শব্দ ছড়াক কোলাহলে
গৌতম বাড়ই
সমুদ্রজলের ওপর দাঁড়িয়ে আঁধার ছুঁয়েছে ভূমি।
যেটুকু যৌবনসুধা ছিল,
চামচে চামচে মেপে তুলে নিয়েছ তুমি।
হারিয়ে যায়নি কেউ এ পৃথিবী থেকে
পৃথিবীও হারায়নি এখনও যে কাউকে
ভরের নিত্যতা সূত্র তবে বজায় রাখবে কে?
এক গোধূলি স্বপ্নসুধা গো ল্যাজেই অপেক্ষমান।
কিশোর তোমার জাম্বুরা দিন,
কাঁঠাল বিচির পাঁচ তরকারি স্বাদু মুখে খিলিপান।
যেমন করে অস্ত আসে মস্ত সেই বিকেলবেলায়
যেমন করে হাঁটু মুড়ে সুবর্ণা দি চলেই যায়
তবুও তো গভীরভাবে আজন্ম থেকেই যায়।
আমাদের অহর্নিশি জ্বলন পুড়ন মরণ আসে।
আমাদের আভিজাত্য ঘরেতে নয় ফুটপাতে,
শব্দ খুঁজে প্রাণ, অভাবজাত কাব্য আসে।
বৈঠকীতে তাকিয়া ঠেকিয়া কাব্যমঙ্গল রসাতল
রসের বিষেই বিষাক্ত ডুবেই দেখি হলাহল
শব্দগুলো ফুলকি ছড়াক অনেক হোক কোলাহল।
*******************
জীবন যায় জীবন আসে
গৌতম বাড়ই
সময় আর দুঃসময়ের মাঝে একটুক্ষণ
দুটি শব্দ লক ডাউন
হাত ও বেহাতের এই বদলের স্যানিটাইজার
হাত খুলে দেখ এবার
ঘর আর বাইরের সিংহদুয়ার তালা
অসামাজিক জীবনধারা
মৃত্যু এখন প্যাকেট মোড়া
জীবন কাটে সংশয়ে
হাসপাতালের পাতালঘরে
তবুও জীবন যায় জীবন আসে
” শব্দ ছড়াক কোলাহলে ” ও ” জীবন যায় জীবন আসে ” — কবিতা দুটিতে কবি গৌতম বাড়ই দুরকম করে কবিতার ভাষা প্রয়োগ করেছেন, বোঝা যায় তিনি শব্দ নিয়ে বা টেকনিক নিয়ে এক ঘেঁয়েমি পছন্দ করেন না ! কোনো -কোনো জায়গায় আরো একটু গভীর মেজাজের চিত্রকল্প দিলে ভালো হতো ! কারণ এটা সেই বৈশিষ্টের দুটি কবিতা !
অনেক কবিতা চিত্রকল্প ছাড়া হয়, সেগুলিতে টেস্ট ও নির্মাণের সিস্টেম আলাদা !
তবে, কবির হাতে স্বাধীনতা আছে !
ঋদেনদিক মিত্রো
পেশা : ইংরেজি ও বাংলা ভাষার কবি -ঔপন্যাসিক -গীতিকার ! কলকাতা !
ধন্যবাদ ও নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো। খুব-খুব ভালো থাকুন।