☆ ☆ ☆ ~ অপ্রকাশিত গল্প ~ ☆ ☆ ☆
(✍️ রুদ্র প্রসাদ।)
-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-
কোথায় রাখি মনের ব্যথা সামনে দেখা অসুখ?
অবহেলার তোড়ায় বাঁধা ঝরা ফুলের কি সুখ!
ঘৃণিত ঘ্রাণে ভাসে কেন সে কলঙ্কের আদর?
রেণুর রাগে কপোল জুড়ে সাজে রঙিন চাদর।
শিখলে আধা চলায় বাধা কিসের যেন ঠিকানা,
পাহারাদার হাসতে থাকে দিয়ে বেভুল নিশানা।
মীড় দমকে আগলে রাখা পাতা যেমন তৃপ্ত,
দুঃসময়ে বাহারি বোধ শোনাতে বসে দৃপ্ত।
দরজা ছিল খেয়াল বশে খোলাই রেখে কপাট,
বালিশ একা হেলান দেয় তাকিয়া হারে সপাট!
নকশিকাঁথা রূপাই-সাজু বিছানা তবু অধীর,
সজনে চারা – জংলী লতা – এঁটেল মাটি বধির।
শরীর বেয়ে কুমারী জ্বালা কুমড়োফুল থমকে,
রসের বাঁশি বনপলাশী ডাকে না আর চমকে।
ঝিঙে শুধায় ‘ওরে পটল হবে কি কিছু এবার?’
বিরস স্বরে বেগুন বলে ‘ছিল অনেক দেবার।’
কলমিদামে পোকায় কাটা ডগার ভার ন্যস্ত,
সীমা ছাড়িয়ে মীনের দল হুটোপাটিতে ব্যস্ত।
সারাজীবন পরম সাধে সাধনা করে অশেষ,
ভেদন ভোলা রোদনসুরে আবহ গীতি বিশেষ।
মনের টানে আসেনি কেউ জানতে চেয়ে কুশল,
বসাই সার সমুখে চেয়ে রাঙায় চোখ মুষল।
আসতো যদি শিউলি ছায়ে ধীর অশনি পতনে,
তালপাখার হাওয়া করে দিতাম রেখে যতনে।
চিড়ের সাথে ঘরের দই মিলে জমাট ফলার,
তাতেও কারো ভরে না মন, নেই কিছুই বলার।
জিরেন শখে একলা পিঁড়ি দেখছে দূর আকাশ,
কালোর মাঝে বইছে জোর গর্জনীয়া বাতাস।
উঠোন গেল এক নিমেষে, পলকে হ’ল রাত্রি,
গরু-বাছুর থাকবে কোথা পথের সখা যাত্রী।
কান্নাজলে মিশতে থাকা তাপের ছবি দীপক,
আসছে পুজো হাসছে সব কেমন হেন রূপক?
কিসের টানে ছুটছে আজ নোংরা যত ময়লা?
ডাঙার খোঁজে দিনাতিপাত, শুধুই যেন কয়লা!
আশার চোখে উড়েছে ঘুম, তাগিদ নয় অল্প,
বানের জল যে বলে এসে অজানা এক গল্প।।
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
অসাধারণ লেখা…..শুভেচ্ছা….?