মুখে মাখার ক্রিম সম্পর্কে আলোচনা !
(দ্বিতীয় পর্ব)
~ রাজা দেবরায়
মুখে মাখার ক্রিমগুলো বিশেষত ক্লিনজিং ক্রিমগুলো মুখের ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে মূলত মিনারেল তেলটির উপস্থিতির জন্য । কিন্তু এর বেশি ব্যবহার মুখের চামড়ায় থাকা চর্বি গলিয়ে দেয় । তাই সাবধানতা অবশ্যই প্রয়োজন । অনেকেই ক্রিম দিয়ে মুখটি পরিষ্কার করার পর দ্বিতীয়বার এটি ব্যবহার করে যাতে মুখের তৈলাক্ত ভাবটি বজায় থাকে । কিন্তু শরীরের চর্বি, যা কিছুটা নষ্ট হয়ে যায় এই ধরনের ক্রিম ব্যবহারের ফলে, তা কিন্তু এভাবে ফেরানো যায় না । কারণ এই ক্রিমগুলোতে ব্যবহৃত তেল মানুষের শরীরের চর্বি থেকে গুণগতভাবে আলাদা । তাছাড়া এই ক্রিমগুলোর আরো একটা অসুবিধা হলো যে, মুখের তেলতেলে ভাবটা কখনোই পুরোপুরি মুছে ফেলা যায় না । অথচ খুব সহজেই মুখের ময়লা মুছে ফেলা যায় কোন সাবান ব্যবহার করে । এতে খরচ অনেক কম হয় । অবশ্য অনেকের ক্ষেত্রে মুখের চামড়ায় খসখসে ভাব আসে । সেক্ষেত্রে মুখ ভালো করে সাবান দিয়ে ধোয়ার পর যেকোন ভেষজ তেল ব্যবহার করা যেতে পারে এবং সেটাই হবে শরীরের পক্ষে অনেক স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া ।
অবশ্য ক্রিম ব্যবহারের অন্য যে কারণগুলো রয়েছে তা হলো – বাইরের ধুলোময়লা, রোদ বা শুষ্কতার হাত থেকে বাঁচানো । এটা ঠিকই, এতে ব্যবহৃত তেল বা চর্বি মুখের ওপর একটি আবরণ গড়ে তোলে এবং চামড়ার থেকে জলীয় বাষ্প দূরীকরণে বাধা দেয় । ফলে বিশেষত শীতকালে চামড়া ফাটা বন্ধ হয় । রোদের খুব প্রকোপকে কিছুটা আড়াল দিয়ে রাখে এই আবরণ । কিন্তু অধিকাংশ ক্রিমের তৈলাক্ত ভাব কার্যত ধুলোময়লাকে আটকে রাখতেই সাহায্য করে বিশেষত ধুলোবালি অধ্যুষিত শহরাঞ্চলে । এখানে আর একটা কথা বলে নিই, কোল্ড ক্রিমগুলোরও তেমন কোন বিশেষত্ব নেই (অনেকে দাবি করেন যে, এতে ল্যানোলিন ব্যবহৃত হচ্ছে যা শরীরের নিজস্ব চর্বির কাছাকাছি) । আর ভ্যানিশিং ক্রিমগুলো সম্পর্কেও একটা কথা বলার আছে – এগুলো বেশি ব্যবহার করলে চামড়ায় জ্বালা জ্বালা ভাব অনুভূত হতে পারে কারণ এগুলো আবার চামড়া থেকে জলীয় পদার্থ শোষণ করে ।
ভ্যানিশিং ক্রিম মেকআপ আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত হলেও বাইরের দেশে মেকআপের জন্য অন্য অনেক কিছু (যেখানে ভ্যানিশিং ক্রিম মেখে মুখে একটি আবরণী ফেলে মেকআপ করার দরকার হয় না) মার্কেটে চলে এসছে যা সরাসরি মুখে লাগানো যায় ।
(চলবে)