গল্প:—- “আন্ডার গ্র্যাজুয়েট”
কলমে—– মেরী খাতুন
২০/০৪/২০২৪
ক্লাস এইটে তিনবার ফেল করে পড়া ছেড়ে দিয়েছিল কবিতা। ব্যাপারটা খুবই দুঃখজনক। বলতে গেলে বাড়ির মধ্যে সবচেয়ে কম পড়াশোনা জানা সে-ই। যেহেতু শিক্ষিত পরিবার, চেষ্টার কোন ত্রুটি ছিল না।
একের পর এক মাষ্টার রেখেছেন বাবা।দাদাদের চেষ্টা ছিল অন্তহীন। ছোটবোন মাধ্যমিকের গন্ডি পেরতে পারবে না,তা হয় নাকি? ভাল ভাল কোচিং এও পাঠিয়েছে। বাছাই করা অভিজ্ঞ মাষ্টার এনে দেওয়া হয়েছে বাড়িতে। যে ভাবেই হোক মেয়েটা যেন পাশ করে। কিন্তু সবই ব্যর্থ। ক্লাস এইটে দুবার ফেল করার পর টি সি পেল স্কুল থেকে। তবুও হাল ছাড়েনি কেউ। জোর করে অন্য স্কুলে ভর্তি করানো হয় একই ক্লাসে।ফলাফল সেই একই, এবং পড়াশোনার ইতি ওখানেই।
সেই কবিতার বিয়ে হতে চলেছে এক মাস্টারের সঙ্গে। কোনও স্কুলের সঙ্গে যুক্ত নয়। প্রাইভেট টিউটর। শিক্ষিত ভদ্র। দাদারা অমত করছিল;প্রাইভেট টিউশনির ওপর কোনও ভরসা নেই। ভবিষ্যৎটা ভাবতে হবে তো!
বাবা বলেছেন,কিচ্ছু করার নেই,এর চেয়ে ভালো পাত্র জুটবে না। সরকারি চাকরি করলেই সে ছেলে পাশ করা মেয়ে চায়।
আর কি বলবে! কথাটা তো ঠিক। দশ বছর ধরে কম চেষ্টা হয়নি। খবরের কাগজের বিজ্ঞাপন,তথ্যকেন্দ্র,ঘটক এবং ব্যক্তিগত যোগাযোগ। একই বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি;অন্তত একটা পাশ হলেও চলতো।
অতঃপর স্থানীয় এক প্রাইভেট টিউটরের সন্ধান আনলো ঘটক।
লেখাপড়া তেমন না জানলেও চলবে। তারা একটা ঘরোয়া মেয়ে চায়। ঘরের কাজকর্ম এবং রান্নাবান্না জানলেই যথেষ্ট। একবার দেখেই পছন্দ করল পাত্রপক্ষ।
মাসখানেকের মধ্যেই পাকা কথা শেষ। বিয়ে ১৫ই অগ্রহায়ণে। মাঝে আর কয়েকটা দিন পড়ে আছে। যথাসময়ে শুভ কাজ সম্পন্ন হল নির্ধারিত দিনেই।
সেদিনই প্রথম উভয়ের চাক্ষুষ দেখা।দৃষ্টিবিনিময়। এর আগে কেউ কাউকে দেখেনি। অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ছেলে কিছুতেই রাজি হয়নি মেয়ে দেখতে।বলেছে,বাড়ির লোকজন, মা দেখেছেন তো।তাতেই হবে।
ফুলসজ্জার রাত প্রথম কথা বললো। অরুণ,
—— তোমার হবি কী?
চিরাচরিত নববধূর মতোই চুপচাপ খাটে বসে লাজুক তাকায় কবিতা। বাস্তবিকই হবি বলতে কিছুই তো ছিল না কোনওদিনও। সময় কাটতো টিভি দেখে, ঘর গুছিয়ে আর মাঝেমাঝে একটু আধটু রান্না করে—সেটাকে নিশ্চয় হবি বলা যাবে না। তাছাড়া শিক্ষিত ছেলে ওই জাতীয় হবি পছন্দ নাও করতে পারে। তাই কী বলবে ভেবেই কুল পাচ্ছিল না কবিতা।
অরুণ ফের বললো,কী হল তোমার কোনও শখ ছিল না?
—-ছিল।
—-কী?
—–গল্পের বই পড়া।
এলোমেলো জবাবটা দিয়েই আরও চিন্তায় পড়ে যায় কবিতা। কারণ সে জানে,একটা মিথ্যেকে ঢাকতে অনেক মিথ্যের জোড়াতাল্পি দিতে হয়। পিঠে আলতো হাত রাখে অরুণ।
—–ভালো। বইপড়ার নেশাটা খুবই ভালো।
গল্পের বই কিছু কিছু আছে আমাদের বাড়িতে।
কবিতা বলে, কী বই?
——শরৎচন্দ্রের পুরো সেট আর রবীন্দ্রনাথের গল্প ও কবিতার বই—-আরও টুকটাক আছে—মা খুব বই পড়তেন।
—–এখন পড়েন না?
——-খুব কম। চোখের জন্য বেশি পড়তে পারেন না—-চোখের ছানি কাটানো হয়েছে।
তুমি পড়েছো, শরৎচন্দ্রের কোনও বই?
কবিতা চুপ। শরৎচন্দ্রের বই পড়া তো দূরের কথা জিজ্ঞেস করলে দুটো নামও বলতে পারবো না। তবে ভাগ্য ভালো যে অরুণ অন্য প্রসঙ্গে চলে যায়।
—–তোমার নাম তো কবিতা—-কবিতার বই পড় না?
—-না। আসলে আমি পঁচিশে বৈশাখ জন্মেছিলাম বলে বাবা কবিতা নাম রেখেছিলেন।
—-বাঃ,বাবার রসবোধ আছে বলতে হবে।
অল্প হাসে কবিতা।
পরের দিন অরুণের এক অধ্যাপক বন্ধু প্রদীপ এসেছিল আলাপ করতে। এ কথা সে কথার পর জিজ্ঞেস করলো,তুমি গ্র্যাজুয়েশন কোন ইয়ারে করেছো? কবিতা আর কি বলবে! উত্তরটা দিল অরুণ , কমপ্লিট হয়নি—-একটা সাবজেক্ট–এ ব্যাক আছে।
কবিতা থ। কী বলবে ভেবে পায় না। লজ্জা আর অপমানে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে অগত্যা। ছিঃ ছিঃ ,এটা কী হলো! এতবড় মিথ্যে কথা। এই পাষাণভার তো তাকেই বয়ে বেড়াতে হবে আজীবন।
রাত্তিরে ঘরের দরজা বন্ধ করে কবিতা বলে,তুমি প্রদীপদাকে মিথ্যে কথা বললে কেন? ঠোঁট থেকে সিগারেট তুলে নিয়ে অরুণ বলে, কোনটা?
—–ন্যাকা! কবিতা গম্ভীর তাকায়।
——-না, সত্যি বলো না আমি ঠিক বুঝতে পারছি না।
কবিতা বলে ঐ যে পড়াশোনার ব্যাপারে।
—-ওই কথা! ধুর, ওটা কোনও ব্যাপার নয়।হো হো হাসলো অরুণ। যেন হেসেই উড়িয়ে দিতে চায়।
——তোমার কিন্তু বলাটা ঠিক হয়নি। কঠিন তাকায় কবিতা।
—-কী হবে? সার্টিফিকেট দেখতে চাইবে।
—-তা নয়। তবু কী দরকার ,যা নয় তাই বলার।
—–কাউকে কিছু না বললেও সবাই জানে যে আমার বউ আন্ডার গ্র্যাজুয়েট।
—–কী করে জানে?
আমরা তো আগাগোড়াই বলে এসেছি—–।
এই যেমন আমি—-
—–কী?
——-আমার কোয়ালিফিকেশন তোমরা কি জানো?
——কেন এম এ পাশ।
——– হ্যাঁ, সেটা কিন্তু আমাদের বাড়ির লোক বলেনি। ঘটক তোমাদের বলেছে।
—অবাক তাকায় কবিতা, তুমি এম এ পাশ নও।
—–না। বি এ পাশ আমি।
—-সে কি! আমি তো সব্বাইকে বলেছি—এক মুখ ধোঁয়া ছেড়ে অরুণ বলে, ঠিক আছে। ভুল আর কাউকে ভাঙতে হবে না। আসলে আমি এতো টিউশন করি দেখে সবাই আপনা থেকেই ভেবে নিয়েছে।
খোলা জানালার সামনে কবিতা। বাইরের দিকে তাকিয়ে বলে,তোমার বন্ধু-বান্ধবরা?
অরুণ বলে,এখানে তো আমরা নতুন বাড়ি করেছি–ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলতে তেমন কেউ নেই।দু-একজন যা আছে,এম এ-ই জানে। তবে একটা কথা–
—-কী? ঘুরে দাঁড়ায় কবিতা।
—কীসে এম এ জিজ্ঞেস করলে বলবে বাংলায়।
কবিতা নির্বাক।
আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ। হালকা মেঘ পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে মন্থর। জ্যোৎস্নায় মাখামাখি চারদিক। স্থির চোখে এ সব দ্যাখে কবিতা। বুকের ভেতরটা ভার হয়ে আসে না-বলা কথায়। সব যেন ওলটপালট হয়ে গেল। ভেবেছিল, বিয়ে আর হবে না এ জীবনে। শেষমেশ যখন ঠিক হল,সব শুনে মনে হয়েছিল, স্বামীটা মনের মতো হবে। বিয়েটা কপালের লিখন। এই জন্যেই বোধ হয় এতো দেরি হলো। নিশ্চয়ই মন থেকে ভালোবাসতে পারবে তাকে। কিন্তু এটা কি হলো। এ এক প্রত্যাশাহীন পাওনা। চুরান্ত মিথ্যের প্রশ্রয়।বাস্তবিকই সে প্রস্তুত ছিল না এই চাতুরির জন্য।
অরুণ বলে অত ভাবাভাবির কী আছে।আজকাল এগুলো কোনও ব্যাপারই নয়।
কিন্তু ভুলতে পারে না কবিতা।
মিথ্যের তকমা দিয়ে নিজেকে জাহির করা তার কাছে নীতিবিরুদ্ধ—-অথচ স্বামী সম্বন্ধে আরও বড়রকম মিথ্যের প্রচারে নামতে হবে তাকে। অষ্টম মানের পুঁথিগত বিদ্যায় বোধবুদ্ধি খুবই সীমিত। তবু এরই নিরিখে এই অসত্য মেনে নিতে পারে না। ভেতরে ভেতরে এক তীব্র তোলপাড় অস্থির করে তোলে।স্বামীর আলিঙ্গন চুম্বনের মধ্যেও সেই অস্থিরতা প্রশমিত হয় না। এমনকি রিরংসাতেও যেন অনীহা। অরুণ বোঝায়,আমরা তো আর ফলস সার্টিফিকেট নিয়ে চাকরি করতে যাচ্ছি না—তা ছাড়া সব কিছু স্পোর্টিংলি নেওয়া ভাল।
নীরব তাকায় কবিতা। ইংরেজি শব্দের মানে বোঝে না সে। জানতেও চায় না। জিজ্ঞাস্য বিষয় একটাই; এ সবের কি দরকার?
অরুণ একাধিক যুক্তি খাড়া করে মত প্রতিষ্ঠার জন্যে। সবই ভ্রান্ত মনে হয়। স্বামীর এই ভ্রান্তিবিলাস মেনে নিতে পারে না কিছুতেই।
কবিতা একদিন অরুণকে বলল,আমি যদি প্রাইভেটে মাধ্যমিকটা দিই।
অরুণ মাথা নাড়ে, কোনও দরকার নেই—যেটুকু বিদ্যে তোমার আছে,তাতেই চলবে।আমরা যা চেয়েছি, সেটা তো পেয়েছি। হ্যাঁ, একটা আদর্শ গৃহবধূই প্রার্থিত ছিল এ বাড়িতে। সেই চাহিদার ষোলোকলা পূরণ করেছে কবিতা। আক্ষরিক অর্থেই গৃহকর্মে সুনিপুনা। ঘরদোর গোছানো,রান্নাবান্না,অসুস্থ শশুড়কে সেবা-যত্ন এ সব কাজে তার পটুত্ব অনস্বীকার্য। শাশুড়ি বলে ঠিক এমন একটা বউ-ই আমরা চেয়েছিলাম।
শশুড় বলেন,তুমি আগের জন্মে আমার মেয়ে ছিলে। কবিতা হাসে,কী আর এমন করেছি। শাশুড়ি বলেন,অনেক করেছো—পুরো সংসারটাই মাথায় করে রেখেছো। এ বাড়িতে বউমা তুমি তো প্রথম নও —-।
অরুণ ছোট, বড় ছেলে বরুণ, ব্যাঙ্কে চাকরি করে। এম এস সি পাশ। বিয়ে হয়েছিল শিক্ষিতা সুন্দরী মেয়ের সঙ্গে। কিন্তু বিয়ের পর একটা মাসও কাটলো না আমাদের সাথে। আলাদা হওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগে। প্রতিদিন সামান্য কিছু ব্যাপার নিয়ে ঝগড়া ঝামেলা শুরু হতো। এবং তাদের বাসনা পূরণ হয় ঝগড়া-বিবাদের মাধ্যমে।এখন কোলকাতায় ফ্ল্যাটে থাকে। এ ধার আর মাড়ায় না। পূজোর সময় শুধু টাকা পাঠায়,খবরাখবর ফোনে।
বস্তুত এই দৃষ্টান্ত বউ সম্পর্কে বীতশ্রদ্ধ করে তুলেছিল অরুণকে। মা বলেছিলেন খুব হয়েছে আর পাস করা মেয়ের দরকার নেই।
আসলে শিক্ষিত বউ সম্পর্কে একটা ভুল ধারণার জন্ম দিয়ে গেছে বড় বউ।
বড় বউয়ের এই ঘটনায় কবিতার মনে জেদ চেপে বসে। কোনমতে তাকে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট হতেই হবে। অরুণকে বলে মাধ্যমিকের বই জোগাড় করে। ভোরে উঠে পড়া মুখস্থ করে। গভীর রাত পর্যন্ত পড়ে।সারাটা দুপুর,যখন একটু বিশ্রামের সময়, অঙ্ক কষে যায় একের পর এক। অরুণকে দেখায়। সংশোধন করে নেয়। প্রয়োজনীয় সব কিছুই আদায় করে নেয় মেধাবী ছাত্রীর মতো। শিক্ষাদান অপেক্ষা শিক্ষাগ্রহণই বড় হয়ে ওঠে। অতঃপর পরীক্ষায় বসার ব্যবস্থা।কবিতা মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়। এবং পাসও করে ভালো নম্বর নিয়ে।
শাশুড়ি বলেন, একটা পাশ করেছো যথেষ্ট–আর দরকার নেই।
কবিতা বলে না মা, আর একটু—উচ্চমাধ্যমিকটা পাশ করতে দিন।
—–কী দরকার বউমা,আমাদের তো কোনও অসুবিধা হচ্ছে না।
কবিতা আর কি বলবে। অসুবিধা নয়, অস্বস্তি। একটা কাঁটা হয়ে বিঁধে আছে।
শশুড়বাড়ি এলাকার সবাই জানে,কবিতা আন্ডার গ্র্যাজুয়েট। কবিতা জানে, আন্ডার গ্র্যাজুয়েট হতে গেলে উচ্চমাধ্যমিকটা উতরোতে হবে।
এই মনোবাসনা প্রকাশ করে না সে। মুখে বলে,ভয় নেই পাশ করেও আমি যেমন আছি তেমনই থাকবো।
বই জোগাড় হয় যথাসময়ে। সুবিধার জন্য স্কুলেও ভর্তি হয়। তবে ক্লাস করে নামমাত্র।পরীক্ষার যাবতীয় প্রস্তুতি বাড়িতেই।
বউয়ের এই আগ্রহী শেষমেশ অরুণকেও আগ্রহী করে তোলে। ভাল ভাল বই, নোটস এবং সাজেশন এনে দেয়। কী আর করা যাবে! সোনা–দানা–শাড়ি এ সব কিছুই নয়, শুধু একটা পাশই তো চায় কবিতা। এই ক্ষুদ্র চাহিদা অরুণের মতো মাষ্টার পূরণ করতে পারে অনায়াসেই।
অতীতে বাড়ির লোক জোর করে কবিতাকে পড়াতে পারেনি। এখন কেউ জোর করছে না।নিজস্ব জোরে স্থির লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলে কবিতা। এক চান্সে পাশ করতেই হবে।অরুণ বলে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে আবার বি.এ তে বসতে চাইবে তো?
কবিতা বলে, বি.এ পাশ এর দরকার নেই। আমি আন্ডার গ্র্যাজুয়েট হতে চাই। কিন্তু——
——কী? কবিতার চোখে চোখ রাখে অরুণ।কবিতা বলে, তোমাকেও এম.এ পাশ করতে হবে।
——-কেন? অরুণ বলে কবিতাকে।
——যে কারণে আমি আন্ডার গ্র্যাজুয়েট হতে চাই সেই একই কারণে তোমাকেও এম.এ পাশ করতে হবে। কথা শেষ করে উত্তরের অপেক্ষায় স্বামীর মুখের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে কবিতা। অরুণ চুপ। বলার মতো ভাষা হাতড়ায়। ঘর জুড়ে স্তব্ধতা।।
Copyright মেরী খাতুন ।
কবি পরিচিতি:—
নাম মেরী খাতুন। বিশ্বভারতী থেকে স্কুল জীবন শুরু,পরে মালদা ওমেন্স কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। বিবাহোত্তর জীবনে মালদা টাউন হায়দারপুরে বসবাস।১৯৮৬-১৯৮৮ পর্যন্ত ব্রতচারী ও বয়স্ক শিক্ষা প্রকল্প পল্লি সংগঠন বিভাগ, শ্রীনিকেতন, বিশ্বভারতীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিশ্বভারতীর ছাত্রী হিসাবে ছোট থেকেই লেখালেখির অভ্যাস। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ “হৃদয়ের ক্যানভাস” পাঠক মহলে এক বিশেষ পরিচিতি এনে দেয়। প্রকাশিত হয়েছে বেশ কয়েকটি যৌথ গল্প সংকলন, এবং কবিতা সংকলন এছাড়াও গল্প,কবিতা, ভ্রমণমূলক প্রতিবেদন, তথ্যমূলক লেখা ইত্যাদি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এবং দু-একটি দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হয়