কবিতা : চাঁদের গায়ে কলঙ্ক
কলমে : কবি পল্লবী দাস
বাস্তব জীবন খুব কঠিন………
যতটুকু সুখী তুমি,
তার চেয়ে বেশি দুঃখী।
চাঁদের গায়ে কলঙ্ক,
কথাটি মনে করো।
নিজের জীবনে চাঁদের কলঙ্ক…..
মিল তুমি পাবে।।
সুন্দরের গায়ে কলঙ্ক নাকি,
সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে।
আরে, এ তো ওই……………
আকাশের চাঁদের ক্ষেত্রেই হয়।
মানব সমাজের কলঙ্ক,
কলঙ্কিত করে তোলে।।
যেমন, কথাই আছে……..
কলঙ্কিনী রাধা।।
বিশ্ব সংসারে, কলঙ্কিনী কথাটি –
নারী জাতির ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত।।
যত কলঙ্কের বোঝা……….
নারী জাতির প্রাপ্য।।
কিন্তুু, কন্যা তুমি কেঁদো না,
কলঙ্কিনী রাধার মতো।।
ওই দেখো………….
উজ্জ্বল চাঁদের গায়ের কলঙ্ক।।
দেখো, চাঁদ কলঙ্কিত হয়েও…..
সৌন্দর্য্যে পরিপূর্ণ।।
পূর্ণিমার চাঁদ, সে তো সুন্দরী।
আবার, অর্ধচন্দ্রাকৃতি চন্দ্র………
সে ও তো অপরূপ সুন্দরী।।
তবে, তুমি কেন কলঙ্কিনী কন্যা ?
তুমি ,কোন দোষে দোষী কন্যা ?
দোষী,অপরাধী নও তুমি।।
তাবে,বিনাদোষে কলঙ্কিনীর বোঝা
নেবে না তুমি, মাথায় তুলে।।
সমাজ অনেক ক্ষেত্রে যা বলে,
তা অনেক সময় ভুল থাকে।।
তাহলে, কন্যা মাথা তুলে দাঁড়াও।।
এগিয়ে যাও, সমাজ পথে।
আর, বার বার স্মরণ করো……
চাঁদের গায়ে কলঙ্ক থাকা সত্বেও..
চাঁদ নয় কো কলঙ্কিত।।
তেমন, আমার গায়েও………
কলঙ্কের মিথ্যে বোঝা উঠলেও….
হবো না আমি, কলঙ্কিনী কন্যা।।
_*_
নিষ্কলঙ্ক থাকাই উত্তম।