উত্তরাধিকারী
শচীদুলাল পাল
গঙ্গা তীরবর্তী হুগলি জেলার রিষড়া শহর।এক আভিজাত্যপূর্ণ পরিবারের ধনশালী ব্যক্তি অরিন্দম রায় বয়স প্রায় চল্লিশ। বিশাল ধনসম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধিকারী। প্রমোটারি করেও প্রচুর টাকা জমিজমা পুকুর কয়েকটি ফ্ল্যাটের মালিক। মাফিয়া গুন্ডা বদমায়েশ পুলিশ প্রশাসন সব তার হাতের মুঠোয়।
পঁচিশ বছর বয়সে মালতি নামে এক সমবয়সী মেয়েকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। ভোগ বিলাসের সমস্ত সামগ্রী ছিল।
বেশ সুখেই থাকতো। বছর পাঁচেক বাদে সমস্যা। কোনো সন্তানের জন্ম দিতে পারেনি মালতি। সেই নিয়ে কলহ ঝগড়াঝাটি। অবস্থাপন্ন ঘরের মেয়ে ছিল মালতি। মায়ের কথা মত চলতো।ফলে মায়ের নির্দেশে একদিন বাপেরবাড়ি চলে গেলো। কিছুদিন ছাড়াছাড়ির পর বিবাহবিচ্ছেদ। মিউচুয়াল ডিভোর্স। বেশ কিছু টাকা অবশ্য লেগেছিল।
বছর খানেক পর একদিন মা বলল” অরিন্দম। তুই আবার একটা বিয়ে কর। বংশে এক সন্তান চাই।এতবড় বিশাল সম্পত্তির উত্তরাধিকার চাই।আমি তোর জন্য এক সুন্দরী মেয়ের সন্ধান পেয়েছি।মেয়েটি গ্রামের মেয়ে। লেখাপড়া জানে।আমার খুব পছন্দ। একদিন গিয়ে দেখে আয়।”
অরিন্দম বলল ” হ্যা মা ঠিক বলেছো। আমি আবার বিয়ে করব তোমার পচ্ছন্দমতো।”
একদিন মামাকে নিয়ে মেয়ে দেখতে গেল। সাধারণ পরিবার। কুড়ি বছর বয়সী অতি সুন্দরী মেয়ে।ফর্সা,ত্বন্বী, সুনয়না। শান্ত নিরিহ।পটল চেরা চোখ।সুলক্ষণ যুক্তা।খোলা চুল পাছা ছাড়িয়ে গেছে।আকর্ষণীয় দেহ সৌষ্ঠব।
সাধারণ পোশাক। এক দেখায় মেয়ে পচ্ছন্দ হয়ে গেলো। অরিন্দম বলল ” মেয়ে আমার খুব পছন্দ। আপনাদের কিচ্ছু লাগবেনা। এমনকি অতিথি আপ্যায়নের যাবতীয় খরচ আমার।”
নিদিষ্ট দিনে মহাধুমধামে বিয়ে করে বউ নিয়ে ঘরে এল।প্রীতি ভোজে বহু আত্মীয় স্বজন বন্ধুবান্ধব চেনা জানা লোকজনের জনসমাগম। উচ্চমানের ভোজ সভায় নেতা মন্ত্রীরাও উপস্তিত ছিল।
অরিন্দমের নতুন বউ।নাম তার করিনা। বয়স বছর কুড়ি।
করিনা সোনা দানা গয়না গাঁঠি বিলাসবহুল বাড়ি গাড়িতে ভরপুর বাড়িতে এসে খুব খুশি। সে নিজেকে খুব ভাগ্যবতী মনে করল।
বর ঘর পেয়ে তার আনন্দ আর ধরেনা। বাড়িতে ঝি চাকর, রান্না বান্নার লোক কোনো কিছুর অভাব নেই। বিশাল জমির উপর বাড়ির বাউন্ডারির ভিতরে গাড়ি রাখার গ্যারেজে ছোট বড়ো মিলিয়ে পাঁচ পাঁচটি গাড়ী । বাগান লন।অনেকরকম গাছ।বাগানে নানান দেশি-বিদেশি ফুলের গাছ।বাগানে বিদেশি ঘাসের গালিচা।
করিনার বেশ আনন্দেই কাটছিল।
নিয়মিত শরীর চর্চা করতো। নিজেকে স্লিম রাখতে ব্যায়াম প্রানায়াম ধ্যান করতো ।বাড়িতে বিউটিশান আসতো। করিনা সুন্দরী ত ছিল আরো দিনদিন রূপ লাবণ্যে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে লাগলো।
অরিন্দমের সাথে সহবাস করতো। এভাবে তার বছর দশেক কেটে গেলো। কিন্তু তার গর্ভে সন্তান আর আসেনা।
সন্তান কবে আসবে? শাশুড়ীও মাঝে মাঝে খোঁজ খবর নেয়।সন্তান কামনায় ব্রত উপবাস পুজা পার্বণ প্রায়ই করতো।
তীর্থে তীর্থে অরিন্দমের সাথে ঘুরে বেড়াতে লাগলো। অনেক মানত করলো। যে যা বলে সবকিছু করলো। কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না।
একদিন অরিন্দমের সাথে গায়নোক্লোজিষ্টের কাছে গেলো। নানান টেষ্ট /পরীক্ষা নীরিক্ষা করালো। কিন্তু করিনার কোনো ত্রুটি ধরা পড়লো না।সবই নরম্যাল।
শাশুড়ী মা একদিন এক প্রখ্যাত তান্ত্রিক কে নিয়ে আসলেন। উনি নির্দেশ দিলেন “সুর্যোদয়ের পূর্বে গঙ্গাস্নান করে অশ্বত্থ গাছের তলায় জল ঢালতে হবে।”
শাশুড়ীমা ছেলেকে বললেন
” বাবা অরিন্দম , তোকে করিনাকে নিয়ে ভোরবেলা মাঝেমধ্যে গঙ্গা যেতে হবে “।
গঙ্গা বাড়ি থেকে প্রায় দু কিলোমিটার।
অরিন্দম বললো সারাদিন ব্যবসার কাজকর্ম হিসেব নিকেশ সেরে ঘুমাতে যেতে আমার অনেক রাত হয়ে যায়। আটটার আগে ঘুম থেকে উঠিনা। আমি ভোরে উঠতে পারবনা “।
মা বললেন –” তা বললে কি হয় বাবা!”
অরিন্দম বলল “কাউকে সাথে নিয়ে গেলেই ত হয়।”
— ঠিক আছে তুই একটা ব্যবস্থা কর।
— ঠিক আছে।আমার কার ড্রাইভার মনোজকে বলে দেব ।সেতো সামনের বস্তিতেই থাকে। যেদিন করিনা যেতে চাইবে সেদিন করিনাকে নিয়ে যাবে গঙ্গায়।
একদিন মনোজকে ডেকে বললো ” তোর বৌদি ভোর বেলা গঙ্গাস্নানে যাবে। তুই তোর বৌদির ইচ্ছে মতো আমার গ্যারেজের যেকোনো গাড়িতে চাপিয়ে যেদিন যেদিন বলবে সেদিন বৌদিকে নিয়ে যাবি।”
মনোজ সামনের বস্তিতে বিধবা মায়ের সাথে থাকে। মায়ের নাম সরলা দাস।মনোজ বেশ ভালো। তার ডাক নাম মনা।অরিন্দমের কথায় ওঠবোস করে। যা বলে তাই শোনে।একজন ভালো সেবক।সুন্দর সুঠাম চেহারা। কর্মঠ।বয়স ছাব্বিশ । অবিবাহিত যুবক। মা অন্যের বাড়িতে রান্নার কাজ করে পড়াশুনা করিয়েছে।মনা গ্র্যাজুয়েট পাশ করেছে ।কিন্তু চাকরি কোথায়! তাই অরিন্দম বাবুর গাড়ির ড্রাইভার। বেতন বেশ ভালো।যখন গাড়ী চালানোর কাজ থাকেনা তখন অন্য ফাইফরমাশ খাটে। সেজন্য আলাদা বাড়তি কিছু আয় হয়।
একদিন মনা এল খুব ভোরে। গ্যারেজ থেকে গাড়ি বের করে করিনাকে চাপিয়ে গঙ্গাতীরে নিরিবিলি এক ঘাটে নিয়ে গেলো। করিনার বয়স ত্রিরিশ,মনা ছাব্বিশ।
মনা গঙ্গাতীরে গাড়ি রেখে দাড়িয়ে রইল।বেশ গাছগাছালি পূর্ণ গঙ্গাতীর। পাখিদের ডানা ঝটপটানির আওয়াজ। বড়োই নিরালা। কলকল গঙ্গা বয়ে চলেছে। ভাটার টানে জল অনেক নীচে চলে গেছে। করিনা সায়া ব্লাউজ খুলে গাড়িতে রেখে এক বস্ত্রে কাদায় পা টিপে টিপে জলে নামলো। অনেকটা নেমে ডুবে স্নান করলো। এক হাতে জলপূর্ণ ঘড়া নিয়ে আসতে গিয়ে পা পিছলে কর্দমাক্ত ঘাটে পড়ে গেলো।
ব্যথায় সে ককিয়ে উঠলো। মনোজকে ডাকলো– “ম– না– এখানে আয়। আমি পড়ে গেছি। আমাকে উঠা।”
মনা তাড়াতাড়ি এসে করিনাকে উঠালো।করিনা শরীরের ভার সম্পূর্ণ মনোজের উপর ছেড়ে দিল। পঙ্কিল পথ বেয়ে সোপানে উঠতে গিয়ে দুজনেই আবার পড়ে গেলো। এবার সে মনার বুকের উপর।করিনা তার সর্বাঙ্গ দিয়ে মনাকে নিষ্পেষণ করতে লাগলো।
দুজনেই কাদায় মাখামাখি।
করিনার শরীর থেকে কাপড় খুলে গেলো। অর্ধনগ্ন শরীর দেখে ও করিনার শরীরের স্পর্শ পেয়ে বিদ্যুতের তরঙ্গ খেলে গেলো।
ধীরে ধীরে মনা করিনাকে নিয়ে
অশত্থ গাছ তলায় নিয়ে গেল। ব্যথায় কাতর করিনা মুখ দিয়ে আহ্ উহ্ করতে লাগলো।
করিনা কর্দমাক্ত কাপড় সরিয়ে বলল ” আমার কোমরে ও পায়ে ব্যথা হচ্ছে। একটু ম্যাসেজ করে দে।”
সেবক মনা করিনাকে ধীরে ধীরে ম্যাসেজ করতে শুরু করল।
সূর্যের প্রথম প্রকাশে এক রক্তিম আভায় সুন্দরী করিনাকে আরও রমনীয় লাগছিল। তার রূপ যৌবন আরও উদ্ভাসিত হলো।গুরু নিতম্ব,ক্ষীণ কটিদেশ, পীনোন্নত পয়োধরা করিনা। মনার হাতের স্পর্শে যৌন উত্তেজিত হয়ে গেলো ।সে মনাকে বুকে চেপে ধরলো। আলিঙ্গনে চুমুতে ভরে দিল।তাকে ইশারায় রমণের আহ্বান জানালো। উভয়ে রতিক্রিয়ায় রপ্ত হলো।ভোরের পাখিদের কলতানে আর করিনার শীৎকারে আকাশ বাতাস মুখরিত হলো। করিনার শরীরে এক অনাস্বাদিত শিহরণ বয়ে গেলো।প্রথম এক নৈসর্গিক পুলক অনুভব করলো।
তারা এভাবে অনেকক্ষণ একসাথে কাটালো।
করিনা মনাকে নির্দেশ দিল গঙ্গা থেকে জল এনে তাকে স্নান করিয়ে দিতে। তার কাদায় ভেজা কাপড় ধুয়ে আনতে।মনা তাই করল। জল এনে এনে সম্পূর্ণ নগ্না করিনাকে স্নান করিয়ে দিতে গিয়ে মনা পুনর্মিলনের জন্য উত্তেজিত হলো । বুঝতে পেরে করিনা আবার তাকে আহ্বান করলো। রমণীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভোরের স্নিগ্ধ সুরম্য পরিবেশে পুনরায় রমণে রত হলো। জলপূর্ণ ঘড়া নিয়ে একসাথে অশ্বত্থের গোড়ায় জল ঢাললো।
করিনা গাড়ি থেকে কাপড় চোপড় আনালো । শুকনো শাড়ি ব্লাউজ পরে কারে চেপে মনার বুকে মাথা রেখে ঘরে ফিরে এলো।
পরদিন আবার রাত থাকতেই মনাকে ফোন করে ডেকে নিল।
আবার সেই গঙ্গা ঘাট সেই অশ্বত্থ তলে জল ঢালা। ফুল পাখি নদী ঘাস লতা পাতার প্রকৃতির বিস্ময়ের মতো দুই যুবক যুবতীর যৌন মিলন।
করিনা মনাকে জড়িয়ে ধরে বলল” তুই অশ্বপুরুষ। আমি তোর পৌরুষে খুব খুশি। খুব তৃপ্ত।ক্লাইমেক্স নামে একটি শব্দ বইয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু সেটা কোনোদিন অনুভব করিনি। তোর কাছে পেয়ে আমি ধন্য।
তুই আমাকে অজানা নৈসর্গিক সেরা সুখের জগতে পৌঁছে দিয়েছিস।
এভাবে আমরা নিয়মিত মিলিত হবো।”
মনা বলল ” লোক জানাজানি হলে, বাবুর কাছে কথাটা পৌঁছালে আমার চাকরি থাকবেনা।
আমি চাকরি ও আপনাকে হারাব।”
— আমি তোকে প্রচুর টাকা দেব। তোর সব ইচ্ছা আমি পূর্ণ করে দেব।
— না তাহয় না।এভাবে নিয়মিত আমি পারবনা।আপনারা বড়লোক। ধনীর কলঙ্ক হয়না।আমি সহায় সম্বলহীন।
বাবু যা বেতন ও উপরি বকসিস দেয় তাতে আমি বেশ ভালো আছি।
তাছাড়া আপনার স্বামী অরিন্দম বাবু আছে।
করিনার চোখদুটো বিস্ফারিত হলো চীৎকার করে উঠলো ” না—-। সে শুধু কাগজে কলমে, সমাজে।
বিছানায় নয়।আমাকে কখনো দেহ সুখ দিতে পারেনি। উত্থান শক্তি হারিয়ে গেছে। যৌন শক্তি নেই। কয়েক বছর থেকে ইমপোটেন্সিতে ভুগছে।
এরপর বল আমরা কি ভুল করছি? পাপ করছি? ঈশ্বর তোকে আমার কাছে পাঠিয়েছেন। আমি এই দান কেন গ্রহন করবো না? উত্তর দে—
আর লোক জানাজানির ভয় করছিস? কাল থেকে আমরা অন্য ঘাটে যাব। ফটোক্রমেটিক কাঁচওয়ালা গাড়িতে আসব।
— প্লিজ বৌদি আমাকে ক্ষমা করবেন। আমি পারবনা।
— বিষন্ন মনে করিনা ঘরে ফিরে এলো।
— মাঝ রাতে তাকে মোবাইলে অনেক মেসেজ করল। মনা কোনো উত্তর দিল না।
এভাবে বেশ কয়েকদিন কাটলো।
একদিন মেসেজে করিনা লিখলো
“আই লাভ ইউ।আমি তোকে ছাড়া বাঁচবোনা।তুই যদি কাল ভোরে না আসিস আমি গঙ্গায় ডুবে আত্মহত্যা করব। “
মনা বিচলিত হলো। সেওত করিনা কে ভালোবেসে ফেলেছে।
সে অনেক ভাবলো এক রমণী তাকে কামনা করে।করিনা ক্ষুধার্ত হয়ে তাকে সমর্পণ করেছে। এই মিলনে পাপ নাই।বরঞ্চ প্রত্যাখ্যান করায় পাপ।
মনা লিখলো — “আমি কাল আসছি। তৈরি থাকবেন।”
— একটা গামছা নিয়ে আসবি।তুইও স্নান করবি।
সময়ের আগেই মনা এলো। আজ অন্য বড়ো গাড়ির চাবি মনার হাতে তুলে দিয়ে বলল” চল আজ দূরে অন্য কোথাও। “
আজও করিনা সামনের সিটে।গাড়ি চলছে। শুনশান রাস্তা ভোরের বেলা। ফাঁকা রাস্তা। জনমানবহীন।
অন্য ঘাটে গাড়ি পার্ক করলো । করিনা মনার হাতে তুলে দিল এক লাখ টাকার বান্ডিল।
মনা ইতস্তত করে বলল “একি! এত টাকা।বাবু জেনে যাবে!”
করিনা বলল” না না এগুলি আমার টাকা। এর কোনো হিসেব দিতে হয়না।বাবুর প্রচুর ব্ল্যাক মানি।আমাকে যা টাকা দেয় আমিত খরচ করতেই পারিনা।
আরোও দেব। তুই না চাইলেও দেব।
আমি যখন যা বলব তাই করবি।
প্রতিটি কথা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলবি।তোর কোনো ভয় নাই। আজ থেকে তুই শুধু আমার। আমি তোকে খুব খুব ভালোবাসি।
টাকাগুলো মনার হাতে জোর করে ধরিয়ে দিয়ে মনাকে গাঢ় চুম্বন করলো।
আবেগে মনার হৃদয় তন্ত্রীতে বেজে উঠলো সুরের ঝংকার।
করিনা জলের ধারে বিবস্ত্র হয়ে মনাকেও নিজের হাতে বিবস্ত্র করে নিয়ে গঙ্গায় নামলো। অনেকক্ষণ জলকেলি করল। মনা এখন জেনে গেছে কোথায় স্পর্শ করলে করিনা সাথে সাথে উত্তেজিত হয়।
পূর্ণ র্জোয়ারের গঙ্গা।একটু নামতেই এক গলা জল। এক অভিনব জলকেলির সাথে এক কোমর জলেই দুজনেই দেহ মিলনে লিপ্ত হলো।মনা শক্ত হাতে করিনার কোমর ধরে রতিক্রিয়ায় রত হলো। জলের কলকল শব্দ, উচ্ছল যুবক যুবতির খিলখিল হাসির শব্দে মুখরিত হলো।এই দুঃসাহসিক অভিযানের আনন্দে মনা অল্পতেই শিহরিত হলো। ধীরে ধীরে জোয়ারের জল বাড়তে বাড়তে গলা অব্দি ঢেকে দিল।
দুজনে আনন্দে আত্মহারা।
সামনে এক অশ্বত্থ গাছে জল ঢাললো।
দিন দুই পর। রাতভর মুষলধারে বৃষ্টি। ভোরবেলা গাড়িতে যেতে যেতে গাড়ি আটকে গেলো।
পথঘাট জলে টইটম্বুর। রাস্তায় এক হাঁটু জল। জল নামার অপেক্ষায় তারা এক নির্মিয়মান ফ্ল্যাটের ঘরে আশ্রয় নিতে গিয়ে ভিজেই গেলো। করিনা আজ করিনার খোলা চুল।অবিন্যস্ত বেশবাস।সুডৌল স্তন যুগল উঁকি দিচ্ছে।তীব্র বিদ্যুতের ঝলকানি।তার সাথে সামনেই কোথাও কড় কড় কড়াৎ শব্দে বাজ পড়লো। করিনা ভয়ে মনাকে জড়িয়ে ধরলো। মনার খোলা বুকে চুমু দিল। মনাকে উত্তেজিত করলো।
কাঠ রাখার ঘরে, সিমেন্ট ঘরে , বালি রাখার ঘরে অল্প সময়ের ব্যবধানে তিন তিন বার সফল ভাবে রতিক্রীড়ায় লিপ্ত হলো। মনা তার এই শক্তির জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানালো।
করিনার নির্দেশে গাড়ি নিয়ে বার হবার সময় টা আর একটু পিছিয়ে রাত তিনটে করল।যাতে সকাল পর্যন্ত দু তিনবার মিলিত হওয়া যায়। করিনা নিত্য নতুন খোলামেলা পোশাকে। রাতের পোষাকে আসত। গাছ গাছালি পূর্ণ এক অশ্বত্থ তল।সুরম্য পরিবেশ।মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে। গাড়ি থেকে নামতে গিয়ে ভিজে গেছে। ভিজা চুলে বিবস্ত্র। অপরূপ লাগছে। ভেনাসের মূর্তি। প্রকৃত মডেল গার্ল।
রমনী এত সুন্দর হয়।নিকষ কালো চুল।অর্ধচন্দ্রাকার ললাট,টিকলো নাক, অর্ধনমিত সম্ভোগ লালায়িত চোখ,উন্নত সুডৌল স্তন দ্বয়,ক্ষীণ কটি,ভারী নিতম্ব,মোহময়ী নাভিদেশ,যোনিদেশ থেকে কামাগ্নি প্রজ্বলিত হচ্ছে।,রক্তাভ ফর্সা জঙ্ঘা, সুন্দর পদদ্বয়।
মনা বলল আমি আপনার দেওয়া টাকায় একটা দামি মোবাইল কিনেছি আজ আপনার ছবি তুলব।আমি ছবি আঁকতে জানি।আপনার ছবি আঁকবো।”
মনার আদেশে উভয়ে নগ্ন হয়ে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় সেলফি তুলল।।
মনা বলল ” আমাকে দেখাবি”।
বাৎস্যায়নের কামসূত্র অনুসারে আজ স্পর্শন,চুম্বন,মর্দন,আলিঙ্গন, দন্তন,লেহন,চোষন করে ১০৮ ভঙ্গিতে সঙ্গম করতে করতে সেল্ফি তুললো।
এভাবে করিনার নির্দেশে নিয়মিত এক শহর থেকে অন্য শহরে নিত্যনতুন ঘাটে, গঙ্গার জলে, কখনো নিরিবিলি স্থানে, মন্দির চাতালে,নির্মিয়মান ফ্ল্যাটের ঘরে,পার্কে, কখনো গাড়িতেই,কখনো গ্যারেজে, বাড়ির বাগানের ঘাসের গালিচায় রতিক্রিয়ায় রত হয়ে রমণসুখ উপভোগ করতে লাগলো। গাড়িও প্রায়ই চেঞ্জ করতো।ঈশ্বরের অসীম কৃপায় তারা কখনো কারো নজরে পড়েনি।
সেক্সি করিনা মনার পৌরুষের কাছে হার মানলো।
করিনা প্রায়ই অগুনতি টাকার বান্ডিল মনার হাতে জোর করে ধরিয়ে দিত।মনা মায়ের একাউন্টে সরলা দাসের নামে সেগুলি জমা করে দিত।
মাস ছয়েক পর শাশুড়ী মা লক্ষ করলো বউমা বমি করছে।
একদিন মাথা ঘুরে পড়ে গেলো।
ছেলে অরিন্দম কে জানালো।অরিন্দম নিজে ড্রাইভ করে করিনাকে নিয়ে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলো। পরীক্ষা করে লেডি ডাক্তার অরিন্দমকে ডেকে বলল ” আপনি বাবা হতে চলেছেন। “
খুশিতে অরিন্দমের মন ভরে গেলো। বহুদিনের তার বাসনা পূর্ণ হতে চলেছে। ডাক্তারের সামনেই স্ত্রীকে আলিঙ্গন করে চুমু দিয়ে অভিনন্দন জানালো।
ডাক্তার বললেন “এই সময় একদম রেস্ট।” কোনো ভারী কাজ করা চলবেনা।
ঘরে এসে মাকে জানালো।মার ত আনন্দ আর ধরে না।এতদিনে ঈশ্বর মুখ তুলে চেয়েছেন
করিনা শাশুড়ী মাকে প্রণাম করলো।শাশুড়ী মা বউমাকে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু দিল।
তারপর নিয়মিত চেক আপ।পুষ্টিকর খাওয়া দাওয়া।
এদিকে মনা নিয়মিত মেসেজ করেই যায়।কোনো উত্তর নাই।
একদিন করিনা লিখলো “আমি তোর ঔরসজাত সন্তানের মা হতে চলেছি। “
ডাক্তারের দেওয়া নিদিষ্ট তারিখে নার্সিং হোমে ভর্তি হলো।
করিনা কোল আলো করে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিল। নারী জীবনের পূর্ণতা লাভ করলো।
সুস্থ শরীরে সবল পুত্র সন্তানকে নিয়ে ঘরে এলো।অরিন্দম ও মায়ের আনন্দে শিশু পুত্র স্নেহ আদরে বড়ো হতে লাগলো।
(2)
সাত মাসে দিনক্ষণ দেখে অন্নপ্রাশনের আয়োজন করা হলো। নিমন্ত্রণ পত্রের কার্ডে লিখলো কোনো উপহার আনবেন না।
প্রায় সাতশো লোকজন আত্মীয় স্বজন বন্ধুবান্ধব নিমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে মহাসমারোহে রাজকীয়ভাবে অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠিত হলো। বিখ্যাত ক্যাটারারের রান্নায় অতিথিরা খুশি হয়ে ভুরিভোজে তৃপ্তিতে বাহবা দিতে দিতে ফিরে গেলো। সেই অনুষ্ঠানে মনাও এসেছিল।সে অলক্ষ্যে শিশু টিকে চুমু খেয়ে করিনার হাতে দিল। করিনা খুব আস্তে মনার কানের কাছে গিয়ে বলল” এই বংশের এই বাড়ির সেরা উপহার তুই দিয়েছিস।”
শিশুটিকে দেখার পর তার হৃদয় তন্ত্রীতে আলোড়ন খেলে গেলো।
মনা পরদিন থেকে কাজের অছিলায় দিনে দুপুরে অন্দরমহলে যাওয়া আসা শুরু করে দিল।
ঘুমন্ত শিশু পুত্রের সামনে একদিন করিনা ইশারায় বিলাসবহুল এসির বেডরুমের বিছানায় ডেকে নিল।বহুদিন বাদে বহু প্রতীক্ষার পর সেক্সি করিনা মনাকে জোর করে নগ্ন করে রতিক্রিয়ায় বাধ্য করালো। মাতৃত্বের গৌরবে করিনা আনন্দিত। খুশিতে ভরে গেছে তার দেহ মন। নগ্ন দেহে রমণ সুখে রত হলো। করিনা পুলকিত শিহরিত হলো বারবার। শীৎকার ধ্বনিতে ঘর গম গম করতে লাগলো।
করিনার নির্দেশে আহ্বানে প্রায়ই মনা সাড়া দিয়ে করিনার বিলাসবহুল ঘরের বিছানায় দিবালোকে সহবাস করতে লাগলো।
করিনা হাসপাতালে থাকাকালীন অরিন্দম সিসিটিভি ( হিডিন) ক্যামেরা লাগিয়ে দিয়েছিল শিশুর উপর নজরদারি করার জন্য। তার কানেকসন ছিল তার আই ফোনে।অরিন্দম একদিন চেক করতে গিয়ে চমকে গেলো।
অরিন্দম ভালোভাবে জানতো সে বাবা হবার যৌগ্য নয়। কলকাতার নামী ডাক্তারের ডায়াগনোসিসে বারবার টেস্ট রিপোর্ট এ ফেল। স্পার্ম কাউন্টের সংখ্যা ডেড। ফার্টাইল করার ক্ষমতা নাই।ওষুধ পত্র খেয়েও লাভ হয়নি।সে জেনেছিল তার ঔরসে কোনো সন্তানের জন্ম হবেনা। এ কথা সে ছাড়া অন্য কেউ জানত না।
এবং এ-ও জানতো শিশুটির বাবা কে।
পরবর্তী কালে কড়া ডোজের ওষুধের সাইড ইফেক্টে সে ধীরে ধীরে যৌনশক্তিও হারিয়ে ফেলেছিল।
সে এক পরিকল্পনা করলো একদিন রাতে তার ড্রয়িংরুমে মনাকে ডেকে জোর করে মদ খাওয়ালো।মনা তীব্র প্রতিবাদ করেছিল। কিন্তু মনিবের রুক্ষ মেজাজের কাছে হার মেনে নিত্য মদ খেতে খেতে মদ্যাসক্ত হয়ে গেলো।প্রতিরাতে সে ছুটে আসতো বাবুর কাছে। আর বাবুর দেওয়া মদ গিলতো। দামি বিলাতি মদের পেগ বাড়িয়ে দিল।একদিন ৭৫০ মিলির বোতল একাই সাবাড় করে দিল। টলতে টলতে উঠতে গিয়ে পকেট থেকে দামি মোবাইল টা বারবার পড়ে যেতে লাগলো। অরিন্দম বাবু আচ্ছা করে ধমকে বললেন ” সুইচ অফ করে পাশের ঘরে আমার চেম্বারের ড্রয়ারে রেখে দিয়ে আয়।কাল এসে নিয়ে যাবি।” মনা তাই করলো।
পরদিন গঙ্গার ঘাটে লোকজনের প্রচুর ভীড়।গঙ্গায় এক যায়গায় এক ‘দ ‘এর মতো যেখানে জল স্থির থাকে। সেইস্থানে দেখলো মনার মৃতদেহ জলে ভাসছে। রহস্যজনক মৃত্যু। পুলিশ এলো। মৃতদেহ পোষ্টমর্টেম হলো। রিপোর্ট এ লেখা অত্যধিক মদ্যপান ও জলেডুবে মৃত্যু। মনার মা সরলা দাস নিখোঁজ পুত্রের সন্ধানে গিয়ে বুকফাটা আর্তনাদ করে শোকাহত হয়ে সনাক্ত করলো। বলল ” আমার ছেলে নাম মনোজ রায়, ডাক নাম মনা।” অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার যাবতীয় খরচ ও ব্যবস্থা সব অরিন্দম করলো।
করিনা বাক স্তব্ধ হয়ে গেলো। দু তিন রাতদিন বিনিদ্র কাটলো। ধীরে ধীরে মানসিক রোগগ্রস্ত হয়ে গেলো। নিশ্চুপ থাকে। একদৃষ্টিতে জানালার দিকে তাকিয়ে থাকে। ধীরে ধীরে এক জড়বস্তুতে রূপান্তরিত হয়ে গেলো। এখন সে বিখ্যাত সাইক্রাটিস্টের অধীনে চিকিৎসারতা।
অরিন্দম মনার মাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলল “মনা আর নেই। কিন্তু আমি আছি। আজ থেকে আমাকেই তোমার ছেলে বলে মনে করবে। “
মনার মা সরলাকে নিজের বাড়ির অন্দরমহলে শিশুপুত্রের দেখভালের জন্য নিযুক্ত করলো।
সরলা এক অদৃশ্য মায়ার টানে আবদ্ধ হয়ে গেলো। শিশুটি কারোর কোলে যেত না। কিন্তু কান্নাকাটি করলে আশ্চর্যভাবে সরলার স্পর্শ পেলেই চুপ করে যেত। সরলা রাতে ঘুম পাড়িয়ে বস্তিতে ঘরে চলে আসতো। মাঝরাতে ঘুম ভেঙে এদিক ওদিক তাকিয়ে সরলাকে না দেখতে পেয়ে সারারাত শিশুটি কান্নাকাটি করত।
অরিন্দমের নির্দেশে ও শিশুটির টানে পাকাপোক্ত ভাবে অরিন্দমের সুবিশাল বিলাসবহুল বাড়িতে আশ্রয় নিল ছেচল্লিশ বছর বয়সী নিরোগ মনার বিধবা মা সরলা।
সরলার অনুরোধে
একদিন কার ড্রাইভ করে সরলাকে নিয়ে বস্তির ঘরে গেলো কিছু জিনিষ পত্র আনতে। সেই ঘরের এক তালামারা ঘরে গিয়ে অরিন্দম তালা ভেঙে দেখলো একটাই মাত্র পেন্টিং।পেন্টিং দেখে চমকে গেলো। সরলা তখন অন্য ঘরে ব্যস্ত।সাথে সাথে কাগজে মুড়ে অরিন্দম বললো “মাসিমা এই পেন্টিংটা আমি আপনার কাছ থেকে কিনে নিতে চাই।যত দাম লাগে দেব। “
আমি বাবা ওঘরে কখনো ঢুকিনা।তুমি একটা পেন্টিং নেবে, তার জন্য দাম! তুমি আমার জন্য মনার জন্য অনেক উপকার করেছো।” ছিঃ ছিঃ। আমি কোনো দাম নিতে পারব না।”
অরিন্দম সরলা আর তার কিছু জিনিসপত্র সমেত ঘরে এলো। অরিন্দম এসে সটান ভিতরে গিয়ে এক অতি গোপন আন্ডারগ্রাউন্ড কক্ষে পেনটিংটা ঢাকা দিয়ে রেখে দিল।এই আন্ডারগ্রাউন্ড কক্ষের কথা পৃথিবীর কেউ জানেনা।
সরলার কাছে কোলে পিঠে মানুষ হতে লাগলো অরিন্দম রায়ের ছেলে। বিশাল সম্পত্তির উত্তরাধিকারী।