বরাসন
✍️প্রদীপ কুমার লাহিড়ী✍️
*************************
বাসর সজ্জা সাজিয়ে বসে আমি
শালীপরিবৃতা হয়ে যখন !!
ভাবছে মন আনমনে আসবে মোর
প্রেয়সি কখন !!
হাসি তামাসায় ভরা জমজমাট
খুশির আসরে !!
ভাবছি মনে আসবে সে মন ভরাবে
শুন্য বাসরে !!
হটাৎ চমকে শুনি দূর থেকে বাঁকে নুপুরের রিনি ঝিনি ঝিনি !!
মন মোর সারা দেয় বলে
চিনি আমি চিনি তোমায় চিনি !!
সখি পরিবৃতা এলেন তিনি আসর হলো ঝলমলে সরগম !!
হাত ধরে বলি তাকে বস পাশে
সখি তুমি সুস্বাগতম !!
****************************
Author details :
Pradip Kumar Lahiri.
Novimumbai
সংকলন প্রবন্ধ
রচনা ডিসেবিলিটি
প্রতিবন্ধী
আমরা যারা শরীরের বিভিন্ন অর্গান হারিয়ে প্রতিবন্ধি জীবনের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছি আবার আমাদের মধ্যে অনেক আছেন যারা সো বাঁধা বিপত্তি কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেয়েছি তারই একটা চেষ্টা রুলেধরলাম আমার লেখার মাধ্যমে l
কি কোইন্সিডেন্স !! ১৯৯২ এএপ্রিল বিশ্ব প্রতিদ্বন্দ্বী বছর আর ১৯৯২ এপ্রিলএই ক্যান্সারে আমার কণ্ঠনালী চিরকালের মতো হারাতে হয় l যদিও সরকার আমাদের প্রতিবন্ধী মনে করেননি,
আর ভারত বা বিশ্বের কোনো মেডিকেল হেল্প ছিলোনা, যা আমাকে কথা ফেরত পাবার উপায় বলতে পারে , অবশ্য আর্টিফিশিয়াল যান্ত্রিক সাহায্য ব্যতীত l
তাই আমাকে বহুদিন বোবাজীবন বইতে হয় নির্বাক প্রতিবন্ধী হয়ে l
মনুষ্যত্বের অসীম আশীর্বাদে আমি
খাদ্য নালীকে মিডিয়াম হিসেবে ধরে কাজ চালানোর মতো কথা বলতে শিখি l কালক্রমে প্রায় স্বাভাবিক কথা বলা শিখে যাই l আর বহু লোককে আমার মতো দেশে বিদেশে শিখিয়ে আসছি , বহুবছর ধরে এমনকি স্পিচ থেরাপিস্টরা ও আসেন, এটার ট্রেনিং নিতে আমার প্রতিষ্টিত একটি ক্ষুদ্র সংস্থার মাধ্যমে l
কিন্তু বাস্তবিক জ্ঞেনে একটা ভাইটাল অর্গান যখন আমার নেই তাই একদিক থেকে আমি ও প্রতিবন্ধী l
তাই সমস্ত পৃথিবীর প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্যে আমি মর্মবেদনা অনুভব করি l
আজকের দিনে এই কথা গুলি পাবলিকলি জানাতে পেরে মনটা খুব হালকা লাগছে আশা করি এই অপ্রচারিত একটি অবাক করার উপায়
সহজেই রপ্ত করা যায় যদি নিজের ওপর আস্থা থাকে এত এই বিরল প্রচেষ্টা আমারি শুধু দিতে পারি সংস্থার মাধ্যমে বিনা পারিশ্রমিকে এত আমাদের অহংকার !!