বৃষ্টি…
শ্রী বিশ্বনাথ সাহা
সাত সকালে ঘুম ভেঙে যায়
আকাশ মেঘে ঢাকা।
রাস্তাঘাটও ফাঁকা ফাঁকা
চলছে নাকো চাকা।
এবার দেখি বৃষ্টি এল
ঝমঝমিয়ে জোরে।
হাট বাজারে সব্জিয়ালা
যাবে কেমন করে!
শাক সব্জি লংকা, বিন, বেগুন
পটল, আলু, ঝিঙে,
বেচতে যাবে গাঁয়ের চাষি
বসে আছে নিঙে।
বর্ষা রাণী মুক্তবেণী
ঢালছে জলের ধারা,
কিছু ছেলে চলছে জলে
ভাবে আত্মহারা।
বন্দী সবাই নিজ ঘরে
ভাবনা করে বসে,
জেলেরা সব নৌকা ছাড়ে
বৈঠা টানে কষে।
নাই যে পাখির কিচিরমিচির
নিঝুম বনের গাছও,
রাস্তাঘাটে জল জমেছে
খেলছে জলে মাছও।
বাচ্চারা সব নৌকা ছাড়ে
আড়াআড়ি করে,
ঘরের বধূ জানলা দিয়ে
তাকায় খুশি ভরে।
গরীবের আজ কপালে হাত
চাল যে কোথায় পাবে!
ধনী যারা বসে ভাবে
আজ খিচুরী খাবে।
সবাই বসে নিজ ঘরে
ভাবে ধৈর্য্য ধরে,
বর্ষা ধারা ঝরে পড়ে
আজ-ই এমন করে।
******************************
কবি বিশ্বনাথ সাহার “বৃষ্টি” কবিতাটি পড়ে মন ভরে গেলো, গতির কাঠামো সুন্দর অন্তমিল সহ ! কিন্তু
” সবাই বসে নিজ ঘরে / ভাবে ধৈর্য্য ধরে ”
শেষের দিকে এই লাইনে
” ভাবে ধৈর্য্য ধরে ”
কথাটা খুব ধাক্কা দিলো, মাত্রায় ঠিক থাকলেও সাবলীলতায় ধাক্কা খেলো!
” সবাই বসে নিজ ঘরে / দাওয়ায় সদরে !”
করতে পারেন, বা অন্য কিছুও সামঞ্জস্যপূর্ণ নিয়ে আসুন, তাহলে কবিতাটি পারফেক্ট হবে, না হলে পাড়ে এসে তরী ডোবার মত ব্যবস্থা হবে!
আমার অনুভূতি থেকে বললাম, আপনার ভাবনা ভিন্ন হতে পারে!
যাইহোক, কোনো লেখা লিখে দিনের পর দিন ফেলে রেখে যখন তখন দেখুন, অনুভব করুন, দেখবেন লেখা পারফেক্ট হবে একসময়, তারপর প্রকাশ করার জন্য পত্রিকায় পাঠান!
তাহলে পাঠক সমাজ কবির প্রতি অন্যমনস্ক হবে না!
এবং সফলতা ও প্রতিষ্ঠাও তাড়াতাড়ি হবে!
কবিতাটির প্রতি ভালোলাগা থেকে এতগুলি কথা বললাম! মনে কষ্ট পেলে মার্জনা করবেন!
পেশায় : কবি-ঔপন্যাসিক-গীতিকার-কলামনিস্ট ইংরেজি ও বাংলা ভাষায়!
কলকাতা, ভারত