*_ছন্দ – মাত্রাবৃত্ত, মাত্রা বিন্যাস – ৬+৬+৬+৪_*
☆ ☆ ☆ ~ দিনলিপি ~ ☆ ☆ ☆
(✍️ রুদ্র প্রসাদ।)
—=—=—=—=—=—=—=—=—=—
বাতিলের দলে লিখিয়েছে নাম
আবার যখন অগোচরে,
স্বপন বিলাস চলে অবিরাম
শীতলতা মাখা চরাচরে।
পৃথিবী পাখির চোখ চেয়ে বসে
থাকে সাজানোর ক্ষমা মাঝে,
ধানুকীর তীরে পড়ে তারাখসে
অধরা মাধুরী নৈশ লাজে।
কোমলে কঠিন ক্ষীণ ধরাতলে
অবলার বোলে কথকতা,
বাসনা অধীর তলের অতলে
রোজনামচায় অবধ্যতা।
ধরণে ধারক অসিত বরণে
কাজের বেলায় দ্বিচারিতা,
প্রয়াসী প্রকাশ মোহিতকরণে
আশেপাশে চায় সু-চরিতা।
নিরন্ত-নতি স্বীকৃত সুভাষী
তৃষিত কৃশানু অভিজন,
যোগে বিয়োগের মূল পরবাসী
হীনমন্যতায় অনুক্ষণ।
নিদানের দাগে নিদাঘ প্রেরিত
কালো-সাদা-লালে প্রার্থনা,
গুনে কর শেষে আবেগমথিত
সর্বহারারা ব্যর্থ না।
আলসেমি ভরা শরীর বিষণ
আর পারে বসে আঁকে ছবি,
কতিপয় ঋণে অমিয় ভীষণ
আঁকিবুকি কেটে রাখে কবি।
রাখালের করা বলাকার খোঁজ
পাগল বাঁশির সুরে ফাঁকি,
মিল-গরমিলে মাতা ভুরিভোজ
পড়ে কত যেন আছে বাকি।
হারিয়ে বিধেয় জরুরি যাওয়া
দিতে হবে পাড়ি বহু পথ,
থামার আগেই থমকে পাওয়া
হাতছানি দেয় জয়দ্রথ।
তবে কেন মিছে অনাহত জাগে
অচিনপুরের পরিসরে?
নিত্যদিন গড়ে বেখেয়ালী রাগে
সঞ্চয়ী সুখ অবসরে!
অসম্ভাবেরা মৌনে সম্ভব
একাধারে দশ নিরাকার,
সকল সমেত গৌণ তদ্ভব
প্রাপ্ত শূন্যতা একাকার।
দৃষ্টিগোচর যা কিছু সৃষ্ট
দোহাই কপালে মন্ত্রণা,
কপোতে কপিল নয় অদৃষ্ট
সাবেক সবার যন্ত্রণা।
ফিরে আসে ফের নূতন সূচনা
নিশিযাপনের সমাপনে,
উথালপাথাল সূচকে দ্যোতনা
অনাগ্রহী গত দরশনে।
গতিপথ সেই রয় দিশাহীন
পৃষ্ঠা হারায় পঞ্জিকা,
উদাসী উদক আপনে বিলীন
পুড়ে শেষ হয় গঞ্জিকা!
হাতড়ানো শুধু তিক্ততা স্মৃতি
হরষে বিষাদে অনাদৃত,
মরে বাঁচা যেন সনাতন রীতি
রিক্ত প্রহর সমাদৃত।
রোমাঞ্চ যতি সে রোমন্থনে
শুকনো হাতের বাঁকা রেখা,
পাতার পরতে অবাধ্য রোদনে
দিনলিপি রয় পড়ে একা।।
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°