Spread the love

স্বয়ং ঈশ্বর হাঁটু গেড়ে বসে

বিধান চন্দ্র হালদার
*****************

অনেক রাত জেগে একটা কবিতা লিখেছিলাম

লোকটার চোখে কবিতাটি কবিতা হয়ে ওঠেনি

সরস্বতী অন্ধকারে হাঁসফাঁস রংচটা সাদা থান ছিঁড়ে

বইপত্র পাথরে ধুলোয় সূর্যের ঠিকানা খুঁজে পায়নি

নিষ্ঠুর ভাইরাস কচি পাতায় ঝেঁপে এলো
ভাসিয়ে নিয়ে গেল আদিম অন্ধকারে
গাছগুলি অসহায় শূন্যতার ভিতর ঢেউ তোলে

অনেক রাত জেগে একটা কবিতা লিখেছিলাম

বিশ্বাস করো
লোকটার চোখে কবিতাটি কবিতা হয়ে ওঠেনি।

কি লিখলে লোকটি খুশি হবে আমি জানতাম

যদি লিখতাম
জল উপরে ওঠে জলের ধর্ম ত্যাগ করে

যদি লিখতাম
সূর্য পশ্চিম দিকে উদিত হয় রং কে খুশি করতে।

যদি লিখতাম
অন্ধ ছেলেটি চাঁদ দেখছে অনন্ত প্রকৃতির টানে

যদি লিখতাম
ললিতা আগুনে ঝাঁপ দিচ্ছে নির্দিষ্ট জ্যামিতি না মেনে

তাহলে  লোকটার চোখে কবিতাটি কবিতা হয়ে উঠতো

অনেক রাত জেগে একটা কবিতা লিখেছিলাম

বিশ্বাস করো বা নাই করো
লোকটার চোখে কবিতাটি কবিতা হয়ে ওঠেনি

তবু আমি শ্রাবণী বর্ষায় কচিপাতার কথা লিখে যাবো

স্বয়ং ঈশ্বর হাঁটু গেড়ে বসে নিষেধ করলেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *