ছড়া: পারিপার্শ্বিক
–প্রণব কুমার বসু
**************
ল্যাংটা ছেলে বইটা ফেলে
লাফ দিয়েছে গঙ্গাতে
রান্না ছেড়ে ফ্যানটা গেলে
দৌড়ে গেছে সামলাতে –
ভাসছে পাতা নোংরা যাতা
পালায় পাখি চিৎকারে
হাতটা ছুঁড়ে দুষ্টু হাসি
ভয় পায়না হুংকারে –
পাড়ে উঠে পালায় ছুটে
হাসি কি আর বন্ধ হয়
পায়ের ব্যাথা বাড়ছে খুবই
পড়ে না যায় করছে ভয় –
বাড়িতে ঢুকে বন্ধ ঘরে
গামছা দিয়ে মাথা মোছা
হঠাৎ করে খুলে গেছে
শাড়ির থেকে চাবিগোছা –
হাসির আবার ফোয়ারা ছোটে
হাতিয়ে নিয়ে চাবিগুলো
বকুনি জোটে হরেকরকম
কানে গোঁজা আছে তুলো |
কবি পরিচিতি :
প্রণব কুমার বসু
বালিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন।
অবিলম্বে একজন ক্রিকেটার হিসাবে কেন্দ্রীয় সরকারী চাকরিতে যোগ দেন।
সেখানে কয়েক বছর চাকরির পর তিনি মাল্টিন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে যোগ দেন।
সেই সূত্রে তিনি অবিভক্ত বিহারের বিভিন্ন এলাকা এবং কলকাতাসহ বাংলার অনেক এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
সেই সময়ের সংগৃহীত অভিজ্ঞতা অবশেষে তাঁকে বিভিন্ন দিক নির্বাচন করতে সমৃদ্ধ করেছে যা তিনি তাঁর নিজের বিভিন্ন বই এবং অবসর গ্রহণের পরে সচিত্র জার্নালে প্রকাশ করেছেন।