অবশেষে ঘরে ফেরা
******************
ঘর থেকে দূরে দেশান্তর ঘুরে
গোধূলিতে মনে পড়ে
আমাদের গ্রাম মোহনপুর নাম
ভুলিব কেমন করে!
স্মৃতি নিয়ে হেসে যাবো দিন শেষে
আপন কুলায়ে ফিরি।
শ্যামলিমা মাঠে কলমীর ঘাটে
নাচিবারে ঘিরি ঘিরি।
দেখিব আবার ভোরের আভার
লাল কাপড়ের চেলি
প্রজাপতি নাচে পুষ্প ফোটে গাছে
কদম্ব,চামেলি,বেলি ।
দখিনা বাতাস শুভ্র আকাশ
শুনিব পাখির ডাক
স্তব্ধ দুপুর রাখালিয়া সুর
ফেরিওয়ালার হাঁক।
দিঘি কালো জল করে টলমল
জলকেলি খেলে হাঁস
শান্তির সে নীড় স্নিগ্ধ সমীর
নদী তীরে দোলে কাশ।
মন অবারিত হইল ধাবিত
অবশেষে ঘরে ফেরা
যেখানে আমার মাতৃ মায়ার
সুনিবিড় ছায়া ঘেরা।
ফিরে দেখি হায় কিছু নেই তায়
কোথায় নিবিড় ছায়া!
হারিয়েছে সব খালি কলরব
নেই ভালোবাসা মায়া।
কিসের বহর!হয়েছে শহর
কেটে বৃক্ষ তরু ঝাড়ি
কংক্রিট পাথর দাঁড়িয়ে নিধর
উঁচু উঁচু ঘরবাড়ি।
কোথা দিঘি জল! নাই শতদল
শপিংমলে ঝকমারি
পাঁচতারা হোটেল বিদ্বান আঁতেল
বানিয়েছে রকমারি।
ভাই ভাই দ্বন্দ্ব স্বামী স্ত্রীর সন্দ
মাতৃ স্নেহ হাহাকার
স্বজন আপন নেই পরিজন
দাদাগিরি এলাকার।