বসন্তের ছোঁয়া
গল্প
কলমে ,,অনাদি মুখার্জি
আকাশ তখন বি,এড করছে ,তখন তার সাথে প্রফেসর মিলন এক ম্যাডামের সাথে পরিচয় করিয়ে দিল ! আকাশের নজর তখন সুন্দরী আধুনিক স্মার্ট ম্যাডামের দিকে ! ম্যাডাম তখন হাসতে হাসতে বললো আপনাকে আমি চিনি আকাশ দা ! রাস্তায় যেতে যেতে আকাশ ও ম্যাডাম গল্প করতে লাগলো , গল্পের মধ্যেই দিয়ে জানতে পারলো ম্যাডামের নাম পলি তিনি সাহিত্য ও কবিতা লিখতে ভালো বাসে তিনি নিজের একটি সাহিত্য পেজ ও খুলেছেন ! আকাশ বললো ওকে তবে আমাকে ফেসবুকের ফ্রেইন্ড রিকুয়েস্ট পাঠান ! এইভাবে তাদের পরিচয় হয় ,পলি পেজের সব লেখা গুলো এডিট করে পোস্ট করে দেয় আকাশ এইভাবে একদিন তাদের পেজের খুব নাম হলো ,সব ভালো ভালো কবিরা যুক্ত হয়ে এতে কবিতা দিতে লাগলো ! আর আকাশ সব কবিতা গুলো এডিট করে দিত এর মাঝে তাদের অনেক গল্প ও হতো ,পেজের লাইক অনেক বাড়িয়ে দিয়েছিল ! কিছু দিন যাবার পর তারা একটা পেজের লোগো দিয়ে বই প্রকাশিত করলো তার ফলে তাদের সুনাম আরো বাড়লো !
একদিন পলি আকাশ কে বললো সত্যিই আকাশ তুমি না থাকলে আমার স্বপ্ন কোনোদিন পূরর্ণ হতো না তাই বলো তুমি কি খাবে চলো রেষ্টুরেন্টে ,ধিরে ধিরে তাদের সম্পর্ক এমন ভাবে জড়িয়ে গেলো একে অপরের সব কথা শেয়ার হয় . তারা একে অপরের সুখ দুঃখের গল্প করে দিন কাটাতে লাগলো ! হঠাৎ আকাশে চলে গেলো সিঙ্গাপুরের একটা ভালো কোম্পানির কাজের জয়েন করার জন্য ই ! যাবার সময় পলি কে বলে গেলো যখনই তুমি আমাকে ডাকবে আমি আসবো ,আর আমাদের কথা হবে ফেসবুকের মাধ্যমে ! কিন্তু কিছু দিন যাবার পর আকাশের মন খুব খারাপ হতে লাগলো পলির জন্য সেই যে খুব ভালোবেসেছে পলি কে ! তাকে কাছে পেয়েও কোনোদিন কিছু বলেনি তাই এখন তার সব সময় ইচছে হয় পলিকে আই লাভ ইউ বলি ! ফোনো কত কথা হয় সেই সময় আকাশের সাহস হয় না পলি তোমাকে ছাড়া আমার একটু ও ভালো লাগছে না !
একদিন শুভ আকাশ কে ফোন করে বললো তুই একবার আয় এই বসন্তের উৎসবে খুব মজা হবে ! আকাশ ছুটি নিয়ে চলে এল বাড়িতে !
শেষে তারা সবাই মিলে ঠিক করলো শান্তিনিকেতন যাবে বসন্ত উৎসব দেখতে ! এমন সময় পলির ফোন এলো ফোন রিসিভ করে পলির সাথে অনেক কিছু কথা হল শেষে জানতে পারলো পলিও নাকি শান্তিনিকেতন যাবে সেই রবীন্দ্র নৃত্য করবে ! কথাটা শোনার পর আকাশের মন ভরে উঠলো সেই এক প্যাকেট লাল আবির নিয়ে শান্তিনিকেতন তাদের বন্ধুদের সাথে উদেশ্য বেরিয়ে পড়লো !
বিশ্বভারতি তে এসে আকাশ অবাক হয়ে দেখছে কত সুন্দর পরিবেশ দেখে ! চারিদিকে গাছে গাছে কত পলাশ শিমুল আর কৃষ্ণচূড়া ফুলে ভরে আছে ,আম গাছের শাখায় কত আমের মুকুল ফুটে উঠেছে ,কোকিল ও কত ধরনের পাখি গান করে জানান দিচছে বসন্তের আগমন ! বিশ্বভারতি মাঠে এখন নাচের অনুষ্ঠান শুরু হবে সবাই কি সুন্দর শাড়ি পরে পলাশ ফুলে মালা নিয়ে নৃত্য করতে করতে সারি বন্ধন ভাবে মাঠে এলো তাদের মধ্যেই আকাশ পলি কে দেখতে পেলো !লাল সবুজ রঙের শাড়ি আর ব্লাউজ পরে মাথায় খোঁপার মধ্যেই পলাশ ফুল জড়িয়ে দুটো হাতে পলাশ ফুলের চুড়ি পরে নৃত্য করছে রবীন্দ্র সংগীতে তালে তালে বেশ সুন্দর লাগছিল তাকে ,যেন মনে হচছে স্বর্গের পরীদের মতোন লাগছে !
পলির নাচ দেখতে দেখতে তন্ময় হয়ে গেসলো ,মনে মনে ভাবলো পলিকে বলতে তার মনের কথা !
নাচ শেষ হয়ে যাবার পর সবাই আবির খেলায় মেতে উঠলো আকাশ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে দেখছে ,তখন পেছন থেকে ধরে তাকে আবির মাখিয়ে দিতে আকাশ ঘুরে তাকিয়ে দেখে পলিকে ! তার দুই হাত ভর্তি আবির সেই সময় হঠাৎ পলি আকাশের গালে আবির মাখিয়ে বললো এই দিনটা জন্য ই আমি অপেক্ষা করছিলাম ! আকাশ বললো তাই ঠিক আছে বলে সেই তখন আবির মাখাতে যাবে পলিকে তখন পলি ছুটতে লাগলো তার পিছন পিছন আকাশ তাকে ধরতে গেলো ! পলি কে ধরে তখন আবির মাখাতে যাবে তখন সেই পলিকে দেখছে এক দৃষ্টিতে কি সুন্দর লালছে আভা রক্তিম গাল ,সেই সময় গান বেজে উঠলো দাও দাও রাঙিয়ে দাও, আকাশ আসতে করে পলি দুই গালে লাল আবির মাখিয়ে বললো সত্যিই আমার খুব ভালো লাগছে আজকের দিনটা ! পলি তার বুকে মাথা রেখে বললো তুমি আমায় রাঙিয়ে দিলে জীবনের অনেক আমার পেজে কবিতা এডিট করেছো এইবার আমাকে তোমার হৃদয়ে এডিট করে রাখো ! এই কথা শোনার পর আকাশ মনে মনে বললো যে কথাটা আমি তোমাকে বলবো ভাবছিলাম সেই কথা তুমি আমায় বলে দিলে ! সত্যি আমার জীবনের মধ্যেই বসন্ত ছোঁয়া লেগেছে তোমার পরশে বলে পলি কে জড়িয়ে ধরলো !