‘ফেরিওয়ালা ,
শোভা মন্ডল । কলকাতা
****************
ফেরিওয়ালা ,
ও ভাই ফেরিওয়ালা ,
তোমার কাঁধে কাঁচা বাঁশের বাক ,
তার দুই প্রান্তে বেধেছ দুটি মস্ত ঝোলা ,
রোদে পুড়ে ,
জলে ভিজে করছো তুমি এ পাড়া সে পাড়া ,
তুমি যে ফেরিওয়ালা ।
কি আছে তোমার ঝোলায় —
আলু পটল , চাল ডাল ,
এনেছ কি ভাত ?
যদি এনে থাকো ,
দাওনা— দাওনা দুটি ভাত ।
এই দেখো ,
হাতে আমার ভাঙাচোরা তোবড়ানো একখানি শূন্য থালা ,
কেউ দিল না কিছু ,
তিনদিনের অভুক্ত পেট পারে না সইতে আর খিদের জ্বালা ।
তবুও তো তুমি বিক্রিবাটা করে ফিরে যাবে নিজ ঘরে ,
বেঁচে যাবে সংসার তোমার ।
আমার তো আর নেই কোন দেশ ,
নেই ঘর , নেই সংসার ,
আমি যে পরিযায়ী,
পথের বাউল ,
পথেই হব শেষ ।
খালি পেটে , নগ্নপদে ,
দীর্ঘপথের ধকল পারল না নিতে বাপটা আমার ,
পিছে পিছে গেল চলে আমার দুখিনী মা ।
সব শেষে গেল ছোট্ট বোনটি ,
যে ছিল চোখের মনি আমার ।
তবুও আমার মরন হলো না।
ফেরিওয়ালা!
ভাই আমার আমি মরে গেলে খবরটা দিও ,
আসবে যখন তোমার দুয়ারে সরকার ।
ফেরিওয়ালা !
বন্ধু আমার ,
ভালো থেকো ,
তুমি ভালো থেকো বন্ধু আমার ,!!