পরের জন্মে
রীতীন্দু ভক্ত
পরের জন্মে মেঘ হবো—
ভেসে বেড়াবো অনন্ত নীল আকাশে ।
তুমি রৌদ্রে দগ্ধ হলে তোমার মাথার উপর
ছায়া হয়ে ভাসবো,
তোমার প্রাণ তাপিত হলে,
এক পশলা বৃষ্টি হয়ে ঝরবো।
আর আর তুমি বেগরবাই করলে,
তুমুল ঝড়ে তোমাকে নাজেহাল করে ছাড়বো।
নাহয়, পরের জন্মে বাতাস হবো—-
তোমাকে ছুঁয়ে থাকবো আমি সর্বক্ষণ।
প্রাণবায়ু হয়ে তোমার প্রাণে বিরাজ করবো,
প্রাণে প্রাণে কইবো প্রাণের কথা।
কেউ বাধা দেওয়ার নাই,
কেউ বারণ করার নাই।
আর তুমি যদি আমাকে ছেড়ে যেতে চাও
আমিও ছেড়ে যাবো তোমায়, নাফিরার দেশে।
না গো, পরের জন্মে গাছ হবো—–
তোমার অঙ্গন জুড়ে নির্ভয়ে বেড়ে উঠবো।
তুমি যতই আমায় অবহেলা করো,
আমি তোমাকে ফুল দেবো,
ফল দেবো, দেবো বুকভরা মায়া।
শুধু তাই নয় পাখির কূজন,
প্রাণের সৃজন, সবই দেবো উপহার।
তুমি যদি নির্মম আঘাত করো—
আমার ডাল ভাঙো, ছাল ছাড়াও,
তবুও দিয়ে যাবো নিঃশেষিত ছায়া।
***********************
লেখক পরিচিতি:-
বিধান চন্দ্র দাস ওরফে রীতীন্দু ভক্ত পিতা স্বর্গীয় সুকদেব দাস, মাতা ভারতী দাস, জন্মস্থান মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর নিকটস্থ বেলডাঙ্গায় ১৯৭২ খ্রীস্টাব্দে। বেলডাঙ্গা মহাবিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক স্নাতক ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ।বর্তমানে বাগডাঙ্গা রামেন্দ্র সুন্দর স্মৃতি বিদ্যাপীঠে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত। ছাত্রজীবন থেকেই কবিতায় হাতেখড়ি।কবির উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ “বাসি আঙিনায় তাজা ফুল”, ” ঘোমটা ক্ষেপি”, “এ রক্তের রঙ লাল নয়”, ” কাকের জিভ”। কবিতার ঝুলিতে এখনো অপ্রকাশিত অসংখ্য কবিতা।
Very nice
Very very nice.