Spread the love

উলঙ্গ

বিধানচন্দ্র হালদার

চন্দন বনে চন্দন উবে যাচ্ছে
আমরা না দেখার ভান করি
উলঙ্গ বুকে এগিয়ে চলেছি
ইঁদুর গর্তের ফাঁকে ফাঁকে।

চোখে চোখে লোডশেডিং
আমরা না দেখার ভান করি
চাঁদের প্লেট ভেঙে ফেলি
খুঁজে বেড়াই কাঁকড়ার গর্ত।

কেউ কেউ বলেন—
এসব লিখলে কবিতা হয় না?

যদি লিখতাম—
গাছ-গাছালি ,নদ-নদী, মাঠ-ঘাট, পাখি-টাকি…
তাহলে হয়তো শ্রেষ্ঠ কবিতা।

যদি ছন্দের নৌকায় অর্থহীন শব্দ ভাসিয়ে দিতাম
যদি রাজকীয় সবদিক চিহ্নের জয়ধ্বনি গাইতাম
যদি জেগে থেকে কলমকে ঘুম পাড়িয়ে দিতে পারতাম
তাহলে হয়তো একাডেমি বা ফেকাডেমি জুটতো!

আসলে আমার কলম —
ঘুমের ভিতর রাস্তা খুঁজে বেড়ায় —

যতদিন ক্ষীরের মৌচাক থাকবে
ততদিন শব্দের ঢিল মারবই।

সেটা কবিতা হোক বা না হোক
তবু কলমের মাথা উর্দ্ধমুখী করে লিখে যাবো–
টুকরো টুকরো রক্ত দিয়ে
পেটে পেটে খিদে দিয়ে
বিন্দু বিন্দু অশ্রু দিয়ে
জীবনের বর্ণমালা তৈরি করবোই।

আগামী প্রজন্ম যেন সত্যের উদ্বোধনী সংগীত
মাথা উঁচু করে গাইতে পারে প্রকাশ্য রাস্তায়।

সময়ের দর্পণ কবি
বিধানচন্দ্র হালদার
কাকদ্বীপ। শান্তিনিকেতন। কবিতা কুঞ্জ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *