*****
✍️রাজকুমার সরকার✍️
(ঝাড়খন্ড)
—————————————-
একশ গ্রাম সোয়াবিন এনেছিল রঞ্জিত সকালবেলায়। অনেকদিন সোয়াবিন খাওয়া হয়নি।সব ধননের খাবার মাঝে-মাঝে দরকার; একঘেঁয়েমি ভালো লাগে না।শুধু পেপে আর পেপে ।পেপে’র নিকুচি করি…..
মুখের স্বাদ মাঝে মধ্যে পাল্টাতে হবে এই ভেবেই সোয়াবিনের প্রবেশ…….
যদিও পেপেতে সব ধরনের ভিটামিন আছে…
বাড়ির দুটি গাছে অসম্ভব পেপে হচ্ছে, তা বলে শুধুই পেপে?
একবার সোয়াবিন, একবার মুসুরির ডালের বড়ার ঝোল, কখনও পোস্ত’র বড়া ভালো লাগে।মুখের পরিবর্তন হয়।
এই ভেবেই সোয়াবিন এনেছিল রঞ্জিত।
ছোট পরিবার।বেশি এনে লাভ নেই তাই মাত্র একশ গ্রাম এনেছে।
আনায় হোলো সার।এক সপ্তাহ পার হয়ে গেল সোয়াবিন আর হয় না।
রঞ্জিত বৌ’কে বলে- হ্যাঁ গো সোয়াবিন কি হবে না?
তোমাদের সাথে আর পারি না।একঘেঁয়েমি পেপেই খাব?
তুমিই বলো?
কবে এনেছো সোয়াবিন ?
একসপ্তাহ হয়ে গেল।দ্যাখো; তাহলে মা রেখেছেন মনে হয়…..
হ্যাঁ মা, আপনি সোয়াবিনগুলো রেখেছেন?
দেখতে পাচ্ছি না।আপনার ছেলে নাকি এনেছে ?
ওখানে দেখো কৌটাতে কাগজে মুড়ে রাখা আছে।
বাইরে রাখা তো নয় ইঁদুরের দৌরাত্যে…..
সব ইঁদুরেই খাবে সেই ভয়ে ওখানেই তাই রেখেছি।যেমন এনেছে তেমনই রাখা আছে।
আমাকে তো বলবেন আমি তো আর ইঁদুর নই ?
বাবা- মা- বৌ- রঞ্জিত একসাথেই হো হো করে হাসতে লাগলো।
রঞ্জিত দেখে সব থেকে বেশি মা হাসছেন ।একদম হাসতে হাসতে লুটোপুটি…….
এইভাবেই দিন কেটে যায় বেশ মধ্যবিত্ত পরিবারটির…..