Spread the love

দোল‌ পূর্ণিমা : বসন্তোৎসব
শ্রী বিশ্বনাথ সাহা

শ্রী কৃষ্ণ রাধা সহ সখীগণে বৃন্দাবনে
আবির দিয়ে রাঙিয়ে দিল জনে জনে।
দোল উৎসবের সূচনা তাই রাধাকৃষ্ণের বন্দনা।
প্রেমডোরে সবাই কে বেঁধে খুশী থাকার প্রার্থনা।

রাধাকৃষ্ণের বিগ্ৰহ হয় আবিরে স্নান
দোলা চড়িয়ে শোভাযাত্রা সঙ্গে সংকীর্তন।
নারী পুরুষ নির্বিশেষে সব ঈশ্বরের সন্তান
আবির ও রং খেলে খুশীর ফোয়ারায় দিন কাটান।

বালক প্রহ্লাদ আশৈশব করে হরি গুণগান
সুকঠিন জীবনের পরীক্ষায় বিষ্ণুভক্ত প্রাণ রক্ষা পান।
ব্রহ্মাদেবের বরে পিতৃস্বসা অগ্নি থেকে ও রক্ষাকবচ পান।

কার ও ক্ষতি না করে আত্মরক্ষা শর্ত ব্রহ্মার বরদান।
বালক বিনাশে রক্ষাকবচ চাদর গায়ে
হোলিকা তারে নিজ অঙ্কে বসান।
বিষ্ণুভক্ত প্রহ্লাদে ঘিরে দিল পিতৃস্বসার
চাদর ব্রহ্মার বরদান।
জ্বলন্ত অগ্নিতে ও বালকের বেঁচে গেল প্রাণ।

ক্ষতি করার মানসে অগ্নিতে হোলিকার হল প্রাণ অবসান।
দোলের আগের দিন কাঠ,বাঁশ সহ জ্বালানি যোগে তাই আগুন জ্বালিয়ে হোলিকা দহন বেশ,
পুড়িয়ে দাও আবর্জনা তার‌ সাথে হিংসা, দ্বেষ‌ করে দাও শেষ।

নির্মল হোক অন্তর সবাকার তরে,‌ অশুভের বিনাশ, শুভের শুরু প্রতি মনে, প্রতি ঘরে।
ফাল্গুনী পূর্ণিমাতে গৌর এল ধরাধামে
খ্যাত তাই দিন টি ও গৌর পূর্ণিমা নামে।

শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মদিন পালনের রীতি,
প্রতি বসন্তে ফাল্গুন মাসের এই পূর্ণিমা তিথি।
শ্রী কৃষ্ণ, শ্রী রাধা, শ্রী চৈতন্য প্রেমডোরে
বেঁধেছেন মানবজীবন ।
আগে হোলিকা দহনের মাধ্যমে অশুভের বিনাশ, বিনাশ ক্ষতি-সাধন।

শুভ শক্তির ও প্রেমের প্রকাশ দোল
পূর্ণিমায় ।
মানব মন রাঙিয়ে আবিরে,প্রেমে আর ভালবাসায়।
শীতের খোলস ছেড়ে, ঋতুরাজ বসন্ত বাহিরায় ;
জেগে ওঠে কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া,
দখিনা হাওয়ায়,
ওঠে জেগে নাগলিঙ্গম, শিমূল, অশোক ও পলাশ রঙের নেশায়।
প্রকৃতির সবদিকে কিশলয় সুশোভিত
রঙিন আভায়।

©️

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Contact for Advertisers, Readers and Writers : email: info@kabyapot.com Whatsapp: 8240042145