☆ ☆ ☆ ~ ধোঁয়াশার ঘেরাটোপে ~ ☆ ☆ ☆
(✍️ রুদ্র প্রসাদ।)
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
সমাধান দূরে যায় সখেদ বেগের বায়
তারপরে বাকি থাকে যদি,
খুঁজে সবুজের গায় তবু বনানী হারায়
ঘাটের সামনে ছোটে নদী।
ঘুণে ধরা বাতাসায় পাথরে গর্ত হায়
চামচিকে হাসে নিরবধি,
ঢিল ছুঁড়ে কিনারায় শর্ত মনে করায়
খবর তো রাখেনি জলধি।
মেঘহীন জোছনার কিরণের যোজনার
এমন ভোলানো কথা যত,
কিসে যেন দরকার বিবর্ণে ভব পার
মাপে কেন প্রাপ্তিতে কত!
পা ঘষা বিবেচনার অথবা আলোচনার
পথে হয়ে আছে বহু ক্ষত,
ইতিহাসে বশ কার কিছুতেই নেই সার
আসে যায় করে মাথা নত।
আয়নায় ছায়া দেখে শূন্যে দৃষ্টি রেখে
আধখানা অবয়ব হাসে,
অযথা নকল চেখে বন্ধকী সুদ মেখে
মিঠেকড়া বিনিময় ভাসে।
নিথরতা কয় হেঁকে কর্মে কর্তা বেঁকে
অনাদর সুরে কানে আসে,
উল্টে পাল্টে ডেকে ব্যস্ততা কিছু শেখে
দীঘে-আড়ে আঁকা বড় আশে।
বিজন পাহাড়তলি করে নাকি গলাগলি
প্রশ্নে জবাবেরা রুষ্ট,
অন্ধে চড়ায় বলী ব্যর্থতা কানাগলি
দেবতা কিসে হবে তুষ্ট?
খাতের সবল পলি শুধায় গল্প হ’লি
যা একা জোয়ারেই পুষ্ট,
এই হয় ঘোর কলি বাকিটা অল্প বলি
না ভেজালে গা হবে দুষ্ট।
বিবশ আঁতুড়ঘরে গন্ধে সূত্র ধরে
সলতে পাকানো বাতি ভালো,
যাপিত আপন-পরে ধূমায়িত পরিসরে
মেজাজী বচন শুধু আলো।
মনের দরিয়া ঝরে সকলের অগোচরে
অনুভূতি জাগরণে কালো,
উপায় আপসে মরে খোলামেলা চরাচরে
বলে একবার দীপ জ্বালো।
ছাড়িয়ে ছড়িয়ে সব মুখরিত কলরব
নবজাতকে বারুদ রেশ,
টিয়া ঝাঁকে উদ্ভব সুখকর পরাভব
অস্থিরতার মোহে দেশ।
রূপে অদ্ভূত শব কিভাবে এত নীরব
আশ্চর্যে মুড়েছে বেশ,
খিদের জ্বালা সরব মিলে ধান আর যব
জোড়াতালি দিয়ে লেখা দ্বেষ!
শিখরের আরোহণে সমাধির নিরসনে
আকাশের বুকে দাগে তোপ,
কবেকার নিরূপণে ব্যথাতুর নিরূদনে
শান্ত উঠোনে রাঙা ছোপ!
অমোঘ মোচন পণে বিরহী অবগাহনে
আবাসিক ঘাড়ে পড়ে কোপ,
জীবনের আবাহনে বিরচিত আরোপণে
বাধা ধোঁয়াশার ঘেরাটোপ।।
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°