খামবন্দি বিবেক
————-
সমীর জোয়ারদার (কলকাতা)
চারিদিকে শুধুই শিক্ষা, ক্ষমতা আর —
বিজ্ঞানের জয়জয়কার,
মানুষের মধ্যে আজ তাই শুধুই—
হিংসা, দ্বেষ-বিদ্বেষ আর মিথ্যা অহংকার।
গুরু গৃহের শিক্ষাকে সমূলে উৎখাত করে
চারিদিকে রমরমা ব্যবসা কনভেন্ট শিক্ষার,
ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দেখতে ভারতীয় রইলেও —
আচার ব্যবহারে তাদের শুধুই ব্যভিচার।
কনভেন্ট শিক্ষার প্রভাবেই
বিদ্যার মানদন্ড হোলো ডিগ্রির খামে বন্দি,
ভারতীয় সংস্কৃতি, জ্ঞান হারাচ্ছে অস্তিত্ব,
এসবই যে বিদেশিদের চক্রান্ত আর ফন্দি।
মানবিকতা হোলো় মানুষের মূল্যবোধ
আর মানুষের বিচার বুদ্ধি।
সেখানে চাকচিক্যের মোড়কে মোড়া
মেকি ভাব-ভালোবাসা যেন মুখসুদ্ধি।
বর্তমানে মনুষত্ব, মূল্যবোধে মিলছে
অমৃত নয়, গরল।
ক্ষুদিরাম, বিনয়-বাদল-দিনেশের দেশে
আজ তাই প্রতিবাদিরাই বিরল কিংবা খল।
ভারতীয় সভ্যতায় ঢুকেছে পশ্চিমীর বেনোজল,
মানবতা ও বিবেক উঠেছে কাঠগোড়ায়,
আজ দু-একজন প্রতিবাদের দন্ড ধরে দাঁড়ায় —
হয় স্বার্থের তাগিদে, নইলে বিবেকের তাড়নায়।
কোথায় দাঁড়াই!
—————————–
সমীর জোয়ারদার [ Journalist, poet & Researcher in Ayurveda, Dr. Samir Joddar, MD, Panchgavya (AM), Panchgavya Ayurvedic, Kolkata, West Bengal, India. Reg : RAMP ( AM ) /0106/15-10-2018 ] সোনারপুর, কলকাতা, ভারত, জীবন শুরু সাংবাদিকতা দিয়ে এবং প্রতিষ্ঠাও সাংবাদিক হিসেবে। “অরন্যদূত”, “বঙ্গদদর্পন” সংবাদপত্রে কাজ শুরু করে পরে আরো নানা সংবাদপত্রে কাজ শুরু করতে-করতে হলেন শিলিগুড়ি থেকে প্রকাশিত “উত্তরবঙ্গ সংবাদ” সংবাদপত্রে চাকরি করেন। তারপর আসেন “দৈনিক স্টেটসম্যান” বাংলা সংবাদপত্রে। কাজ করেছেন “বর্তমান” ও একদিন” সংবাদপত্রেও। স্বনামে লেখা ছাড়াও তিনি “রুদ্র গুপ্ত” ছদ্মনামে লিখেছেন, জানা গেলো। তবে, এসব ক্ষেত্রে দপ্তরের সাথে কথা বলে একটি সংবাদপত্রে Staff-reporter থেকে অন্যগুলোতে free lance কাজ করেছেন দায়িত্বের সাথে। তারপর অনুভব করেন, দেশে সঠিক চিকিৎসার অভাব অনুভব করেন। নিজের ভিতর থেকে জেগে ওঠেন এবং সংবাদ দপ্তরের সাথে আলোচনা করে পাশাপাশি আয়ুর্বেদ নিয়ে পড়াশুনা করতে থাকেন ও registered ডাক্তার হিসেবে জায়গা সামাজিক মর্যাদা লাভ করেন, এবং রুগী দেখা, অসুধ তৈরির পাশাপাশি এই বিদ্যা নিয়ে গবেষনা করতে থাকেন। তারপর, এইভাবে জীবন চলতে থাকে। তাঁর সেবাকেন্দ্রর নাম — সৃষ্টি পঞ্চগব্য (আয়ুর্বেদিক) চিকিৎসা কেন্দ্র”। এই চিকিৎসায় MD ( AM). এখন কবিতার জগতে মন দিয়ে প্রবেশ করেছেন বলে জানিয়েছেন। একটু দেরি করে হলেও কবিতার বই বেরুবে।
—————————