Spread the love

টুকরো মজা 

বিশুদা গ্রামের ছেলে।কলকাতায় দরকারি কাজে এসেছিল।কাজকর্ম শেষ করে বাড়ি ফিরছে। শিয়ালদা স্টেশনে ঢোকবার আগে হটাৎ মনে হল গিন্নির জন্যে কিছু একটা নিয়ে গেলে হোত।খুশি হত গিন্নি।স্টেশনের বাইরেই কত দোকান।কত রকমের জিনিস।বিশুদা ঠিক করল গিন্নির জন্যে একটা ছাতা কিনে নিয়ে ফিরবে।বিশুদা গ্রামে শুনেছিল যে কলকাতায় নাকি সব জিনিসের ডবল ডবল দাম।তাই ছাতার দোকানে ঢুকে পছন্দসই একটা ছাতা দেখিয়ে তার দাম জানতে চাইল।দোকানদার বলল যে দাম চল্লিশ টাকা।বিশুদার মাথায় ঘুরছে শুধু সেই কথাটা…সব জিনিসের ডবল ডবল দাম।বিশুদা দরাদরি শুরু করল।

বলল…”কুঁড়ি টাকা হবে?”মানে বিশুদা ভাবছে সব জিনিসের দামই যখন ডবল…তার মানে দোকানদার যে দামই বলুক না কেন, আসল দাম তার অর্ধেক ।বিশুদার মুখে কুঁড়ি টাকা শুনে দোকানদার দাম আর একটু কমিয়ে বলল….”বেশ আপনার যখন ছাতাটা পছন্দ হয়েছে তাহলে তিরিশ টাকা দিন”।বিশুদার মাথায় কিন্তু দাম ডবল..ব্যাপারটা কাজ করে চলেছে।বিশুদা সংগে সংগে বলে উঠল…” পনের টাকা হবে?”মানে তিরিশের অর্ধেক পনের আরকি। দোকানদার এবারে বলল…”এই তো আপনি কুঁড়ি টাকা দিতে চাইলেন..আবার এক্ষুনি বলছেন পনের?

ঠিক আছে আপনি কুঁড়ি টাকাই দিন।” দাম কুঁড়ি টাকা শুনে বিশুদা ঝট্ করে বলে ফেলল..”দশ টাকা হবে?”মানে তখোনো দাম ডবল ব্যাপারটা কাজ করছে।এবারে দোকানদার চরম বিরক্ত হয়ে বলল…”আপনার আর ছাতা কিনে কাজ নেই…আপনি ছাতাটা ফ্রি তে নিয়ে যান।”একথা শুনেই বিশুদা স্মার্টলি বলে ফেলল…”তাহলে দুটো দিন।”

দেবাশিস পোদ্দার 

হাবড়া,উত্তর ২৪ পরগণা,পশ্চিমবঙ্গ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *