☆ ☆ ☆ ~ তোমা বিনে ~ ☆ ☆ ☆
(✍️ রুদ্র প্রসাদ।)
৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹
সবাকার সমাহারে হেরি শতদলে
শ্মশ্রুগুম্ফধারী সূরে, মহানিদ্রাবৃত
মহীধর মাতে সমরাঙ্গে! সাবেকের
সেবাসত্ত্বে পরিহার পিছে প্রিয় জনে।
প্রয়োজনে সৌধ সাজে শান্ত ধীরানলে
অধীর শৃঙ্খল শিরে। অসীমে আদৃত
অনন্ত আকাশে অছি অযত্নকৃতের
কাঙ্গাল কামনা ‘রেখো মা দাসেরে মনে’।
মাতৃভাষা মণিহার ‘কপোতাক্ষ’ ক্লেশে
কামী ক্লেদিত কারূক? জারক যাতনা
যেন যমুনার জল, শত শঠতার
শিকার, তবু তোরণ তীক্ষ্ণতায় তৃপ্ত!
বিপ্রতীপ বিচ্ছেদন বিষাক্ত আশ্লেষে
অবিরত অসি অভী, ব্রাত্য বনিবনা
বৈধ ইতিহাসে ইতি, ঈপ্সিত ঈর্ষার
দ্যোতক দ্যুতি দ্যোতন দৌত্যকার দৃপ্ত।
প্রলেপে প্রলাপ পণ্ড? ডহর ডরালু
ডঙ্কা সুরে স্বগতোক্তি, বক্রোক্তি ব্যত্যয়
ব্যঞ্জনা বর্ণিত বাসে, ত্রাসিত তাপনে
তোলে তেহাই, সুরেশে বোধী ‘বীরাঙ্গনা’।
বিহারে বিলাতী সারা সখেদে স্বপ্নালু
স্বদেশেতে সাঙ্গ, পর্বে প্রয়াসী প্রত্যয়
প্রতীচী উবাচ উর্বী, ক্ষুধিত কাঞ্চনে
কৃষ্টি কর্ষে সাধা শৌর্যে শাণিত সাধনা।
মথিত মৌন মৌতাতে মৃন্ময়ীর মুক্তি
‘অমিত্রাক্ষর’ আলোতে, চর্যা চতুর্দশে
চর্চিত চৌবন্দী চারে ঋজু, রিক্ত ঋণে
রোধী রোপণ মহান, হে “মধুসূদন”।
নবীনানন্দে নতুন ছন্দে ছোটা যুক্তি
যোজকের যোগী, বৈর বঙ্গবাসে বশে
তুরীয় তুলনা তুলি তুচ্ছ, তোমা বিনে
বিবশ বিধানে ক্ষরা মধুর স্মরণ।।
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°