Ridendick Mitro
Spread the love

জোৎস্নায় ভাগীরথী হীরাঝিল 
            –ঋদেনদিক মিত্রো

            [কবিতাটি একদম নিচে ]

[A Bengali poem : Jotsnayay Bhagirathi Hirajhil, i.e. Hirajil in Full Moon attached Bhagirathi River, written by Ridendick Mitro. This poem written on the situation as of the Palace of Nawab Siraj ud-Daulah here not existed now clearly. None did take attention to save this great Histoey. Today’s Lutfunnisa, a Kolkata TV star, researcher, wise and educationist Samarpita flouts on a boat of some Ravi da on the Hirajhil attached Bhagirathi in full moon and watches from far distance the Moon plays from behind the trees there where the Palace of Nawab Siraj Ud-Daulah was existed once upon a time. This poetic feeling gave me this theme of this poem. ]
 

|| নবাব সিরাজউদ্দৌলা কবিতা সিরিজ, কবিতা নং -19 / Nawab Siraj ud-Daulah Poetry Series, Poem No. —19 ||

[ ইতিহাসের কবিতা গবেষকদের  জন্য জানানো হলো যে নবাব সিরাজকে কেন্দ্র করে নানা ব্যক্তি ও বিষয়ের কবিতাগুলি এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে, kabyapot.com,  15th অগাস্ট 2021 প্রকাশিত — রূপুর পত্রছন্দ কবিতা সংকলন -প্রথম খন্ড :সম্পাদনা -নার্গিস খাতুন (Rupur Patrachhanda Bengali Poetry Collection -1st part : Edited by Nargis Khatun,  www.globalnewz.online (A Multilingual portal from India ), ও অন্যান্য স্থানেও বেরুতে পারে!

কবিতাটি পড়ার আগে কবিতাটির উৎস পড়লে আরো অনুভব করবেন, নিচে কবিতাটি আছে, কবিতার কারণটি এই,  আজকের লুৎফুন্নিসা, মানে কলকাতার এক টিভি ষ্টার,  বিদুষী,  শিক্ষাবীদ ও নবাব সিরাজউদ্দৌলার ইতিহাস গবেষিকা, সাহসী বক্তা সমর্পিতা Manas Bangla -এর ইউটুব ” নবাব সিরাজউদ্দৌলার হীরাঝিল প্রাসাদে কে এই লুৎফুন্নিসা”-তে  এক জায়গায় তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি যখন তখন জ্যোৎস্না রাত্রে জনৈক রবি-দার নৌকাতে হীরাঝিল সংলগ্ন ভাগীরথী নদীতে ভেসে-ভেসে দেখেন হীরাঝিলের যেখানে নবাব সিরাজের প্রাসাদ ছিল সেই স্থানটি, যেখানে অযত্নের ফলে প্রাসাদের অস্তিত্ব নেই,  কিছু অগোছালো ইট, বা ভাঙা দেওয়ালের ভীত ছাড়া আর কিছু নেই, বাকি অংশ নদীতে তলিয়ে গেছে, কিন্তু ওখানে আজ জঙ্গলে ভরা, সেই জঙ্গলের ভিতরে চাঁদ খেলা করে, সমর্পিতা সেটা জ্যোৎস্না রাত্রে নৌকায় বসে ঝুঁকি নিয়ে দেখেন এইসব! এই কথা শুনে আমি এই কবিতাটা লিখেছি, যাতে সমর্পিতা ওই সময় এই কবিতাটি আবৃত্তি করতে-করতে ওই চাঁদ, জ্যোৎস্না ও হীরাঝিলের অতীত স্পর্শি দৃশ্যকে অনুভব করতে পারেন আরো গভীর ভাবে, একইসাথে অন্য যে কেউ সমর্পিতার মত জ্যোৎস্না রাতে নবাবের প্রসাদের স্থান দেখতে এলে — অলৌকিক উপলব্ধিতে ভেসে যেতে পারেন  সমর্পিতার মত, সেই ভাবেই এটা লেখা, চেষ্টা করেছি সমর্পিতার অনুভূতিকে জীবন্ত করে তুলতে! যদি এটা তাঁর ও তাঁর knight দের ( তাঁর তৈরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের  ছাত্রছাত্রী )ও তাঁকে সহায়তা করতে আসা মানুষদের এবং পাঠক -পাঠিকার ভালো লাগে আমার শ্রম সার্থক! জানিনা যে-রবিদার নৌকায় উনি এখন হীরাঝিলের জ্যোৎস্না দেখতে আসেন তাঁর কেমন লাগবে, বা অন্য মাঝি দাদাদের কেমন লাগবে !

আসলে সিরাজউদ্দৌলার ওপর কবিতা লিখে প্রকাশ করার সময় আমাকে এই নিয়ে একটু ডিটেইলিং করতে হয়, কারণ, এগুলি নবাব সিরাজের বিযয়ে সাহিত্যের গবেষণায় গ্রাহ্য হচ্ছে ও হবে, তাই এর কার্যকারণ বলতে হয়! ইতিহাস নিয়ে আমার অনেক লেখা অনেক আগে থেকেই ছিল,  কিন্তু নবাব সিরাজ ও তাঁর পরিসর নিয়ে কবিতা লেখার প্রবণতা আসে যেদিন ঘটনাক্রমে Manas Bangla-এর youtube ” লুৎফুন্নিসার কি পুনর্জন্ম হয়েছিল /Was Lutfunnisa reborn ” ক্লিক করেছি,  কলকাতার একজন টিভি ষ্টার সমর্পিতা কী করে অনুভব করেন ও প্রমাণ করেন যে তিনি সিরাজের সময়ে ছিলেন তাঁর শ্রেষ্ঠা স্ত্রী লুৎফুন্নিসা — এই কাহিনী, ও সেই সাথে নবাব সিরাজের নানা অজানা মহৎ কাহিনী শুনি ওই ইউটুবে, যেটা প্রথম বেরুনোর পরে প্রথম সাত -আট মাসে হয়ে যায় ষোলো -সতেরো লাখ ভিউয়ার! বেড়েই চলেছে আরো -আরো !

Manas Bangla -এর ইউটুবগুলি অন্য আন্তর্জাতিক ইউটুব কোম্পানির মত ভিউয়ারদের মনযোগ লাভ করে — কেবল উন্নত মানের তথ্য, ব্যাখ্যা, দার্শনিকতা, ও প্রকাশভঙ্গীর জন্য!

তারপর থেকে শুধু নবাব সিরাজ ও তাঁর পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে নিয়ে নয় — সামগ্রিক অন্য বিষয়ের ইতিহাস নিয়ে কবিতা লিখতেও মনটা তৈরী হয়ে ওঠে,  এবং গুচ্ছ-গুচ্ছ ইংরেজি ও বাংলা কবিতা নবাবের ওপর লিখে নানা ওয়েবসাইট পত্রিকা ও মুদ্রিত সংকলনে পাঠাতে থাকি ও সেগুলি সম্পাদকদের দ্বারা নির্বাচিত হয়ে প্রকাশ পেতে থাকে!

লেখাগুলি পড়ে ঐতিহাসিক গবেষক মানস সিংহ, ও আজকের লুৎফুন্নিসা বিশ্ব পরিচিতা সমর্পিতা —- এঁরা সহ আরো অনেকে মুগ্ধ হন, এবং সমর্পিতা আমার লেখা নবাব সিরাজের ওপর সঙ্গীত  “নবাব সিরাজউদ্দৌলা মুক্ত বিদ্যালয় খোসবাগ” -এ সুর দিয়ে নবাবের নামে তৈরী স্কুল ও তাঁর কবরে গাইবার জন্য নির্বাচিত করেছেন!

এই কাহিনী আমাকে আরো সচেতন ও দায়িত্বশীল করে নবাবের ওপর আরো বহুমুখি কাজ করার জন্য! নবাবের ওপর কাজে আমি আত্মবিশ্বাস পেলাম! ওই স্কুলটির নাম ” নবাব সিরাজউদ্দৌলা মুক্ত বিদ্যালয় খোসবাগ ” — যেটা দিয়ে আমার ওই গানের প্রথম লাইন করেছি! এই স্কুল একটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের স্কুল, যেখানে শিক্ষার কোনো বয়স নেই, হাঁটাচলা,  আচরণ আন্তর্জাতিক করে তোলা, ক্যারাটে, ঘুড়ি ওড়ানো, বিদেশী ভাষা শিক্ষা, বুদ্ধিকে শুদ্ধ করে তোলা ও সঠিক ভাবে ব্যবহার করা, এইগুলো শেখানো হয়!

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ক্রমশঃ এগিয়ে চলেছে, যেটুকু জানলাম, ভারতীয় প্রত্নতত্ব বিভাগের সমর্থন রয়েছে এই স্কুলের প্রতি! সমর্থন ও সহযোগিতা রয়েছে নানা ব্যক্তি ও সংস্থার! একটি কথা,  এখনো মানস বাবু বা সমর্পিতা, কাউকেই মুখোমুখি দেখিনি, ফোনেও কণ্ঠ দেওয়া নেওয়া হয়নি, কেবল কাজের নিরিখে ও সামগ্ৰীক নানা অনুভূতি দ্বারা তাঁরা আমাকে গ্রহণ করেছেন! এখন আপনারা এই কবিতাটি এবার অনুভব করুন, যে-ভাবে বিষয়টি বললাম, সেটাকে কেন্দ্র করেই!

অনুভব করুন, আপনিও জ্যোৎস্না রাত্রে নৌকোতে করে ঝুঁকি নিয়ে হীরাঝিল প্রসাদের ধ্বংসাবশেষ এর স্থান দেখছেন জলে ভেসে-ভেসে!

এই দৃশ্য নিয়ে আরো একটি কবিতা লেখার ইচ্ছে আছে, সম্ভব না হোলে সিরাজ-কেন্দ্রিক অন্য বিষয়ের ওপর কবিতায় চলে যাবো!

যাইহোক, এখন এটা পড়ুন!]

     
                    =======
                           ✍️

কবিতা : জোৎস্নায় ভাগীরথী হীরাঝিল 
             –ঋদেনদিক মিত্রো

ভাগীরথী-জলে ভাসি আজো নৌকায়
আজো আছে সেই চাঁদ, মেঘ  উড়ে যায়, 
হীরাঝিল আজো আছে — নেই তো প্রাসাদ,
নেই তো তুমি প্ৰিয় সিরাজ নবাব, 
আজ শুধু গাছপালা, লতাপাতা ভরা, 
গাছের পাতায় চাঁদ করে মস্করা, 
লুকোচুরি খেলে বলে — আমি সেই চাঁদ, 
যার দিকে তাকাতো নবাব সিরাজ, 
যার দিকে তাকাতো লুৎফুন্নিসা,  
আজকে দেখছে যাকে সমর্পিতা, 
যে-সমর্পিতা আজ মানুষের মাঝে   —
“আজকের লুৎফুন্নিসা” হয়ে জাগে, 

গভীর রাতেও যে সাহস  করে —
ভাগীরথী নদীতে নৌকায় চড়ে —
দেখে যায় হীরাঝিল অতীতের চোখে, 
নৌকো হালকা নাচে ভাগীরথী-স্রোতে,

সেদিনও তো এ নদীতে ছিল এই জল, 
জোৎস্নায় সেই জল আজো উজ্জ্বল,  

এই সব দেখে-দেখে আত্মহারা —
দুটি চোখ চেয়ে দ্যাখে আকাশের তারা,

মাঝিকে শোনানো হলো হীরাঝিল নিয়ে —
নবাবের ইতিহাস-তথ্য দিয়ে, 
তার সাথে কল্পনা মিশিয়ে আবার —
অনুভব করা হয় কত কী ব্যাপার, 

এই জোৎস্নায় তো নবাব ও লুৎ, 
নৌকো বিহার করে যেত অদ্ভুত, 
তাদের চোখ তখন হয়ে যেত কবি, 

আজ ভাসে সেদিনের সেইসব ছবি!

প্রাসাদের জায়গায় ভরে গেছে গাছ, 
গাছের ডালে পাখির বাসা আছে আজ, 

সে-বাসায় জ্যোৎস্না ও নবাবের স্মৃতি, 
এই নিয়ে হীরাঝিল ঘেঁসা ভাগীরথী! 

সেই ভাগীরথী পাড় ও নবাবের তরী —
সেসব তো আজ নেই,  কল্পনা করি — 
আজ ভাগীরথী-পাড়ে অগোছালো সব,   
সেদিন কেমন ছিল করি অনুভব,

নবাব তুমি কোথায়, এসো আজ সাথে — 
তোমায় দেখতে চাই জ্যোৎস্না রাতে, 

ওমা, ওই তো তুমি হাঁটো জোৎস্নায়, 
গাছগাছালির মাঝে দেখছি তোমায়, 

————————————————-
( 31 অক্টোবর 2021,  সন্ধ্যে 07:44, Ridendick Mitro)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *