রাশিয়া ও ইউক্রেনের রক্তক্ষয় যুদ্ধের মাঝে উজ্জ্বল হয়ে রইল ভারতের তিরঙ্গা
বটু কৃষ্ণ হালদার
https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-2139129812952104 (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অতি মারী করোনার করাল গ্রাসে একপ্রকার বিধ্বস্ত পৃথিবীর হৃদপিন্ড।সেই আগুনের ক্ষত এখন দগদগে।এখনও পৃথিবীর মানুষ আতঙ্কের প্রহর গুনছে।না জানি কখন হায়নার মত হানা দেবে করোনা।তবে যত সামান্য স্বস্থির হওয়ায় পাল লাগিয়ে বিধ্বস্ত জনজীবন এক গহীন আঁধার কাটিয়ে আলোর বিন্দু খুঁজে পেয়েছে,ঠিক সেই মুহূর্তে এই ঠান্ডা লড়াই এর যুগে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিলো রাশিয়া।তবে রাশিয়া প্রসঙ্গে যাবার আগে এখানে আফগানিস্তানের কথা,না বললেই নয়।মাত্র কয়েক মাস আগেই করোনা আবহে, বিশ্বের ত্রাস সৃষ্টিকারী, রক্তপিপাসু তালিবান জঙ্গি গোষ্ঠী আফগানিস্তান দখল করেছে। আফগানিস্তান দখলের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় তাদের দ্বারা সাধারণ নিরীহ জনগণ হত্যার খেলা।একের পর এক প্রাচীন স্থাপত্য শিল্প সহ ধর্মস্থান ও বিমানবন্দর ধ্বংস করা হয়েছিল। এই অতি মারি করোনার ফলে, কোথাও গণ চিতা গণকবর দেওয়া হয়েছে।ঠিক এই মুহূর্তে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার অতর্কিত হামলা সমগ্র বিশ্বের উপর এক ভয়ঙ্কর আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। রাশিয়া বিশ্বের এক অতি শক্তিশালী উন্নত ও ত্রাস সৃষ্টিকারী দেশ,একথা আমাদের সকলের জানা। এই দেশের কাছে ইউক্রেন নস্যি র মত।রাশিয়ার হামলার জেরে এক সুন্দর ফুলের মত দেশ বিধ্বস্ত নগ্ন রূপ ধারণ করেছে। ইতিমধ্যেই উভয় পক্ষের বহু সৈন্যবাহিনী সহ সাধারন জনগন নিহত হয়েছে। রক্তাক্ত হয়ে উঠছে ইউক্রেনের মাটি।সেই সঙ্গে সঙ্গে এক আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে সমগ্র বিশ্বে।কিন্তু প্রশ্ন হল রাশিয়া হঠাৎ করে ইউক্রেনকে কেন এমন ভাবে হামলা করল,তা একটু পরিষ্কার হওয়া দরকার।১৯৪৫ সালে জাপানের হিরোশিমা নাগাসাকি তে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের পর থেকেই সমগ্র বিশ্বে শুরু হয়ে যায় আগ্রাসন নীতি। কে বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী দেশ তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা,চর্চা।ফলে দুটি প্রধান শক্তি ভাগ হয়ে যায় একদিকে রাশিয়া অন্যদিকে আমেরিকা। সূত্রপাত তা শুরু হয়েছিল তখন থেকেই। এর পরেই আমেরিকা বিভিন্ন কূটনৈতিক চাল দিয়ে রাশিয়াকে টুকরো টুকরো করতে শুরু করে।১৯৯১ সালে প্রায় ১৫ টি নতুন দেশ সৃষ্টি হয়।সেই দেশগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ নিরাপত্তার জন্য ন্যাটো গোষ্ঠীতে যুক্ত হয়।১৯৪৯ সালে এই গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইউরোপের পুঁজিবাদী ও গণতান্ত্রিক দেশ নিয়ে।যার প্রধান কাজ ছিল সোভিয়েত আগ্রাসনকে রোধ করা।এর প্রধান হলো আমেরিকা।রাশিয়া তাতে বুঝতে পারে যে ,বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দৌড়ে তাঁকে পিছন থেকে ছুরি মারার চেষ্টা চলছে।তাতে ও রাশিয়ার মাথা ব্যাথা ছিল না। সেই মাথা যন্ত্রণার কারণ হয়েছিল ইউক্রেন।রাশিয়ার দীর্ঘদিন যাবত ন্যাটোএবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দিকে ইউক্রেনের পদক্ষেপকে ঠেকিয়ে আসছে। গত জানুয়ারি মাসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এর কাছে আবেদন জানান ইউক্রেনকে যেন ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তাতে রাশিয়ার আত্মমর্যাদা ঘা লাগে। রুশ নাগরিকদের কথায়,এমনটা তো হওয়ারই ছিল, ন্যাটো ঘাড়ের কাছে নিশ্বাস ফেলবে এটা রাশিয়া কেন কোন দেশ মেনে নেবে না।ইউক্রেন যদি নেটে ঢুকে তাহলে ওরা রাশিয়ার সীমান্তের কাছে ওয়ারহেডস বসিয়ে দেবে।
https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-2139129812952104 (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রধানত এই বিষয়টি রাশিয়াকে আরো বিক্ষুব্ধধ করে তোলে। যার ফলে রাশিয়া আচমকা প্রশিক্ষণ মহড়া র নামে ইউক্রেন সীমান্তের কাছে সৈন্য পাঠানোর শুরু করে এবং পরবর্তী সময়ে তা আরো বাড়ানো হয়। এরপর ডিসেম্বর নাগাদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সৈন্যবাহিনীর উপর প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেন সতর্ক করে দিয়ে বলেন রাশিয়া-ইউক্রেন আক্রমণ করলে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। তৎকালীন পরিস্থিতিতে রাশিয়া দাবী করে যে পশ্চিমের তরফে আইনত এই গ্যারান্টি দেওয়া হোক যে ন্যাটো পূর্ব ইউরোপ এবং ইউক্রেনে কোন সামরিক ক্রিয়া-কলাপ করবে না। পাশাপাশি পুতিন দাবি করেন ইউক্রেন হলো পশ্চিমের পুতুল এবং কখনোই তার সঠিক রাষ্ট্র ছিল না। তবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনা এটা প্রথমবার নয়। ২০১৪ সালের শুরুর দিকে রাশিয়াপন্থী প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করে জেলেনস্কি রাষ্ট্রপতি হন। কিন্তু আগাগোড়া ইউক্রেনের নব্বই শতাংশ মানুষ হলেন রাশিয়াপন্থী। ওই বছরেই রাষ্ট্রপতি পুতিনের সমর্থিত বিদ্রোহীরা পূর্ব ইউক্রেনের বিশাল অংশ দখল করে নেয়।সেই সময় থেকেই রাশিয়ার সৈন্যবাহিনী ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে।ক্রিমিয়া ও দখল করে নেয়।এভাবেই ঠান্ডা লড়াই চলতে চলতেই, বিশ্বযুদ্ধের আকার ধারণ করে। রাশিয়া ধীরে ধীরে পারমাণবিক বোমার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে একসময় ইউক্রেনের কাছে পারমানবক বোমা ছিল। রাষ্ট্রসঙ্ঘের তৎপরতায় সেই বোমা তাদের কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হয়। আর তাতে আমেরিকা ও রাশিয়া সম্পূর্ণ আশ্বাস দিয়েছিল ইউক্রেনের কোন সমস্যা হলেই তারা সাহায্য করবে। অথচ বর্তমান সময়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া একটি দেশ ইউক্রেনকে আক্রমণ করেছে অন্য একটি দেশ তার হাত-পা গুটিয়ে নিয়েছে।
https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-2139129812952104 (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তবে এই ভয়াবহ যুদ্ধের মধ্যেও ভারতবর্ষের পতাকা ইতিমধ্যেই বহু প্রাণ বাঁচিয়ে ছে।
হয় দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন, নইলে স্বাধীনতা যুদ্ধ কিভাবে হয়েছিল তা হৃদয় দিয়ে অনুভব চেষ্টা করুন তাহলে বুঝতে পারবেন একটি স্বাধীন দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তার মানচিত্রে পতাকা তুলতে গিয়ে কত রক্ত ঝরেছিল? তবে স্বাধীনতার ইতিহাস প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গেলেই সবার আগে যে প্রশ্ন আসে তা হল, কিভাবে ব্রিটিশরা সাধারণভাবে ব্যবসা করতে এসে প্রায় ২০০ বছর ভারত কে শাসন ও শোষণ করে গেল ? এ প্রশ্নের উত্তরে আমরা কি বলতে পারি না যে আমাদের দেশের একশ্রেণীর স্বার্থবাদী ও সুবিধাভোগীদের লোভ লালসার চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে দেশের বহু জনগন গুলি খেয়েছিলো ফাঁসিকাঠে ঝুলে ছিল নয়তো দেশত্যাগী হয়েছিল। শুধু তাই নয় বিপ্লবীদের অকথ্য অত্যাচার করা হয়েছিল। বাদ যায়নি স্বাধীনতাপ্রেমী নারীরা।এমনকি নারীদের গোপন অঙ্গ অঙ্গে বাটি করে লঙ্কার গুঁড়ো প্রবেশ করানো হয়েছিল।”ঝান্ডা উঁচা রহে হামারা”এই স্বপ্নটুকু পূরণ করতেই দেশের বীর সন্তানরা নিজেদের জীবন বলিদান দিয়েছিল। মনে পড়ে মাতঙ্গিনী হাজরার কথা। যাকে ইতিহাসে গান্ধী বুড়ি নামে আমরা জানি। ব্রিটিশ পুলিশ বাহিনীর গুলিতে বুক ঝাঁঝরা হয়ে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে,কিন্তু তাঁর হাতে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে রেখেছিল দেশের পতাকা।অবশেষে রক্তের পিচ্ছিল পথে স্বাধীনতা আসার পর সবার প্রথমে দিল্লির লাল কেল্লার দেশের পতাকা তোলা হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় স্বাধীন ভারতে দেশের পতাকা যখন পুড়ছিল তখন বহু দেশপ্রেমিকরা ভারত ছাড়া হয়েছিল। স্বাধীনতার পরে ইতিহাসের পাতায় স্থান দেওয়া হয়নি প্রকৃত দেশ প্রেমিক দের। বহু স্বাধীনতা প্রেমীদের কপালে জোটেনি ভাতা।অনাহারে লোকচক্ষুর আড়ালে, ভিক্ষা করতে করতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিল।আর যারা স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণের নামে নাটক করেছিল,তাদের কপালে জুটেছিল রাজপ্রাসাদ।আর মুখে রাজভোগ। এ কথা আমরা সবাই জানি।
https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-2139129812952104 (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বর্তমান পরিস্থিতিতে রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যা নিয়ে উত্তাল বিশ্ব রাজনীতি। একের পর এক রক্তগঙ্গা বয়ে চলেছে ইউক্রেনে। বলতে গেলে এই মুহূর্তে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। ঠিক সেই মুহূর্তে ভারত তথা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো থেকে বহু ছাত্র-ছাত্রী ইউক্রেনে রয়েছে পড়াশোনা বা কর্মসূত্রে। সেই সমস্যাটা দিনে দিনে আরও গুরুতর হয়ে পড়ছে। পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে এবং ইউক্রেন থেকে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাহায্য চাইছে এবং নিজের দেশে ফিরে যেতে।কারণ মৃত্যু শিয়রে দাঁড়িয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলছে এমন অবস্থা। ইতিমধ্যেই ভারতবর্ষের দুজন ছাত্র মারা গেছেন। বিশ্বের অন্যান্য তাবড় তাবড় দেশগুলো তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের করুণ দৃশ্য দেখার পরেও হাত গুটিয়ে নিয়েছে। কিন্তু ভারত বর্ষ চুপ করে বসে থাকেনি। বহুৎ ছাত্র-ছাত্রী ইতিমধ্যে ভারতবর্ষের ফিরে এসেছেন শুধুমাত্র ভারতবর্ষের তিরঙ্গা কে সঙ্গী করে। বিনা বাধায় তারা সুস্থভাবে ফিরে এসেছে ভারতস্বা।স্বাধীনতার ৭৫ বছরে এসে ভারতবর্ষের তিরঙ্গা পতাকা প্রাণ ফিরিয়ে দিলো বহু ছাত্র-ছাত্রীদের। তবে বাকি ছাত্র-ছাত্রীদের ফিরে আসা নিয়ে ইউ কেনো ভারতের পুরনো সমস্যাটা পুনরায় নাড়া চাড়া দিয়ে বসেছে। তবে ভারত বর্ষ নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে তাদেরকে ফিরিয়ে আনার। ভারতবর্ষের পতাকার শুধুমাত্র ভারতীয়দের নিরাপত্তা মূল কারণ হয়ে ওঠেনি। এই মুহূর্তে জীবন বাঁচানোর তাগিদে পাকিস্তান এবং পোল্যান্ডের ছাত্র ছাত্রীরা ভারতবর্ষের পতাকা কে সঙ্গী করে নিজেদের দেশে ফিরে এসেছেন।ভারতবর্ষের তিরঙ্গা র কতটা ক্ষমতা রয়েছে তা এই মুহূর্তে তার সাক্ষী হয়ে রইল ভারত বর্ষ তথা বিশ্বের সমগ্র জনগণ। এর আগে এমন দুঃসাহস কখনো দেখা যায়নি, তবে পরিস্থিতি বদল হয়েছে। আর তাতে ভারত বিশ্বের দরবারে অন্যতম ক্ষমতাশীল দেশ হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছে,সে বিষয়টা নিশ্চিত হবে বোঝা যাচ্ছে। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রাশিয়াতে গিয়েছিলেন এবং ফিরেও এসেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো পাকিস্তান সহ আরো কয়েকটি দেশ এই ভারতবর্ষের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করতে কসুর করেন না। বারবার ভারতের থেকে সুযোগ সুবিধা নিয়েও এই সমস্ত দেশ গুলো ভারত বিদ্বেষী মত পোষণ করে বিশ্বের দরবারে।শুধু তাই নয় ভারতবর্ষের পতাকা পুড়িয়ে ফেলার মত জঘন্যতম কাজ করে থাকেন। তবে এই ভারতবর্ষের বুকে থেকে ভারতবর্ষের পতাকা পুড়িয়ে ফেলার মতো জঘন্য কাজ করলে ও অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করা হয়।
https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-2139129812952104 (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এই ভারত বর্ষ আমার, প্রত্যেক জনগণের এই বিশ্বাসটা হওয়া উচিত নিজের মধ্যে।আজও শহীদ দের মৃত্যুতে দেশের পতাকা দিয়ে ঢাকা থাকে। সেই পতাকাকে মর্যাদা দিতে শিখুন।কারণ আমাদের দেশের পতাকা যতই উঁচুতে উঠবে ততই ভারতবর্ষের জনগণ হিসেবে আমরাও গর্বিত হব। সমগ্র বিশ্বের জনগণ যেখানে ভারতবর্ষের পতাকা কে সম্মান দেন, সেখানে সেই পতাকা আমাদের শ্রেষ্ঠ সম্পদ হওয়া উচিত বলে মনে করি। তবে একটা বিষয় আমাদের বিশেষভাবে অনুধাবন করতে হবে যে শুরু থেকে ভারত বর্ষ ক্ষমতাশীল দেশ ছিল, সেই গরিমা ধ্বংস করেছে আমাদের দেশের কিছু স্বার্থবাদী দেশ নেতারা।
তবে,এই যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার আমজনতার মধ্যে যে দারুণ উন্মাদনা শুরু হয়েছে, তেমনটাও বলা যাবে না।কারণ,রাশিয়ার ডিএনএ-তে যেটা ঢুকে গিয়েছে, সেটা হল সরকারের কাজে সমালোচনা না করা।এরা খুব স্পষ্ট বাদী।ইতিহাস প্রমাণ দেয় তাদের পূর্ব পুরুষরা আগে অনেক যুদ্ধ করেছে।আরো একটা হলো বা তাতে ক্ষতি কি?জনগণের ভাবনাটা হচ্ছে,সরকারের সামনে এটাই ছিল পথ। কাজেই যা হচ্ছে ভাল হচ্ছে।তবে এ সময় যুদ্ধ টা অতন্ত্য সঙ্গা হীন,কারণ এই যুদ্ধ শুধু অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ভেঙ্গে ফেলবে না সেইসঙ্গে সামাজিক ও ব্যাপকভাবে ক্ষতি হচ্ছে শিশুদের মনে। বিগত দুই বছর যাবত লকডাউনে সমগ্র বিশ্বে কিছু একটা অঘটন ঘটছে সেটা তারা বুঝতে পেরেছিল। পরিস্থিতির কিছুটা বদল হলে ও তা ইউক্রেন রাশিয়ার ক্ষমতালোভী রক্তাক্ত যুদ্ধে র বিরূপ প্রভাব পড়ছে শিশুদের জীবনে। আমরা ছোট ছোট শিশুদের শৈশব শিক্ষা দিয়ে থাকি এই সুন্দর পৃথিবী প্রতিটা জীবের জন্য উন্মুক্ত। স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকার অধিকার সবার আছে। কিন্তু সিরিয়া, মিশর,ইরাক,ইরান,ভারত,পাকিস্তান বাংলাদেশ, আফগানিস্তান,রাশিয়া-ইউক্রেন এ যে সমস্ত রক্ত ক্ষয় ঘটনাগুলো ঘটছে,তাতে কি শিশুরা প্রশ্ন তুলবে না, জঞ্জাল সরিয়ে যে পৃথিবীতে শিশুদের বাসযোগ্য করে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে সেই পৃথিবী কিভাবে শিশুদের বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে?
https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-2139129812952104 (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বটু কৃষ্ণ হালদার কবর ডাঙ্গা,কল১০৪,ফোন ৮৭১৭২৫৫৯৫৮
সাংবাদিক বট কৃষ্ণ হালদার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একজন জুয়েল কলামনিস্ট! যেগুলি পড়লে মন তৈরী হয়!
ধন্যবাদ জানাই কবিবর
খুব সুন্দর যুক্তিপূর্ণ লেখাগুলি।পড়লাম।বেশ ভাল লাগল। শচীন রানা।
ধন্যবাদ জানাই কবিবর