ব্যঞ্জনের পাঁচালী
———————
নীরেশ দেবনাথ
*************
কল কল নদী জল
বয়ে চলে অবিরল।
খিল খিল ভরে দিল
নেই কোন গরমিল।
গুর গুর করে মেঘ
বেশ আছে ভাবাবেগ।
ঘর ঘর ডাকে নাক
শুনে বুঝি লাগে তাক।
চল চল সেনা দল
পদানত ধরাতল।
ছল ছল আঁখি তার
খুঁজে ফেরে চারিধার।
জল জল জলপান
জল দান মহাদান।
ঝর ঝর ঝরে ঝর্ণা
তাই বুঝি ঋতুপর্ণা।
টন টন করে ফোঁড়া
নিয়ে আয় শীল নোড়া।
ঠন ঠন ঘণ্টা বাজে
ছুটে যাও নিজ কাজে।
ডর ডর নিজ ঘর
বধূ মরে দিন ভর।
ঢল ঢল করে জামা
গায়ে দিলো রাঙা মামা।
তাই তাই করে ভাই
চলো মামা-বাড়ি যাই।
থল থল করে ভুঁড়ি
খেয়ে খেয়ে ঝাল মুড়ি।
দল দল কোথা তল
ডাঙ্গা নেই শুধু জল।
ধপ ধপে রঙ তার
হারালে পাবে না আর।
নাই নাই কেন করা
খুঁজে দেখো আছে ভরা।
পত পত পতাকা ওড়ে
দেখো ঘাড় উঁচু ক’রে।
ফুর ফুরে বায়ু বয়
অপলকে চেয়ে রয়।
বন বন লাট্টু ঘোরে
লেত্তিটাকে রাখো ধ’রে।
ভন ভন করে মাছি
পাকা আম কাছাকাছি।
মনে মনে ভাবো যা-ই
অন্তর্যামী দেবে তাই।
যাই যাই ক’রো নাকো
চুপ ক’রে পরে থাকো।
রঙে রঙে ভর মন
বেঁচে থাকো যতক্ষণ।
লাভ লাভ কেন মন
ক্ষতিও তো প্রয়োজন।
শন শন বায়ু বয়
সে তো কারো কাবু নয়।
সরে সরে যায় দিন
আর আয়ু কত দিন।
হায় হায় করে সব
আয়ু শেষে হলে শব।