Ridendick Mitro
Spread the love

মুসলমান নিয়ে হিন্দুদের ধারণায়?  ভুল  সংশোধন দরকার 

[ A research : Who find  the Muslims guilty in India! : By Ridendick Mitro ]
         —————————
      ঋদেনদিক মিত্রো

     আজ বলবো,  এক বিশেষ কাহিনী প্রমাণ সহ, যেটা পড়লে অনেক হিন্দুদের ভিতর মুসলমান নিয়ে  অকারণ অশ্রদ্ধা  মুছে যাবে !  যদি আমি একটা যুক্তিও ভুল বলি তাহলে আমাকে ধিক্কার দিয়ে আপনি বা আপনারা যে কেউ এই লেখার বিরুদ্ধে পাল্টা যুক্তি দিয়ে কোনো লেখা লিখুন ! আমার সব রকম বিষয়ের যেকোনো  নিবন্ধ নিয়ে আমি এইভাবেই দাবী করি !

     দেশে দেখছি,  ছোটবেলা থেকে দেখছি,  মুসলমান মানে একটা আজব মানবগোষ্ঠী যেন !  কিন্তু কোনো হিন্দু পরিচয়ের মানুষ এর কারণ দেখাতে পারবে না ! কিন্তু,  পুরুষানুক্রমিক একটা বয়ে আসা ধারণাকে বিশ্বাস করে এরা! আবার এটাও ঠিক মুসলমান-প্রধান কোনো -কোনো দেশে হয়তো অমুসলমান নাগরিকদের একটু বেমানান দৃষ্টিতে দেখা হয় ! কিন্তু, দুই পক্ষেরই এই ধরণের ধারণাটা অনুচিত! আমরা কত হাজার-হাজার বছর পেরিয়ে এলাম, কত জ্ঞান,  চিন্তা, উলোটপালট পরিবর্তনের ইতিহাস জানলাম, তারপরেও ধর্ম নিয়ে, জাত-বর্ণ বিদ্বেষ নিয়ে,  বহু রকমের কুসংস্কার আমাদের মধ্যে অকারণ অশান্তি ও যন্ত্রণার কারণ হয়ে চলেছে!

     আবার, এটাও ঠিক,  সব রকমের ধর্মের পরিবারে  কোথাও-কোথাও এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁদের অনুভূতি মুক্ত ও উন্নত, তখন তাঁদের মনে হয় তাঁরা শুধু বিশ্ববাসী,  শুধু মানুষ! এবং তাঁরাই প্রকৃত আধুনিক ও ধার্মিক,  যে-ধর্মের নাম বিশ্বধর্ম!

     যাহোক,  সম্প্রতি একটি পত্রিকায় দেখলাম একটি লেখা! সেখানে কোনো এক বৈদগ্ধ ব্যক্তি — ইতিহাসকে  টেনে  বলছেন যে,  পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দুদের  ওপর পশ্চিম পাকিস্তানি সৈনিকরা খুব অত্যাচার করতো — লুট, রেপ, খুন,  সব রকম করতো নির্মম ভাবে !  তাই মূলত মুসলমানরা অত্যাচারী বলেই তিনি  প্রমাণ করতে চান বা বিশ্বাস করতে চান! এইরকম বহু মানুষ আছে সমাজে! এবং মুসলমানরা হিন্দুদের ওপার অত্যাচার করতে ভালোবাসে — এটাই প্রমাণ করতে চান তাঁরা ! হতে পারে,  কোনো কাহিনী বা কোনো দৃশ্য দেখে তাঁদের এই বিশ্বাস জন্মেছে! কেউ-কেউ  আবার বলেন যে,  এমনিতেই  মুসলমানরা অত্যাচারী! কারণ,  মুসলমানদের ধর্মে আছে অমুসলমানদের প্রতি অত্যাচার করার আদেশ! এই সমর্থনে তিনি কিছু উদাহরণ এনেছেন! বা এই জাতীয় বিশ্বাসে অনেকে অনেক উদাহরণ উপস্থিত করেন!

     কিন্তু,  আমার একটা প্রশ্ন, কোন প্রমাণের দলিল থেকে মুসলমান গোষ্ঠীর মানুষদের এক শ্রেণীর হিন্দু জনগোষ্ঠী এই দোষারোপ করেন? সব হিন্দুরা এটা করেন না,  কিন্তু সামগ্রিক ভাবে অনেক হিন্দুদের ভিতর “মুসলমান” শব্দটা নিয়ে একটা ভয় বা দূরত্ব কাজ করে ! কিন্তু, এই ভয় যে যুক্তিহীন,  সেটা কজন ভেবেছেন?  আসলে পারস্পরিক রেষারেষি-ভাবনা উভয়কেই বিপন্ন করছে! সেই বিপন্ন করা ও বিপন্ন হয়ে ওঠাকে আমরা বলছি যে যার ধর্ম রক্ষা!

     এবার একটু-একটু করে এগোই ! দেশভাগ কাদের জন্য হয়েছিল?  হিন্দু রাজা, জমিদার,  মধ্যবিত্তরা এমনিতেই ছিল সুবিধেবাদী ও অত্যাচারী ! কেউ -কেউ ব্যক্তি-চরিত্রে ভালো হলেও,  সামগ্রিক হিন্দু সমাজের লোকেরা বেপরোয়া ও কৌশলের লুটেরা ও কূটিল !

     আমি আবারও বলছি যে,  আপনি ভালো হলে সেটা আপনার নিজস্ব মনের গঠনে ভালো, এর সাথে হিন্দুত্বের কোনো সংযোগ নেই ! তাই মুসলমান,  খ্রিস্টান, প্রভৃতি সকলের ভিতরেই ভালো ও খারাপ লোক আছে ! আমি সেটাই বোঝাতে চাই বারবার! মানুষ মুক্ত জ্ঞানী,  চিন্তাশীল ও ব্যাপ্ত হৃদয় না হলে সমাজ,  দেশ, বিশ্ব কখনো উন্নত হতে পারে না! তবে, ব্যাপ্ত হৃদয় মানে এই নয় যে নিজের হিসেব না বুঝে খরচ করা,  বা স্থূল চিন্তার মানুষের জন্য খরচ করা, বা তাদের সাথে সময় নষ্ট করা বা অসৎ লোকের সাথে মহত্ব দেখানোর চেষ্টা!

     কিংবা  ব্যাপ্ত হৃদয় বা মুক্ত মন মানে এই নয় যে,  এইযুগের সময় যেকোনো মানুষকে মহান ভেবে বোকা সরল হয়ে যাবো ,  বা সেটাই হতে আপনাকে যেন অনুরোধ করছি,  এমনটা নয় ! আমি বলছি,  আমাদের চাই —  চিন্তা করার অভ্যেস, আলাদা পড়াশুনার প্রবণতা ও আচরণে স্বাভাবিকতা!

     প্রসঙ্গের  কথায় আসি ! এখনো একই স্বভাবের আছে এই হিন্দু সমাজ ! তারা আগে যেমন হিন্দু পরিচয় নিয়ে হিন্দু পরিচয়ের লোকদের সাথে কৌশল করতো,  শোষণ করতো,  খুন করতো,  রেপ, মার্ডার ও লুট করতো ! যা এখনো করে ! রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক ভাবে,  যে-সংবাদ আমরা পাই সংবাদপত্রে,  ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে,  ও চোখাচোখি অভিজ্ঞতায় ! এতে রাগ করার কিছু নেই ! প্রায় পৃথিবীটা আজ হিংসায় ভরা! হিন্দু -অহিন্দু বলে কিছু নেই ! এটা বড় নির্মম সত্য!

     এর ফলে নানা প্রক্রিয়ায় আসে অন্য ধর্মের প্রসার,  ভারতে !

     পরপর অন্য ধর্মের প্রসার বাড়লো ! মুসলমানরা আগে এসে দিল্লি দখল করায়,  মুসলমানের সংখ্যা বেড়ে গেলো! ধর্মান্তরিত করণের মধ্য দিয়ে ! সেটা কখনো স্বেচ্ছায়,  কখনো ঘটনাক্রমে জোর পূর্বক ধর্মান্তরিত হয়েছে কোনো হিন্দু পরিচয়ের মানুষ!

     আবার,  এটাও ঠিক, ভারতে আদি জনগোষ্ঠী সকলে অপরাধী ছিল,  এইসব কথাও অবান্তর! সভ্যতার ধারা বিভিন্ন ভাবে এগিয়ে আসছিলো,  এবং মানুষ ছিল না আজকের মত এতো বহুমুখী শিক্ষা ও ভাবনায় উন্নত! তাই, সকলেই ছিল একটা অগোছালো জীবন যাপনের মধ্যে, অগোছালো জ্ঞানের মধ্যে,  অজ্ঞতার মাঝে! ওই সময়ে বাহির থেকে যারা যেমন পারে ঢুকে গিয়েছিলো! করেছে আক্রমণ ও লুটপাট! তাই সেই ইতিহাসকে নিয়ে হিন্দুদের বা এদেশের আদি ভূমিপুত্রদের যেমন অলস নির্বোধ বলে দোষ দিয়ে লাভ নেই, তেমনি বিদেশী আক্রমণকারীদেরও দোষ দিয়ে লাভ নেই! কারণ,  তখন এইসব ছাড়া সমাজে আর কিছু ছিলোনা!  কিন্তু, কিছু মানুষ কোনো ভাবে নানা অভিজ্ঞতার নিরিখে সতর্ক,  বিশেষ জ্ঞানী ও ভালো ছিলেন,  কিন্তু সেই পরিমান মানুষের সংখ্যা বা পরিবারের সংখ্যা ছিল অতীব কম! তাই কোনো ইতিহাস থেকে কোনো কাহিনীর প্রমাণ নিয়ে — আমরা এখন কেউ কাউকে দোষী করবো না,  বরং এই যুগে কেউ কারোর সাথে দুর্ব্যবহার করলে সেটাই দোষ!

     এই দায়িত্ব সব ধর্মের মানুষের প্রতি চলে আসে!

     যা,  বলছিলাম, ফিরে আসি মূল বিষয়ে, এদিকে পরপর হিন্দু রাজা,  জমিদার,  মধ্যবিত্তরা দেখলো তাদেরকে ঠেকাতে তৈরী হয়েছে পাল্টা শক্তি,  এবং সেই শক্তির নাম মুসলমান সমাজ ! অর্থাৎ, হিন্দুরা যত নষ্টামী করবে তত অত্যাচারিত হিন্দুরা মুসলমান হবে, ও হচ্ছিলো তাই ! এটা হলো ঘটনার ধারা!

     অন্যদিকে,  অত্যাচারী হিন্দুদের  স্বেচ্ছাচারকে ঠেকাতে মুসলমান সমাজ একজোট হলো ! অত্যাচারী হিন্দুরা পড়লো ঠেলায়,  তারা এবার বাকি হিন্দুদেরকে বোঝাতে চাইলো — মুসলমানরা হিন্দুদের স্বাধীনতায় বাধা দিচ্ছে !

     এই সেন্টিমেন্ট গিলে খেলো দুর্বল অবস্থার  হিন্দুরা ! তখন তারা তাদের সব শক্তি দিয়ে মুসলমানদের ঠেকাতে চাইলো,  এবং এইভাবে তারা অজান্তে অত্যাচারী হিন্দুদের হয়ে নিজেদের ধ্বংস করতে চাইলো মুসলমানদের হাতে ! এইভাবে গড় (average)হিন্দু জনগোষ্ঠী সবাই সরে গেলো হিন্দু  রাজা, জমিদার ও অবস্থাসম্পন্ন হিন্দু পরিবারদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অবস্থান থেকে !

     এইভাবে অত্যাচারী হিন্দু রাজা,  হিন্দু জমিদার ও হিন্দু  অবস্থা সম্পন্নরা নিজেদের ভোগ বিলাস ও অবৈধ উপায়ে প্রাপ্ত স্থাবর অস্থাবর  সম্পদকে আরো নিরাপদ করে স্থায়ীকরন  করলো !

     এই ভাবে হিন্দু জনগণকে বোকা বানিয়ে হিন্দু রাজা,  হিন্দু জমিদার ও হিন্দু অবস্থাপন্ন পরিবাররগুলি মিলে  ক্ষেপিয়ে তুললো প্রথমে মুসলমানের বিরুদ্ধে,  ও পরে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ! 

     এইভাবে জন্ম নিলো জাতীয় কংগ্রেস !  জাতীয় কংগ্রেস মূলত শোষক বাবু বিবিদের আয়াসের আখড়া ! এটা হিন্দুদের মাথা থেকে এসেছিলো ব্রিটিশের কাছে দাবী আদায়ের জন্য ! কিন্তু, এদেশীয় জনগনের সব দাবী ও প্রাপ্তি লুকানো ছিল এদেশীয় হিন্দু রাজা, হিন্দু জমিদার ও হিন্দু মধ্যবিত্তদের হাতে, —  এটাই বুঝতে পারেনি সামগ্রিক হিন্দু জনগোষ্ঠী !

     এদেশীয় যে-সব হিন্দুরা নিজেদের বাড়ির অসহায় গৃহভৃত্য ও পরিচারিকাদের প্রতি নির্মম আচরণ করতো ও গরীব প্রজাদের থেকে নির্মম ভাবে কর (ট্যাক্স )নিয়ে  ফুর্তির জীবন কাটাতো,  তাদের মধ্যে কেউ কেউ  সবাই মিলে বানালো ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ! বাকিরা সমর্থন দিলো !

     আসলে,  এই নেতৃত্বগুলো দেশপ্রেম থেকে আসেনি,  সমাজ-প্রেম থেকেও আসেনি, এইসব নেতৃত্ব সব এসেছিলো সমাজের মাঝে কেউকেটা হবার ইচ্ছা থেকে, কারণ,  এরা ছিল সস্তার যশলোভী শ্রেণী ! গরীবকে শোষণ করে বাড়িতে মাঝে-মাঝে উৎসব করে গরীবকে খাইয়ে বা কিছু দান করে প্রশংসা নিত ! চাটুকারদের নিয়ে মজলিশ করতো !

     প্রশ্ন আসতেই পারে,  সংখ্যায় কম হলেও তো মুসলমান রাজা, মুসলমান জমিদার,  মুসলমান মধ্যবিত্ত ছিল এইদেশে,  তারা কি সব ভালো ছিল? 

     আমি এর উত্তরে বলি,  কখনই না !

     কারণ,  ওই মুসলমান রাজা,  জমিদার,  মধ্যবিত্তরা তো ছিল এদেশী হিন্দু জনগোষ্ঠী থেকে মুসলমান হওয়া লোকেরা ! তাই ধর্ম বদলালেও স্বভাব থেকে গিয়েছিল হিন্দু অত্যাচারী রাজা,  জমিদার ও উচ্চবিত্ত,  মধ্যবিত্তদের মত ! অন্যদিকে সংখ্যায় কম, বিদেশ থেকে আসা আদি মুসলমানরাও এদেশের মুসলমান ও হিন্দুদের ওপর করতো অত্যাচার,  কারণ,  এদেশের পরিবেশ ছিল আগ্রাসনের পরিবেশ ! তাই মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য, বিদ্যাসাগর,  রামমোহন প্রভৃতি চিন্তাশীল মানুষদের মত অনেকে নানা সময়ে এসে বেসামাল পরিস্থিতিকে সামাল দিতে চেয়েছিলেন !

     যাইহোক,  এবার আগের কথার ধারায় চলে আসি, ভোগী হিন্দু রাজা , জমিদার,  উচ্চ ও মধ্যবিত্ত লোকেরা বিলেত গিয়ে একটা ডিগ্রী এনে সমাজের বিশেষ উচ্চ পর্যায়ে উঠে ব্রিটিশের সমকক্ষ বন্ধু হয়ে,  এরাই আবার ব্রিটিশের বিরুদ্ধে মানুষকে ক্ষেপিয়ে আন্দোলন করতো ! আবার ব্রিটিশের সাথে মিশে মজলিস করতো !

এইভাবে চললো স্বাধীনতা আন্দোলনের নামে গন প্রতারণার  কাজ ! সেই গনপ্রতরণার  রেজিস্টার্ড চক্র হলো জাতীয় কংগ্রেস !  আধুনিক সময়ে ! কারণ ঊনবিংশ শতককে আমরা আপেক্ষিক ভাবে আধুনিক সময় বলে চিহ্নিত করি !

     ভোগী হিন্দুরা এই ভাবেই নিম্ন মধ্যবিত্ত ও গরিবদের  বোকা বানিয়ে থাকলো নিরাপদ ! মানে ওই কৌশলি হিন্দুরা সরল হিন্দুদের বোঝাতে চাইলো যে,  ব্রিটিশরা এদেশের সব সুখ ও সম্পদ কেড়ে নিয়েছে,  তাই ব্রিটিশদের থেকে সুবিধে আনবার জন্য জাতীয় কংগ্রেস গঠন করা !

     আমরা জানি, জাতীয় কংগ্রেস তৈরী হয় 1885 সালে !

     তারপর,  ঘটতে থাকে একে একে হিন্দু নেতাদের হাতে তৈরী নির্মম দুর্ভিক্ষ, হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা,  যা আজোবধি ঘটছে নানা আঙ্গিকে !

     যাইহোক,  হিন্দুরাই দুর্ভিক্ষ বানিয়ে হিন্দুরাই হিন্দুদেরকে  বাজারের দ্রব্য কালো বাজারে বিক্রি করলো ! হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা বাধিয়ে দিয়ে — হিন্দু নেতারাই সেই দাঙ্গা রোধ করতে পথে নেমে গিয়ে মহান নেতা হয়ে প্রতিষ্ঠিত হলেন,   যাঁদের নাম ইতিহাসে পড়ি!

     সব নেতা এই নাটকে জড়িয়ে না থাকলেও  অনেকেই ছিলেন ! কারণ,  তখন সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু নেতাদের ইচ্ছের বাইরে কোনো কিছুই ঘটতো না,  কিছু ব্যতিক্রমী ঘটনা বাদ দিলে আপাতত সেটাই বলা যায় ! আজো সেটাই বেশির ভাগটাই সত্য!

     এই কৌশলের খেলা আদি যুগ থেকে চলছিল, — হিন্দু গোষ্ঠী বলে বর্তমান যাদের চিনি তাদের অবস্থাসম্পন্ন পূর্বপুরুষেরা আলেকজান্ডার,  তৈমুরলঙ  ইব্রাহিমলোদী প্রভৃতিদের আক্রমণ ও শাসন ঠেকাতে এই দেশের ভূমিপুত্র অসহায়  জনগণকে ক্ষেপিয়েছিল ও এইভাবে বিদেশিদের ঠেকিয়ে নিজেদের  ক্ষমতার আসনকে নিরাপদ রেখেছিলো ! একই সাথে এঁরাই আবার ব্রিটিশের সাথে মিশে তৈল মর্দন করে নিতেন রায় বাহাদুর,  চৌধুরী প্রভৃতি উপাধিগুলি ! এই উপাধিগুলির নাম হওয়া উচিত ছিল কলেরা বা ওলাওঠা !

     এঁরাই তো ভারতের হিন্দু অভিভাবকগন, যাঁরা ভারতের হিন্দু জনগনের রক্ষাকর্তা!

     যাইহোক,  হিন্দুদের তৈরী কংগ্রেস পরপর এতো ক্ষমতালোভী হয়ে নিজেরা পদ নিয়ে দাঙ্গা করতে থাকলেন যে, মুসলমান গোষ্ঠীর লোকেরা নিজেদের বাঁচবার জন্য অস্তিত্ব রক্ষা করতে তৈরী করলো মুসলিম লীগ বা এইজাতীয় ইসলামিক নানা সংগঠন — পরপর সময়-ক্রমে !

     অন্যদিকে, অখণ্ড ভারত ভাগ হয়ে গেলো,  হলো ভারত ও  পাকিস্তান ! তারপর পূর্ব  পাকিস্তান হলো বাংলাদেশ !  সেসব ইতিহাস আমরা জানি!

     যেসব মুসলমান-গোষ্ঠীর লোকেরা পাকিস্তানে যায় নি,  তারা থাকলো স্বাধীনতার পর ভারতের সীমার ভিতর,  এই মাটিকে ভালোবেসে,  কারণ,  তাদের বহু পূর্বপুরুষের এই মাটি ! অন্যদিকে, সদ্য  ভারত-ভাঙা দেশ পাকিস্তান থেকে অনেকে ভারতে ঢুকে পড়লো ভৌগলিক সুবিধে ও পাশাপাশি কিছু সুবিধের জন্য — তারা হিন্দু ও মুসলমান উভয়েই !  

     তারা পেলো উদ্বাস্তুর তকমা,  পরপর তারা এইদেশে স্বাভাবিক হয়ে নাগরিকত্ব পেলেও, তাদের পূর্বপুরুষের নাম হলো উদ্বাস্তু! তারা যে যেমন সময় পারেন এসেছিল নানা সময়ে ভারতে ! এবং তাদের বর্তমান পুরুষের নাম — মানে Generation এর নাম হলো পরদেশী ! প্রাক্তন  পরদেশী বা বর্তমান পরদেশী ! 

     এদের নিয়ে খেললো এদেশের হিন্দু নেতানেত্রীরা — নানা নামের রাজনৈতিক দলের আয়ত্বে এনে,  এবং  তাদের পদ্ধতিগত নিয়মে ওই পরদেশিদের পরপর ভারতীয় নাগরিক বানিয়ে নেবার পরেও — এখন এসেছে বৈধ নাগরিকতার  প্রমাণপত্র দেখানোর চাপ !

     কত সাল থেকে পাকিস্তানি ও বাংলাদেশিরা ভারতে ঢুকলে কেন বৈধ,  কেন অবৈধ,  তার কিন্তু কোনো কারণ নেই,  যুক্তিগ্রাহ্য কারণ নেই, কেবল হিন্দু নেতানেত্রীরা নিজেদের রাজনৈতিক চালাকি দিয়ে এদেশে আসা  আগের ও পরের পাকিস্তানি ও বাংলাদেশীদেরকে পরদেশী তকমা দিয়ে নানা আঙ্গিকে পৈশাচিক অত্যাচার করতে থাকলো ! এর নাম বৈধ নাগরিকত্ব আইন !

     এর ফলে মুসলমানরা যেমন বিপন্ন হয়ে আরো বিক্ষিপ্ত হয়ে চরমপন্থা নিতে চাইলো,  তখন তাদেরকে বলা হলো জিহাদি,  উগ্রপন্থী,  আবার পুরানো ও নতুন  উদ্বাস্তু হিন্দুরাও কেউ মুসলমান হতে থাকে,  কেউ বা বিপন্ন হয়ে আত্মহত্যা করতে থাকে, কেউ বা নানা পন্থা অবলম্বন করে !

     এইভাবে এদেশের সব রঙের রাজনীতির হিন্দু নেতানেত্রীরা যেমন মুসলমানদেরকে হিন্দুদের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দিলো,  তেমনি উদ্বাস্তু হিন্দু ও এদেশী হিন্দু — এই দুপক্ষকে  লাগিয়ে দিলো দুরকম করে ! একপক্ষ হিন্দু বললো — আমরা মূল ভারতীয়,  আমরা পরদেশী হিন্দুদের তাড়াবো,  —-  এইভাবে হিন্দুদের মধ্যে তৈরী হলো বিভাজন,  আবার উভয় হিন্দুরা ভাবলো,  তাদের দাবীগুলো মুসলমানরা দখল করে রেখেছে,  তাই মুসলমান আসল শত্রু !

     এইভাবে সবাইকে সবার বিরুদ্ধে শত্রু করে নাচানো হতে থাকে,  এখনো হচ্ছে,  কারণ,  এর ফলে জনগণ এমন ঘুরপাকে থাকবে যে, দেশের আসল নাটকবাজদের তারা চিহ্নিত করেও মনযোগী হয়ে আন্দোলন করতে পারবে না !

     এই নাটকবাজরা হলো,  হিন্দু নেতানেত্রীগন ! অন্যদিকে জনগণকে আরো দুর্বল করতে করা হলো দুর্বল শিক্ষা ব্যবস্থা,  নেশা দ্রব্য ছড়ানো,  জাতপাত ও ধর্ম নিয়ে দ্বন্দ্ব,  এবং গরীবের প্রতি অবস্থাপন্নদের ইতরিয়তা !

     আপনি এমন একটি ভালো কাজের নাম বলুন,  যেটা দেশ স্বাধীন হবার পর মানুষের উন্নয়নের জন্যে হয়েছিল বা হচ্ছে ! লক্ষ্য করুন,  সরকারের সব কাজগুলি গাফিলতিতে ভরা ও প্রতি পাঁচ বছর অন্তর জনগণকে মিলিত আন্দোলন থেকে সরাতে ভোট এর জয়- পরাজয়ের নাটক যুদ্ধ ! এবং একে-একে মানুষ ঠকেই চলছে এইভাবে,  —  যার পেছনে হিন্দু নেতানেত্রীর খেলা !

     মনিপুর, কাশ্মীর ইত্যাদি নানা রাজ্যে যে রেপ,  খুন,  ইত্যাদি করে আমাদের সৈনিকেরা  — শুনি, তারা তো মুসলমান নয়,  তাহলে পশ্চিম পাকিস্তানের মুসলমান সৈনিকদের অত্যাচারী তকমা দিয়ে কেন মুসলমান গোষ্ঠীকে সামগ্রিক অত্যাচারী হিসেবে সংবাদ পরিবেশন করা হবে? 

     আমি কখনোই ভারতীয় সৈনিকদের দোষ দিচ্ছি না,  আমি বোঝাতে চাই যে,  যারা দোষ করে — তারা নিজের পরিচয়ে দোষী,  এটাই সত্য!

     সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে আমরা স্বাধীনতার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেরা যোদ্ধা নেতা বলে আদর করি! কিন্তু,  একটু ভাবলে আমরা দেখবো,  তিনি হিন্দু রাজনীতির প্রতি নীরব থেকে  গেছেন ! তিনি একবারও বলেন নি যে,  সব গন্ডগোলের আড়ালে হিন্দু  নেতানেত্রীদের কৌশল !  যদিও সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল খুব উন্নত শাসক ও সৎ মানুষ ছিলেন, কিন্তু, তাঁর উপায় ছিলোনা দেশের ভিতর থাকা আসল অপরাধীদের ধরতে! তিনি কেবল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়েছেন,  পাকিস্তানকে যারা তৈরী করলো ভারত থেকে ভেঙে — সেইসব হিন্দু নেতানেত্রীদের ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে লড়তে পারেন নি কোনোদিন! তাই তাঁর অনেক পরিশ্রম ছিল ভ্রান্ত ! কিন্তু, মানুষটি ছিলেন কর্মঠ, তাই পরিশ্রম করে গেছেন ! সবচেয়ে বড় কথা,  তাঁকে আমরা তাঁর যোগ্য কাজে লাগাতে পারিনি ! কেবল পাকিস্তানের সাথে সাজানো যুদ্ধে তাঁকে ব্যাস্ত রেখেছিলাম! তিনি এভাবেই নিষ্পেষিত হয়েছেন ভারতীয় নেতৃত্বের দ্বারা,  ভারতীয় শাসন-পদ্ধতির দ্বারা! তাঁর গোপন ক্ষোভ-ভরা মৃত্যু তাই আমাদের কাছে মর্মান্তিক! একটু ভাবলেই আমরা সেই দিশা পাবো! কিন্তু,  তাঁকে যদি তেমন কোনো দায়িত্ব দেওয়া হতো ভারতের উন্নতি করার জন্য,  তিনি কি সত্যি পেরে উঠতেন?  আমার তা মনে হয় না,  কারণ,  ভারতবর্ষের রাজনৈতিক পরিস্থিতি মুক্ত ভাবে উন্নতিকে সমর্থন করে না বলেই তো তাঁকে পাকিস্তানের দিকে মনোযোগী করে রাখা হয়েছিল! যদি কোনো কালে কেউ তেমন আসেন,  বা এসেছেন,  তাহলে তিনি বা তাঁরা ভারতকে বিকশিত করবেন মুক্ত জ্ঞানে,  ও চিন্তনের পথে ! মানুষের ভিতর তৈরী করার চেষ্টা করবেন উন্নত অভ্যেস! কারণ,  ছিন্ন বিচ্ছিন্ন কিছু আইন ও আদেশ কোনো দেশের কোনো উন্নতি করতে পারেনি ! পারেনা কখনোই! এইসব না ভাবলে আমরা সকলেই বংশধরদের বিপদের মধ্যে ঠেলে দিয়ে যাচ্ছি,  এটা যেমন সত্য,  তেমনি আমরাও বিপন্নতর অবস্থানের দিকে এগিয়ে চলেছি!

     পাকিস্তানের কোন সৈনিকেরা পূর্ব পাকিস্তানের হিন্দু নারী ও পুরুষদের অত্যাচার করেছিল,  যাঁরা দেখেছেন,  কই তাঁরা তো দেখেননি — পূর্ব পাকিস্তানের মুসলমান মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর মুসলমান পাকিস্তানি সৈনিকদের অত্যাচারের ছবি!

     অপরিণত দৃষ্টিশক্তি যদি হিন্দুত্ব হয়,  এবং এই দাবী যদি কোনো হিন্দু পরিচয়ের মানুষ করেন,  তাহলে আলাদা ব্যাপার!

     তাঁরা তো দেখেননি, ভারত স্বাধীন হবার পেছনে মুসলমান গোষ্ঠীর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মত্যাগ এর কাহিনী ! এমনকি দেশভাগের পরে পাকিস্তানি সৈনিকদের বিরুদ্ধে ভারতীয় মুসলমান সৈনিকদের আত্মত্যাগের কাহিনী — এগুলো তাঁরা জানেন না তো?

     হিন্দুত্ব নিয়ে গর্ব করা হিন্দুদের মস্তিস্কটা কি এইরকম ধরণের বিচার বুদ্ধিহীন যে,  তাঁরা মুসলমানদের মহান আত্মত্যাগ  দেখতে পান না?  হিন্দু অত্যাচারীদের অত্যাচারের ইতিহাস পড়তে পারেন না?  

     যাঁরা বলছেন,  এদেশে মুসলমানরা গোপনে দেশকে খন্ড-খন্ড করার জন্য বিদেশের সাথে হাত মিলিয়েছে, তাঁদেরকে উত্তরে বলি যে,  ভারতের শাসন ব্যবস্থা তো হিন্দু নেতানেত্রীদের হাতে,  তাহলে এদেশে যা কিছু এ-দেশ -বিরুদ্ধ ঘটনা ঘটছে বলে  অভিযোগ — সেগুলির পেছনে আছে হিন্দু নেতানেত্রীদের কৌশল, কিংবা দেশ নিয়ে অযোগ্য নেতৃত্ব — তাই এইসব হচ্ছে তাঁদের আয়ত্বের বাইরে !

     দুটোর যেকোনো ধরণের একটি হলেই তাঁরা নেতৃত্বের অযোগ্য,  এটাই যুক্তি ও সত্য ! অযোগ্য নেতৃত্বদের নিয়ে আমরা ভাবছি দেশের ও সমাজের সমস্যা সমাধানের পথ ! একবার ভাবুন তো বিষয়টা !

আমরা এখনো বুঝতে পারছিনা যে,  মুসলমানদের বিরুদ্ধে হিন্দুকে ক্ষেপানোটাই ভারতের হিন্দু নেতানেত্রীদের রাজনীতি — নানা রাজনৈতিক পোশাক পরে তারা আমাদেরকে  তাদের চালাকির মুরগী করে রেখেছে !

     কারণ,  হিন্দু নেতানেত্রীরা বুঝেছে যে হিন্দু পাবলিক মানেই গাধা ও মুরগী !  যারা এই ভাবে গাধা বা  মুরগী হতে পারবে না,  তারা হবে রাজদ্রোহী !

     আপনি কোনটা হবেন,  বোধ,  বুদ্ধি ও প্রতিবাদ শক্তিকে লুকিয়ে রেখে গাধা বা মুরগি হবেন,  নাকি বোধ বুদ্ধি প্রতিবাদ শক্তিকে প্রকাশ করে রাজদ্রোহী?

     আচ্ছা,  দেশের স্বার্থে,  বিশ্বের স্বার্থে সত্য বলাটা রাজদ্রোহীতা হবে কেন?  এটাতো বরং রাজার অসহায়তা থেকে বেরিয়ে আসার সাহায্য হিসেবে গণ্য হতে পারে! কিন্তু, এইদেশে রাজাকে মর্যাদাপূর্ণ ভাবে সাহায্যের হাত বাড়ানোটা দেশদ্রোহীতা হিসেবে গণ্য হতে পারে! হে ভারতবর্ষ, তোমার একি অবস্থা!

    অন্যদিকে মুসলমান ভাইদেরও অনেক গভীর চিন্তাশীল হতে হবে ও পরিস্থিতি অনুযায়ী ধৈর্য্য ধরতে হবে! সবাইকে হতে হবে পরস্পরের প্রতি সাবলীল!

     আর একটা কথা বলি,  দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় অনেকের অনেক রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল, নিজেদের স্বার্থও ছিল!

    কিন্তু, যাঁরা বিপ্লবী ছিলেন,  তাঁরা ছিলেন আলাদা রকমের মহৎ চরিত্রের, তাঁদের সক্রিয়তা নিয়ে বিতর্ক যাই থাক,  কেউ অহিংস, কেউ সরাসরি অস্ত্র নিয়ে লড়াই করেছেন,  কিন্তু তাঁদের আত্মত্যাগকে সবসময় মহৎ বলতে হবে,  বিবেকের বিচারে! এই নিয়ে যাতে কেউ আমায় ভুল না বোঝেন,  তাই কথাটা উল্লেখ করলাম!

     যাইহোক, এই প্রশ্নের উত্তর দিন আগে, মাননীয় মাননীয়া হিন্দু পরিচয়ের স্বেচ্ছাকৃত বোবা কালা অন্ধগণ — আপনারা কোনটা হবেন —  স্বেচ্ছাকৃত বোবা কালা অন্ধ,  নাকি হবেন রাজাকে সঠিক কাজ করতে সাহায্যের হাত? রাগ করবেন না,  এই প্রশ্ন আমার বাড়ির মানুষদের প্রতিও সত্য! ভাবুন তো,  কী অংক আছে,  বিপন্নতা থেকে বেরুবেন?  আসুন সবাই গভীর ভাবনায় ভাবতে বসি! অবশ্য দেশের রাজা বা শাসন ব্যবস্থা যদি প্রজার ভালো গুণকে গ্রহণ করার ইচ্ছে না দেখান,  সেক্ষেত্রেও প্রজাগণ অসহায়! সব দেশের ক্ষেত্রে,  সব কালে এটা সত্য!

     আমি কখনোই বলিনা যে,  গড়পড়তা সব হিন্দু পরিচয়ের মানুষ মানেই অসৎ বা গাধা ! আমি বলতে চাই, যারা ইচ্ছাকৃত বোবা কালা অন্ধ,  তারাই দুঃখজনক আচরণের  হিন্দু, তাদের জন্য ভারতবর্ষ প্রথম থেকে বিপন্ন হচ্ছে ও আমরা সকলেই — সব ধর্মের মানুষেরাই তাদের কৌশলের দ্বারা দিশাহীন ভাবে ঘুরপাক খাচ্ছি!  তাদের থেকে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছি বারবার, যারা মানুষ হিসেবে উন্নত চিন্তা করি!

     আসলে,  আমরা কারোর অপরাধ বিচার করে তাকে অপরাধী বিবেচনা করিনা,  আমরা অপরাধ বিচার করি ধর্মের পরিচয় দেখে! এই বদ অভ্যেসটাই হিন্দু পরিচয়ের জনগোষ্ঠীকে আরো-আরো দিশাহারা করছে! অন্য ধর্মের মানুষদের মধ্যেও যদি এমন ধারণা থাকে আপনার ধর্ম নিয়ে একতরফা ভাবে,  সেটাও  আশাহত করে!

     আসলে,  দেশ,  পৃথিবীর ক্রমশঃ সর্বনাশের কারণ হলো,  আমরা ভাবতে ভয় পাই,  কিন্তু জাগতে চাই,  এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা,  তাই বেঠিক ভাবে জেগে উঠি ! এটাই আমাদের দোষ ! এটাই আমাদের বিপন্ন করে আসছে বারবার ! আর এটাকে কখনো বলছি গণতন্ত্র,  কখনো বলছি আন্দোলন!  

     আসলে এসব কিছুই নয়,  বরং এগুলি হলো আমাদের চিন্তা ও সৎ সাহস সংকোচিত হতে থাকার workshop. 

     ———————————–
     ( 26 ফেব্রুয়ারী 2021,  Ridendick Mitro,  kolkata,  India  ) 

বিঃদ্রঃ : ঋদেনদিক মিত্রো (Ridendick Mitro),  পেশায় কবি-ঔপন্যাসিক-গীতিকার,  ইংরেজি ও বাংলাভাষায় পৃথক ভাবে ! একটি বিশ্বজাতীয় সংগীত ” World anthem — we are the citizen of the Earth “,  ও ” Corona anthem 2020 official  bengali song ” ( আগ্রাসনের নেশার সাথে হিংসা সীমাছাড়া ) প্রভৃতি বিশেষ ধরণের সংগীতের রচয়িতা!
            —————–
লেখক এই লেখাটি হিন্দু-মুসলমান ভাইদের ভুলবোঝাবুঝি নিরসনের জন্য লিখেছেন !  তাই এটি নিরপেক্ষ ভাবে এখানে প্রকাশিত হলো!
Author has written this research writing to develop understanding  between Hindu and Muslim brothers. So, It has been published here for self-realization. 
     
   —Editor : kabyapot. Com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *