Spread the love

দেবীমায়ের হাত

অনোজ ব্যানার্জী

লাভপুর,বীরভূম। ভারত।

*********************

“টাঙিটা দেখেছিস,, ভয়ংকর ডাকাত সুখদেব গোঁসাইয়ের । টাঙিটা বাবা ডাকাতের হাত থেকে কেড়েছিল। “‘দুকুটি গ্রামের রাতে ভলান্টিয়ার দিতে জড়ো হওয়া ছেলেদের বললো সুরো পাল। বয়ষ্ক ভদ্রলোক শ্রীমন্ত বললো,,””আমাদের বাড়ীতেও একটা তরোয়াল আছে। এসবই একাইচণ্ডীর মাহাত্ম্য। ডাকাতেরা পাশের গ্রাম চুয়াডাঙাতে বেচারামের বাড়ীতে ডাকাতি করতে বাড়ীতে ঢুকলে গ্রামের লোকের তাড়া খেয়ে বিস্তীর্ণ মাঠের মাঝখানে একাইচণ্ডী মন্দিরের সামনের নালাটা পার হতে গিয়ে আটজন ডাকাত ওই নালার মধ্যেই অন্ধ হয়ে, হুমড়ি খেয়ে পড়ে যায়। দেবীমায়ের কৃপায় ডাকাতগুলো ধরা পড়ে।রাত দ্বিপ্রহরে। সকালে পুলিশ ডাকাতগুলোকে গ্রেপ্তার করে। খুবই জাগ্রতা মা। অনেকেরই মনোষ্কামনা পূর্ণ হয়। । দূরদূরান্ত থেকে অর্শরোগের জন্য আসে। চুয়াডাঙ্গা গ্রামের এক দর্জি ভদ্রলোক লাল ধুতিচাদর পরে প্রতিদিন সকালে মন্দিরে চণ্ডীপাঠ করতো। মন্দিরের পুরোহিত নিষেধ করেছিল “”তুমি জাতিতে সদগোপ,, মন্দিরে বসে চণ্ডীপাঠ করোনা। “” সে শোনেনি। তারপর শোনা গেল একদিন চণ্ডীপাঠ শুরু করার আগেই,,,কয়েকটি গোখরো সাপ তাকে তাড়া করেছিল,,, তারপর সে আর এমুখো হয়নি। চণ্ডীপাঠও দিয়েছিল ছেড়ে।। *

*******
কবি অনোজ ব্যানার্জী: কবি পরিচিতি

কবি অনোজ ব্যানার্জী ১৯৫৭ খ্রীষ্টাব্দের ৩ রা জুলাই ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলার একুট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম স্বর্গীয় নিতাই পদ ব্যানার্জী।
মাতার নাম স্বর্গীয়া রাধারানী দেবী
বর্তমানে বীরভূম জেলার লাভপুরের স্থায়ী বাসিন্দা। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক হন। কলকাতা মনোপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও কাউন্সিল থেকে এল. এম.এম. করেছেন। দীর্ঘদিন জনগনের চিকিৎসা সেবায় রত ছিলেন। স্কুলজীবন থেকেই কবিতা লেখা শুরু করেন। প্রথম প্রকাশিত যৌথ কাব্যগ্রন্থ,””, নবীন ফুলের সাজি”‘
কলকাতার অনেক নামী পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে প্রাঙ্গণ সাহিত্য পত্রিকা,আলাপী মন,,পারিজাত,,আনন্দধারা,, কল্পসাগর,,পৌষালী প্রকাশনী,, অন্য মধুকর,,বিভিন্ন পত্রিকায় লিখছেন। ডেইলিহান্ট,,সবখবর,,অধিকার নিউজ,,অনলাইন ম্যাগে কবিতা বেরিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *