প্রেম,, প্রত্যাশা,, প্রকৃতি
মুস্তারী বেগম
************
আকাশের টেলিফোনে
তার স্বর বাজে
মেঘের চাদর ফুঁড়ে
আলোমুখ সাজে।
হুঙ্কারে কেঁপে ওঠে
এই মনপাড়া
ভয় হয় মরে যাবো
দিতে গিয়ে সাড়া।
অধরের রাগ নামে
জল হয়ে গলে
কেঁদে কয় বিধুমতী
কোন খানে ছিলে?
আমি বলি গুরুদেব
তব হুংকারে
একাকী লুকিয়ে মোর
পর্ণ কুঠিরে।
হেসে বলে পাগলিনী
এতো কিয়ে ভয়
ফসলে ভরিরে দেবো
যদি মতি হয়।
অনুমতি,বিধুমতি
থরথর মন
চোখের জলেতে ভিজে
পৃথিবীর বন।
সুজলা সুফলা হলো
ধরনীর গা
মেঘের প্রলেপ ঢালা
বিধু হলো মা।
পাহাড়ের বুক থেকে
ঝর্ণার জল
বিধুর নূপুর হয়ে
বাজে অবিকল।
ফুলেরা সোহাগ দিয়ে
বিধুমাকে ঢাকে
বর্ষার রুপে বিধু
নববধু থাকে।
বছরে বছরে তার
এই রুপ ফোটে
সকালে সূর্য টিপে
ঘুম থেকে ওঠে
রাতে এসে তারাদের
মৃদু ভালোবাসা
চাঁদের কোলে শুয়ে
দেখে কাঁদাহাসা।
পৃথিবীর নীলাচলে
একি মহারূপ
কবির কলম হয়
কবিতায় চুপ।