কবিতা : বিষন্নতার আঁচে দগ্ধ হচ্ছে সময়কলমে : শেখ আব্বাস উদ্দিন
ইঞ্জিনের ঘর্ষণ আর রেললাইনের নিস্পৃহ শুয়ে থাকা দেখতে দেখতে ক্ষয়ে গেল অনেকটা জীবন,কিশোরী সকাল ঘড়ির কাঁটায় অপেক্ষমান পেটাই পরোটার সুঘ্রাণে;
পুরনো অবেলায় নামতার সিঁড়ি বেয়ে”আলিফ লায়লা” কিংবা ধারাবাহিকের কুশীলবেরা ফিরে আসে নতুন অবতারে
ঘামে সিক্ত, ক্লান্তির স্পষ্ট ছায়া শরীরে মনের বিস্তীর্ণ আকাশে; উত্তীর্ণ জীবন পিছনে ফেলে আসে তপ্ত অবসন্ন পথ।পুড়ে যাওয়া পায়ের সংলাপ স্বগতোক্তি আর সাদৃশ্যতা মুখের মর্মরেখায় রেখায় বেঁচে থাকেশিকড়ে শিকড়ে অনুভূত হয় অনন্ত টাননিরীহ সকালগুলো পরতে পরতে সাজানো বটেপ্রতিটা দিন সপ্তাহ মাসের সরণিতেঅন্ধকার গৃহকোনে মাকড়সার সহবাস; জীবনের আগামীর স্পষ্ট আভাস লেখা হয় দীর্ঘশ্বাসেরোদ্দুরে শুয়ে আছে অনন্ত প্রলয়,প্রলয়ের শেষ প্রহরে এলোমেলো প্রলাপে মেতেছে জনহীন প্রান্তর…
আমি কেন দুঃখবাদী হব, নিবিড় সন্ধ্যার গায়আমি কেন সীমান্ত হব?কাঁটাতারের বেড়া হব দুই হৃদয়ের মাঝে?বরং আমি সাম্য হব দুই পৃথিবীর বিভেদ বেড়ার ফাঁকে।