ফেসবুকীয় ফেস্টুন
(গদ্য কবিতা)
***************************
ব্যক্তিগত প্রকাশ পেলো…
“আমি সুরঞ্জনাকে ব্লক করলাম ;”ছড়ালো কৌতূহল….
কেউ বললো কীট, কেউ কার্য কারণ নিরিক্ষণ,
কা কা রব ওঠে , জটলা জমেছে বেশ…
কতটা টানলে নিচে নামানো যায়… কতটা খাদে ফেলা যায় তার ই কাটা খাল |
কাদা ছেটানো ব্লক বাটনের অস্তিত্ব… সামাজিক জিহ্বায় শাশ্বত আয়োজন ফাঁসি, চিতা সাজানো শ্মশান|
যে চোখে মোহ ছিল এক সময়ে সে যে বড়ো অসুস্থ ;
তাই দশ ভাতারী শিলমোহরে রাখা… গভীর গর্ত |
অসম্মানে কয়েকটা ঘুমের ওষুধ খেলো সেদিন;
না মৃত্যু হয়নি, স্বামী বড়ো ডাক্তার নিয়ে এসে বাঁচিয়ে ফেললো তাকে
সুরঞ্জনা গুমরে ওঠে, বুকের পাঁজরে দিনগত পাপক্ষয়ের
আই সি ইউ র আলো দেখে;
সবুজ আলো কবে হবে লাল… চাই মুক্তি |
সুস্থ থাকো বিচার সভা, মোড়ল, ফেসবুকীয় আদালত!
মৃত্যু দেখেছে সমাজ ; তথ্য প্রযুক্তির বিষ ছড়িয়েছে কুমন্তব্যে, কর্কট রোগে,
হিড় হিড় করে টেনে এনে পথে ঘাটে বিশ্লেষণে
ফেলে ধস্তাধস্তি… পরের ঘরে উঁকি,
বিপরীত ধর্মী হলেই বিচারবিভাগীয় বিশেষণ ;
মন খোলা ব্যারিস্টার! আইন ফেসবুকীয়
কখনো নোংরা মহিলা আখ্যায়িত, জানে জনগণ |
প্লাস্টিক দূষণ —সুস্থ হও পৃথিবী |
আমরা নাই বা হলাম সামাজিক আদালত,
নাই বা দিলাম ফেসবুকে ফেস্টুন
ব্যক্তিগত থাক ব্যক্তির অন্তর্গত, নয় খোলা প্রীতিভোজন |
সোশ্যাল মিডিয়া নাই বা হলো প্লাটফর্ম!