স্বাধীনতা তুমি কার
✍️সজল বসু রায়✍️
স্বাধীনতা তুমি কার?
হত দীন,দরিদ্র কৃষক
ক্ষুধার্ত ও মেহনতি মানুষের
না কেবলই টাকার গদিতে বসে থাকা
অস্পৃশ্য ধর্মযাজকের ।
একদিন তোমার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য
রক্ত যারা ঝরিয়েছিল
সে শত শত কুশীলব বীর পুত্রের
না স্বৈরাচারী শোষক শাসকের ।
বলো তুমি কি নও সে সাহিত্য বিদদের
যাদের রচনায় রচিত হয়েছিল বীপ্লব
অত্যাচারের বিরুদ্ধে করেছিল তীব্র সংগ্রাম
শিখিয়েছিল হাতে’তে তুলে নিতে হাতিয়ার
বলো তুমি কি নও তাদের?
এতগুলো বছর পেরিয়ে এসে
এখনো কি নও তুমি
শান্তিপ্রিয় এ দেশের নাগরিকের
এখনো কি তুমি শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে আছো
অর্থ আর অসাম্যের ভিত শক্ত করা শোষক শাসকের
এখনো পথে ঘাটে’তে তাই মানুষ মরে
পায়না সুচিকিৎসা
গনতন্ত্রের নামে কিছু শব্দ ঝরে
পিছন থেকে স্বাধীনতার হয় হত্যা ।
বলো, বলো স্বাধীনতা তুমি কার?
দিনের বেলায় যারা ভদ্রলোক সাজে
রাতের বেলায় মুখোশ পরে
নামিয়ে আনে নরকের অত্যাচার
গনতন্ত্র কি তাদের জন্য তোমার উপহার!
প্রতিবছর 15ই আগস্ট, 26শে জানুয়ারি
ঘটাকরে পালিত হয় বিজয় উল্লাস
পালিত হয় গনতন্ত্রের উৎসব
কোটি কোটি টাকা ওড়ে
সর্বত্র তোলা হয় জাতীয় পতাকা
হয় মিষ্টি বিতরণ
অপরদিকে হয় বাক্ স্বাধীনতার হরণ
এই যখন অতি আধুনিকতার চরিত্র
বিদেশী শক্তির পদে
দলিত হচ্ছে তোমার ইতিহাস
তখন বোঝা যায় স্বাধীনতার ন্যুনতম শর্ত
এখনো হয়নি কেন পালন
অন্ন,বস্ত্র ও বাসস্থান এইতো ছিল তোমার মূলমন্ত্র
এখনো বঞ্চিত যারা তারা পথে’তেই করে জীবন ধারণ
বলো তুমি কি তাদের নও , নও কি মেহনতি মানুষের ।
তবে যারা স্বাধীনতার দিনে
গর্বের সাথে ত্রিরঞ্জিত পতাকা তোলে
গায় কতো কতো গান
সন্ধ্যা হলে পরে
সে ত্রিরঞ্জিত পতাকা মাটিতে ফেলে
কূচলে দেয় তোমার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ
মাথানত করে বিরুদ্ধ শক্তির কাছে
তোমাকে করে তীব্র অপমান দেয় বদনাম
বলো তুমি কি তাদের
না রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে তোমাকে মুক্ত করেছে যারা
তুমি কি নও তাদের
তবে বলো স্বাধীনতা তুমি কার?