————————————–
~ আরশি গভীরে ধুসর গর্ভ ~
*বিদ্যুৎ ভৌমিক*
(পৃষ্ঠা ছেড়া পাণ্ডুলিপি থেকে
অসমাপ্ত ক-বি-তা)
——————————-
পাশের রাস্তাতে তিন জন্মের লাশ ;
0নিয়মহীন এভাবেই একক অপার্থিব অশরীর ৷ উল্টোদিকে আমি নিভৃতের নির্জন সময়
ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখি প্রভূত একাকী স্তব্ধ এভাবেই ,—
সময় সত্য ; আভরণ খোলা বৃষ্টির গন্ধ মেশা মধ্যরাতের শ্মশান !
সেটাও কবে থেকে জনহীন ; মানুষ পোড়া অতীব আঁধার ঢাকা সম্মোহনে বিভোর !
এভাবেই কিছু সময় অতীত সূড়ঙ্গে অশরীর আমিও …… ,
গভীর শূন্যতায় নিপুন অন্তরিক ; এই দর্পণ !
চেহারা বদেলে মৃত্যু ঘুম নিয়ে দিব্যি কাঙালের ছদ্মবেশে এই রাস্তাটা পেরিয়ে গেছে স্তব্ধ পেছল গলিপথ ধরে ,—
#
এই এখানেই প্রত্যন্তে ডুবে আছে বহু কালের বিবিধ
প্রণয় ; কিছু কিছু দুঃসময়ের পিছমোড়া সর্বনাশ ! গভীরতর আঁকার দিয়ে অকস্মাৎ নিজের প্রতি জন্মের শরীর ভুলে গেছে ; এই আমিটা ৷
তাই নানান বাহানা পেতেছি এই জন্মের ছায়ার কাছে মৃদু কান্নায় ,—-
মায়া চাদরের চটুল আকর্ষণ ; ওখানে আদ্যোপান্ত গভীর কুমারী সরোবর ৷
সেখানে নির্ঘুমে কতবার ডেবেছি এবং বেঁচেও উঠেছি ব্যক্তিগত হাওয়া ভাসিয়ে নিছক অলৌকিকে !
মঝেমধ্যে এই রাস্তায় চলে আসি প্রতিবিম্ব প্রতিফলনে অনাহুতের মত ….. !
আবেগ নতুবা স্বপ্ন ফেরত ভুল পথ ,
যেটুকু আকাশ ছিল সেটাও এভাবেই ফুরিয়েছে বিসমৃতির মরণ ডাকে !
#
কেউ একজন আরশির ভেতর একটানা বাইশ বছর ধরে ঘুমোচ্ছে !
অতিরিক্ত নীরবতা ছড়িয়ে স্মৃতির ভিতর ; নিপুন আছিলায় বহতা পেছল স্বপ্ন ,—– যাবতীয় জন্মগুলো নামহীন দিনগুলো নিয়ে পুড়ছিল একা এভাবেই !
এখান দিয়ে ইতিহাসের সিলেবাস প্রাণ তত্ত্বের বিন্দু বিষর্গ গুলো ছুঁয়ে দেখেছে এক বৈরাগী ভিক্ষুক …… !
এভাবে এটুকু নির্বিকার ছিলাম ; বুকের মধ্যে প্রতিজন্মের কান্না গুলো নিদারুণ চোখ মুছতে মুছতে আবেগে ও সোহাগে আত্ম পরিচয় পেতেছে এই পথে !
#
যেভাবেই চেয়েছি তোমায় ; মৃত্যুর পরে সেটাও স্মৃতি শূন্য এভাবেই নির্ভুল আঁকারহীন অশরীর হয়ে আছে !
নিছক এভাবেই মৃত্যু মৃত্যু কবিতার অনেকটা কাছেই আমার বেমালুম চলে আসা অভাবি প্রত্যয়ে ,—- চেহারা পাল্টে লুকিয়ে দেখেছি তোমাকে প্রতি জন্মে ৷
তুমি কিন্তু অচেনাই এভাবেই আছোঁয়া ; সুতরাং একবার বেঁচে ওঠার লোভ অদূরেই গোপন ছিন !
জন্মঋণ এবং বহুকালের সঞ্চিত অসুখ ; এই পথে
প্রেম প্রবাহে জ্যোৎস্নার মতই উজ্জ্বল ৷
এভাবেই মরেছি কতবার কতভাবে ; মৃত্যু ও মরণ সেটাও ভুলে গেছি ,— রীতিমত প্রতি জন্মের প্রেমের কাছে আমার তোমাকে না পাবার অভিমানে এই শ্মশান শূন্য পথে মৃত্যুর সেই দিন থেকে একা ও একক হয়ে নিঃসঙ্গ দাঁড়িয়ে অবুঝ এভাবেই !
তবু ঘরে ফিরি ; যে শরীরটা প্রিয়জনেরা মৃত্যুর পর পুড়িয়ে ফেলেছে ; তার দু’ঘণ্টার ভেতর আবার অন্য এক দেহকে পাই !
আবার প্রতীক্ষায় থাকি তোমাকে পাবার !!
—————————————