লক্ষ্মী বনাম সরস্বতী
বিধান চন্দ্র হালদার
লক্ষ্মীর ভান্ডার দিন দিন এগিয়ে চলেছে,
দিন দিন পিছিয়ে চলেছে সরস্বতীর ভান্ডার!
কিছু হোক না হোক, লক্ষ্মী লাভ তো হচ্ছে?
ওঁ গনেশায় লক্ষ্মী।
নবারুণ সংঘের সম্পাদক বলে উঠলেন—
আজ কালকার দিনে
সৃষ্টির জ্যোৎস্নার কি মূল্য আছে বলুন তো ?
যেন তেন প্রকারে লক্ষ্মী লাভ হলেই হলো।
চা দোকানে চায়ে চুমুক দিতে দিতে রতন বলে উঠলো–
জীবন সূর্য খুঁজে পাওয়া যায় লক্ষ্মীর ভান্ডারে,
ব্রম্ভান্ডের পরিধি জেনে আমার কি লাভ বলো?
পাড়ায় পাড়ায়, মোড়ে মোড়ে, বাতাসে বাতাসে একটাই গুঞ্জন
ঘোলা জলে কিভাবে লক্ষ্মীর সন্ধান পাওয়া যায়?
সরস্বতীকে এখন দুই পায়ে মাড়িয়ে চলেছি,
যেন তেন প্রকারে লক্ষ্মী লাভের আশায়!
সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা চুপ করে থাকতে না পেরে, লাউড স্পিকারে বলে ওঠেন—
সরস্বতী না থাকলে, লক্ষ্মীর কি মূল্য আছে বলো?
ঝাঁক ঝাঁক পাখি ,মেঘে মেঘে দিশাহারা,
একমাত্র সরস্বতী পারে
পঞ্চ প্রদীপ জ্বালিয়ে সমস্ত আকাশ চেনাতে।
আমি জানি, এ কথা বলার জন্য
আমার বিরুদ্ধে রাস্তার আনাচে-কানাচে
ফিসফিস ষড়যন্ত্র ,
বা প্রকাশ্য দিবালোকে মৃত্যুদণ্ড।
তবু আমি একথা বলে যাবো।
শব্দ হলো সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা ।
আমাকে তো পৃথিবী রক্ষা করতেই হবে।
এসো, সবাই মিলে–
লক্ষ্মী লাভের সাথে সাথে সরস্বতীকে বাঁচিয়ে তুলি।
নইলে, পৃথিবী যে ফাল্গুনী সাজে সাজবে না?
সময়ের দর্পন কবি
বিধান চন্দ্র হালদার
কাকদ্বীপ ।শান্তিনিকেতন ।কবিতা কুঞ্জ।
05/05/2024