয়েল সংবিধান
প্রধানমন্ত্রী খেলবে সেই নিয়মেই গেম।
চলছে চলবে গোপনে জনমত বেচাকেনা
তবুও মোরা নেশায় পেশায় আশায় নেতার বলদ
কেউবা বাঘের বাচ্চা বাড়িটা চিড়িয়াখানা
যা রটে তা ঘটেনা, কাকতলীয় কাকতারুয়া গলদ।
===================
ভাত আমাকে খায়
আমি অন্নপ্রাশন থেকেই অন্ন খাই
-এখন, ভাত- অন্ন- নবান্ন- প্রসাদ- আমাকেই খায়!
যদিও হজমের যন্ত্র পৌষ্টিকতন্ত্র সক্রিয়।
খাদ্যের পুষ্টিগুণ জানি, ভেষজ ফুল ফল লতা পাতা চিনি
চিনি আমার ভীষণ প্রিয় তবুও আজ শত্রু! করে বেইমানি
কিছু বেচে কিছু বেছে কিনে খায়, আরো বাঁচতে ইচ্ছে তাই
আমি রুগী, এখন ভাত অন্ন নবান্ন প্রসাদ আমাকেই খায়!
=======================
৬) পরাজয় মানে হার নয়
(১)
দান-ধ্যান প্রকল্প ভাতা উন্নতি নয়!
সিভিক গেষ্ট দিয়ে রাজকার্য চালা, প্রতারণা!
শিল্পী বুদ্ধিজীবী দল-দাস মতি হয় !
ভাষণ তোষণ বিরোধী মাওবাদী নয়!
বিজয় উল্লাস “জয় শ্রী-রাম” গালাগালি না!
জেনে গেছে ভোটার, কী বিচক্ষণ হায়!
মানে না, “পরাজয় মানে হার নয়” ভাবে করুণা।
(২)
সভা মঞ্চে গাওয়া স্ততি, মন্ত্র নয় !
আওড়ানো সূরা, মন্ত্রপাঠ নিরপেক্ষতা না!
কেউ নাতো শিল্পপতি চপ ভাজায়!
পরোপকার পরকীয়া আসক্তি নয়!
সর্ব-শ্রী মিথ্যা গুজবে বিশৃঙ্খলা উন্নয়ন না!
জেনে গেছে ভোটার, কিসে উন্নতি হয়।
মানে না “পরাজয় মানে হার নয়”! ভাবে যন্ত্রণা।
(৩)
হিজিবিজি শব্দগুচ্ছ কাব্য নয়!
উদ্ভট কল্পনা! অবাস্তব ভাবনা! কবিতা না!
৪২ মানে ২২ রাজনীতিতে হয়।
ন্যায়ের বিরোধীতা প্রগতি নয়!
ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ ইচ্ছা, পদত্যাগ না!
ওরা পরিবর্তনের পরিবর্তন চাই!
মানে না “পরাজয় মানে হার নয়” ভাবে সান্তনা।
(৪)
ন্যায্য প্রাপ্য চাইলে ঘেউ ঘেউ হয়!
প্রোমোটার তোলাবাজ সুযোগ সন্ধানী, বন্ধু না।
ন্যায় পাওনা চাওয়া অন্যায় নয়!
সরকারী কর্মচারী কৃতদাস তো নয়!
দলীয় নেতা কর্মী পোষ্যপুত্র বা ঘর জামাই না
ওরা জার্সি পাল্টে পাল্টে খেলতে চাই!
মানে না “পরাজয় মানে হার নয়” জয়ের সম্ভাবনা।
(৫)
নোটবন্দী নয় ফন্দি, নয় অভিনয়
সার্জিক্যাল স্টাইক, দেশের সঙ্গে নয় ছলনা
গায় জয়ধ্বনি “ভারতমাতা কি জয়”।
সত্য ন্যায় প্রগতি, ধর্মের জয় সদায়
সেবা ত্যাগ ভ্রাতৃত্বে মুক্তি, জেনেও বলি বিড়ম্বনা।
আমি জানি, স্বদেশের লাভ হোথায়!
তবুও বলি “পরাজয় মানে হার নয়” এ দল বন্দনা।
== ==!!!====!!!====!!!====!!!====
৭) নিজস্বতায় মান সম্মান সম্ভ্রম
১)
প্রতিষ্ঠান স্বস্বাধীন, উইনিফর্ম তার পরিচয়
প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের থাক নিজস্ব নাম প্রতীক পতাকা
নিজস্ব সত্তা ধারণে বাঁচুক প্রতিষ্ঠান।
শিক্ষার্থী কর্মচারী সন্তান প্রতিষ্ঠান যেন মা
প্রতিষ্ঠান মায়ের পরিচয় নাম প্রতীক পোশাক পতাকা রেজিস্ট্রেশন এগুলো মায়ের মান সম্মান সম্ভ্রম
এ মায়ের যেন নিজস্ব ধর্ম মত জাত, তাতে কেন হাত!
২)
ডাক্তার নার্স আশাকর্মী উকিল পুলিশ সৈনিক
নিজস্ব নাম ধাম নয়, পোশাক পরিচ্ছদ প্রতীক পরিচয় ওরা নিজস্বতায় বাঁচুক; ধর্মান্ধ তোদের ধিক!
ডাক্তার নার্স আশাকর্মী উকিল পুলিশ সৈনিক
চিনি পোশাকে, ছাত্র ছাত্রী তার ব্যতিক্রম হবে কেন ?
হিন্দু মুসলিম জৈন খ্রিস্টান অন্যান্য ধর্মাবলম্বী
ধর্মস্থানে ধর্মীয় পোশাকে যথারীতি ধর্মচর্চা করে যেন।
৩)
দর্শন বিজ্ঞান স্বধর্মে পৌঁয়ছে গ্রহ উপগ্রহে
ধর্মান্ধ মূর্খরা খুঁজছে খাদ্যে পোশাকে জাতি ধর্ম
বসে মন্দির মসজিদ গির্জায় তীর্থে স্বাগ্রহে!
ধর্মান্ধ মূর্খ প্রকৃতিতে দৃশ্য অদৃশ্য
জড় জীব চিনিস স্বধর্মে, জীবন জীবিকা পোশাকে।
তোরা কি ধর্মীয় নেশায় আদিবাসী?
তোরা কী মূর্খ! ধর্মীয় বড়ি কিনে খাবি আনলাইনে !
==================================
৮) চরিত্র বিচিত্র
১)
একবিংশ শতাব্দী সম্ভ্রান্ত অব্দী বিকৃতা!
বিলিতি পাখি কুকুর আশ্রয়দাতা! পশুপাখি পোশাকে ভদ্রতা!
মালিক উলঙ্গ প্রবনতা! কী দুরদর্শীতার!
পশু-পাখির মালিকের পিতা মাতা
অনাথাশ্রমে আশ্রিতা! এ কেমন ভদ্রতা! হায় বিধাতা!
কোথায় বিবেক দয়া মায়া মমতা!
শ্রেষ্ঠ হিংস্র জানোয়ার মানুষ! মানুষের শুধুই আদিখ্যেতা!
২)
জন্মদাতা পিতা মাতা অসময়ের ছাতা
ছেঁড়া ফাটা পোশাকে অনাহারে অর্ধাহারে পরিত্যাক্ত ঘরে!
ছেলে বৌমা তাদের সন্তানদের অন্নদাতা!
উৎসব ছেলে যাচ্ছে শ্বশুর বাড়ি
ছেলে বৌমার রাজকীয় পোশাক! নতুন সম্পর্ক! নববার্তা!
সঙ্গে বৌমা ফল মিষ্টির হাড়ি,
শ্বাশুড়ী শালীর অনলাইনে কেনাকাটায় দামি শাড়ী ছাতা।
৩)
ছেলে পাড়া পড়শির স্বামী নেতা!
অর্দ্ধশিক্ষিত! WBCS AIS IPS চড়ায়! দায়িত্বে অভিনেতা!
আছে বৌমার আঁচলে লুকানোর দক্ষতা।
সুযোগ সুবিধাবাদী গিরগিটি চরিত্রে উগ্রতা
বৌমার কাছেই কাবু চালচলনে ফুলবাবু আয়ে অবৈধতা!
আর জন্মদাতার সেবা শুশ্রুশায় নির্মমতা!
চরিত্র বিচিত্র এটায় নাকি দেশসেবা কোথায় মানবিকতা!
====================================
৯) অপমৃত্যুর কোলে পৃথিবী ঢোলে
পৃথিবীর আনাচে কানাচে সজ্জিত সমরাস্ত্রে
কূহূরা নয় মহূড়া! অপমৃত্যুর কোলে পড়েছে ঢোল
বসন্তের পৃথিবী, বারুদগন্ধ প্রকৃতির বস্ত্রে
সন্ধি চুক্তির বস্ত্র খুলে প্রলয় তান্ডবে ব্যস্ত শক্তিধর
শক্তি প্রভাবে অকেজো অস্ত্র সস্ত্র যন্ত্র তন্ত্র আবার
বোলতার হূলেই পাল্টাঘাত দিতে অস্ত্র রেখো খুলে
দেখো কে মরে কার রোষে, কি সেটিং তলে তলে।
========++++=====+==========++++
১১) গিরগিটি বহুরূপী
(১)
সখী, ফুল বদলে চরম ভুল
সখী একি দেখি, এই ফুলেও সেই মুকুল
আহা, গেল বুঝি দুই কুল!
বৃথা হলো, রং পাল্টে আনাগোনা
হলো না, এই ফু্লের সেই ফুলের মধু খাওয়া
কথা হলো, ঢং পাল্টে নেতা মানেনা
মাছি হয়ে, বৃথা হলো মৌমাছি সাজতে যাওয়া।
===============================
১২) মহাকবি
ভাবের প্রেমিক, ভবে হাবুডুবু হায়!
লেখক কবি শিল্পী সাহিত্যিক সাংবাদিক নেতা নেত্রী
তাল মিল ছন্দে ভাবের খেয়াবায়।
যার লেখার পাঠক সর্বত্র সাধারণ
তিনিই হলেন লেখক সাহিত্যিক কবি সাহিত্য সাথী
আর যে সাহিত্যের পাঠক সাহিত্যিকগণ
তিনিই হলেন কবির কবি মহাকবি সংস্কৃতির সাথী।
================================