Spread the love

                 

                                                


                                                      লেডিস

                                                                  অর্ঘ্য সেন 

                                                                       

ছেলেটি নরম ছিল। শান্ত ছিল। খুব ঠান্ডা ছিল।ছোটবেলায় ওর মা ওর কোমরে দড়ি বেঁধেএকগোছা সুতো সামনে দিয়ে ,টানা চারঘন্টায় বাড়িরসমস্ত কাজ শেষ করে যখন ওর পাশে এসে বসত,তখনও   দেখতো হাঁ করে সুতো দেখে দেখে মুখথেকে লাল গড়িয়ে পরছে। প্রকৃতির স্বাভাবিকনিয়মেসর্বান্তকরণে  ছেলের শক্তি সংবলিত আরচারটে ছোট ছোট ছেলেদের মতো দুরন্ত অথবা দস্যিকিংবা দুষ্টু হয়ে ওঠার কোন সম্ভাবনা ছিল না। ছোটবেলায় কোন জিনিস কখনো কোনদিন ভাঙে নি।মাবাবা খেতে না দিলেকখন অভিযোগ করে বলতোনা যে আমার খিদে পেয়েছে।সে ট্রেনের ছবি আঁকতেভালোবাসতো।কারন ট্রেন তার কাছে প্রথম থেকেইএক আপামর বিষ্ময় ছিল।রেলগেটে বাবার সাথেবায়না করে সে ট্রেন দেখতে যেত।হু হু করে ট্রেনযখন চলে যেত,সে নীচু হয়ে হয়ে ট্রেনের চাকা,কলকব্জা,জানলা,কামড়ার জোড়া গুলো দেখে নিত।আর যেটা খুব ভালো লাগতো ,সেটা হল ট্রেনেরমাথার উপরে তিনটে বাঁকানো লোহার দন্ড যা প্রথম,মাঝের  শেষ নবম কামড়ার মাথায় থাকতো,উপরের মোটা তারকে ছুঁয়ে একটানে চলে যেত।ওরমনে হতো ওটাই ট্রেনের বাড়িয়ে দেওয়া অপার্থিবসৌন্দর্য।বাড়ি ফেরার পথে বাম  হাতটাকে কনুইয়েরকাছে ভেঙে মাথার উপর তুলে কু ঝিক ঝিক শব্দকরে বাড়ির কাঁঠাল গাছের গোড়ায় মনগড়া  নম্বরপ্লাটফর্মে এসে দাঁড়াত। তখন পাড়াগাঁয়ের ছেলেরাবিকেল চারটে বাজলেই হো হো করে খেলতে বেরিয়েযেতো। লুকোচুরি,কুমিরডাঙাছোঁয়াছুইক্রিকেটছেলে মেয়ে নির্বিশেষে সবাই খেলতো। কিন্তু কেন যেওকে খেলাতে নিত না। মাঠের কোনটিতে চুপটি করেদাঁড়িয়ে থাকলেও কেউ বলতো না ,আয় না,আমাদের সাথে খেল। কখন দয়া করে খেলায়নিলেও চোর সাজা,কুমির সাজার মতো যন্ত্রনাবহুলখাটুনি গুলোই তাকে দিয়ে নানা অছিলায় বার বারকরানো হত।এই নিয়ে ছেলেটির মা কত বারবাচ্চাগুলোকে বলেছেওদের মা এর সাথে ঝগড়াহয়ে গেছেকিন্তু তবুও নেয় নি।এক একদিন তোরাগের চোটে মা এর হাতে ছেলেটাই উদ্যোম মধ্যমমার খেত।আসলে মা এর খুব কষ্ট হত এই ভেবেআমার বোকাসোকা শান্ত ছেলেটাকে কেউ একটুখেলায় নেয় না,জলেভরা চোখদুটো দেখলেই মা এরকষ্ট হত।আসলে পাড়ার বাচ্চাদের কোন দোষ ছিলনা।হয়তো ওরা বাড়িতে যা শুনতো তাই থেকেইওদের মনে একটা বিরূপ মানসিকতা কাজ করত।ওরা গরীব ছিল,ওরা ভাড়া থাকতো বলে ওদেরকেতথাকথিত উপরের গোত্রের মানুষরা এক কাঠি নীচুনজরেই দেখতো। শান্ত স্বভাবের সেই ছেলেটি দুলেদুলে সুর করে করে বাংলা পড়তোইতিহাস বইটাঠোঁটের আগায় থাকতো।তবে বড়ো বড়ো প্রশ্নেরঅঙ্ক,ঘন্টা মিনিটের অঙ্ক খুব ভুল হয়ে যেত।অশিক্ষিত মা লোকজনের কাছ থেকে নিজে অঙ্কশিখে ছেলেকে  শিখিয়ে দিত।তাতে করেও ছেলেটি ক্লাসে খুব ভালো নম্বর পেত।খাতা বেরোলে সবাইওর নম্বর জানার জন্য উদগ্ৰীব হয়ে থাকতো।আরবাড়িওয়ালা দাদুর বউ এইটুকুন শুক্তছোট্ট বাটিতেভরে মাংসকোনদিন বা ঈচড়ের তরকারি পাঠিয়েদিত।আর পরম মমতায় তিনজনে ভাগ করেই ওরাতৃপ্তি করে খেত।

ছেলেটি নরম তো সেই নরমই থেকে গেল।হাই স্কুলেঠোঁট কাটা,নাক কাঁটাচোখের কোটরে থেকে ঠেলেমনি বেরিয়ে আসা  একটি ছেলেকে সবাইটিয়াপাখিটিয়াপাখি‘ বলে খেঁপাতো।ওর খুব কষ্টহত।ও ছেলেটার পাশে রোজ বসতওর সাথে কথাবলত আর ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিত।বড় বড়ক্লাসের দাদারা,বন্ধুরা সবাই খেঁপাতো। সাথে সাথেওকেও বলত ,’এই ল্যাডিস,ল্যাডিস!’

যখন ক্লাস সেভেনেতখন কন্ঠস্বরের পরিবর্তন হল।নিয়মমাফিক শরীরে একটা পরিবর্তন এল।ওই সময়েবাড়ি থেকে স্কুলে আসার জন্য একটা সাইকেলেরব্যবস্থা করা হল। সাইকেল কিনে দেবার মতো সামর্থ্যছেলেটির বাবার তখন কোনমতেই ছিল না।আসানসোল থেকে  ছেলেটির দাদু ,একটা বহুপুরোনো শক্ত সমর্থ BSA সাদা নীল রঙের ল্যাডিবার্ডসাইকেল পাঠিয়ে দিল।২০ বছরের উপর সেসাইকেলের বয়স ছিল। ছেলেটির মা,মাসিরা সেইসাইকেল চালিয়ে আসানসোলের  স্কুলে ,কলেজেপড়তে যেত।তাই সেই সাইকেলটা একটা দুরন্ত,মনের ভালোবাসা মেশানো আবেগের উৎস ছিল।সেইসাইকেল যখন ছেলেটির বাড়িতে এসে পৌঁছাল ,তারমা তো আনন্দে আটখানা। পিছনের চাকার দুপাশেসাদা নীল রঙের স্টিকারে ঢাকা দুটো বোর্ডমিষ্টিআওয়াজের বেল।স্বভাববশত মা এর সেই পুরনোদিনের আবেগভালোবাসা ছেলেটির মধ্যেওসঞ্চারিত হল। বহুদিন ধরে ছেলেটির দাদু পরমমমতায় সাইকেলটির প্রত্যেক কলকব্জাতে তেলদিয়ে তাকে সচল রেখেছিল।আর ছেলেটিওজানতোজীবনে কোনো জিনিস থেকে কিছু পেতেহলে তাকে ভালোবাসতে হয়,তার যত্ন করতে হয়।তাইসেও সেই পুরাতন অথচ টাটকা সাইকেলটির খুব যত্নকরত।সাইকেলটাকে ওও খুব ভালোবাসাতো।

কিন্তু সমস্যা হল সেই ল্যাডিস সাইকেল।কারনমানুষের মধ্যে যেমন লিঙ্গভেদ রয়েছে,আর তামাথায় রেখেই বস্ত্র,জুতো থেকে সাইকেলের গঠনপর্যন্ত আলাদা। অনেক শক্ত সামর্থ্য মানুষ,হোমড়াচোমড়া ছেলে ছোকড়া কিংবা বয়স্ক মানুষ ল্যাডিসসাইকেল চালালে কেউ আওয়াজ দেয় না,টিটকিরিকাটে না। কিন্তু স্কুলের নরম,শান্ত,আখ্যায়িতলেডিস” ছেলেটি যদি অফিসিয়ালি রোজ লেডিবার্ডসাইকেল নিয়ে স্কুল থেকে পড়ার ব্যাচে পড়তেযায়,সমস্যা গুরুতর হয়ে দাঁড়ায়। ছেলেটির থেকেওছেলেটির সাইকেল এর উপর সবার রাগ আরোসাংঘাতিক বেড়ে যায়।হনহন করে সাইকেল চালিয়েস্কুলে ঢুকলেই ,বন্ধুরা আওয়াজ দিল,’এসে গেছেলেডিস।‘ উঠতে ‘লেডিস,বসতে লেডিস।‘ মাঝে মাঝেনিজের উপর থেকে নিজের আত্মবিশ্বাসই চলে যেতছেলেটির।আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সারা শরীরটাদেখত আর ভাবতো,”আমি কি সত্যি লেডিস?”

স্কুল ছুটির  পর মাঠের কাছে এসে সাইকেল নিতেএসে দেখল সাইকেলের পিছনের চাকায় হাওয়াছেড়ে দিয়েছে ‌।আর দূরে দাঁড়িয়ে বাচ্চু,শুভ্র,অলোকসবাই দাঁত বের করে হাঁসছে ।প্রায় দিনই ধূলোর মধ্যেসব সাইকেল দিব্যি খাঁড়া হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতশুধুলেডিবার্ড ধূলোয় মুখ থুবড়ে পরে থাকতো।সাংঘাতিক কষ্ট হত।মেরে মেরে,ঘা দিতে দিতেসাইকেলটা দুর্বল হয়ে যেত। ছেলেটির বাবা সারিয়েদিত,আর তারপরই সাইকেলের উপর উঠে বসলেহাওয়ার বেগে ছুঁটে যেত।

ক্লাস এইটে সাগরদার ব্যাচে চুল কোঁকড়া কোঁকড়া,ফর্সা,টিকালো নাক,টানা টানা চোখের একটি মেয়ে,নাম সেবন্তী পড়তে আসল।বাকি তিন চারটিমেয়েদের থেকে নজর সব ছেলেদের তখন সেবন্তীরউপর গিয়ে পড়ল। কিন্তু অনু পরমানুর অঙ্ক,ভৌতবিজ্ঞানের চিহ্নসংকেত কিংবা জীবন বিজ্ঞানেরকলা কোষের অধ্যায়গুলোর উপর ছেলেটিরসাংঘাতিক দখল ছিল,সবার আগে হাত তুলেছেলেটি বলে দিত।তাই সব ছেলেগুলো সেবন্তীরপাশে বসতে চাইলেও,সেবন্তী ছুঁতো করে ওইছেলেটির পাশে এসে বসত। মাঝে মাঝে দুজনেএকটু আগে এসে সেবন্তী ঐকিক নিয়মের অঙ্ক গুলোদেখে নিত,আর ছেলেটির জন্য পারুল প্রকাশনীরভূগোল সহায়িকা বইটা ওর ব্যাগে যত্ম করে সেবন্তীঢুকিয়ে দিত।এই বই দেওয়া নেওয়া,এক স্যারের নোটগোপনে অন্য বন্ধুকে পাচার করে দেওয়া অথবাহ্যাপি নিউ ইয়ারে অজান্তেই ব্যাগের খোপের মধ্যেগোলাপি রঙের খামে গ্ৰিটিংস কার্ড,এটাই ছিলভালো লাগা,রাতে না ঘুমোনোর গুরুতর কারন।

ছেলেটির শত্রূ বেড়ে গেছিল অগোচরেই।সে দিন খুবঝড় বৃষ্টি হয়েছিল।রাস্তাঘাট অন্ধকার ছিল। মেয়েদেরমা বাবারা এসে সবাই সবাইকে নিয়ে চলে গেছে।পুকুর ধারটার কাছে যখন সাইকেল নিয়ে ছেলেটিএসে পড়েছেঠিক তখনই সামনের চাকায়অনেকগুলো লাঠির বারি।সবাই আগে অন্ধকারেসাইকেলটাকে প্রায় পিটিয়ে ,গায়ে কাঁদা মাটি মাখিয়েদূরে কাঁটা ঝোপের মধ্যে ফেলে দিল। তারপরহিসহিস করে অর্ঘ্য বলে উঠল,’কি রে মাগী?সেবন্তীরগায়ের সাথে লেপ্টে থাকিস। খুব মজা লাগে না রে ?বুকে হাত টাত দিস নিতোর তো কিছু নেই!!এতছুলুক বুলুক তোর। দাঁড়া।এই বলে অন্ধকারে ওকেদুজন চেপে শুয়ে দিল।আর অর্ঘ্য প্যান্টের চেন খুলেসারা মুখে হিশু করে দিল।বলল শোন ,’আমি ক্লাসেরফার্স্টবয়তোর তো মাগী ১২ রোল নম্বর।সেবন্তী শুধুআমার।কাল থেকে যদি ওর কাছে বসিস,তোরল্যাদাপুটি বের করে দেব।শালা!দূর !মাকড়া।

সেদিন বাড়িতে খুব কান্নাকাটি করল ছেলেটি।বলল,’ তোমরা আমাকে একটা জেন্টস সাইকেল কিনেদিতে পার না!এতো বড়ো বড়ো কথা বল কেনতোমরা?কোথাও যেতে পারি না।আমাকে সবাইলেডিস বলে,মাগি বলে।কেন?কেনআমার একদমশুনতে ভালো লাগে না। তোমাদের কোন তাগিদনেইদায়িত্ব নেইআমি কাল হেঁটে যাব স্কুলে।চিৎকার করে বলে উঠেছিল,’ওই সাইকেল আমিভেঙে ফেলে দেবকাল থেকে হেঁটে হেঁটে যাব।আমার লজ্জা করে ওই সাইকেল নিয়ে যেতে!’

সকাল বেলায় যখন ছেলেটি পড়ছিল,মা এসে বলল, ‘১২ রোল নম্বর তোর।হয়  কেটে   অথবা  কেটে রোল নম্বরের হ।তোর সাইকেলটা আসলে ছুঁতো।সেদিন তুই সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে যেতেপারবি,যেদিন তুই অনেক বড় হবি।কেউ কোনদিনকিছু বলবে না। কাউকে সুযোগ দিস না বলার,নিজেশ্রেষ্ঠ মানুষ হ। দেখবি আর কেউ কিছু বলবে না

সেবন্তী খুব কষ্ট পেয়েছিল। ছেলেটি আর ওর পাশেবসত না,সবার শেষে ঠিক শুরু হবার আগের মুহূর্তেব্যাচে আসত।ক্লাস নাইনে ছেলেটি আচমকাই থার্ডহয়ে গেল। কিন্তু সেই ল্যাডিস সাইকেল কিন্তু শতবাঁধা পেরিয়ে তখনও সজীব। অনেক বার সাইকেলটা বিক্রি করে দেবার মত হলেওশেষ পর্যন্ত চলেযাচ্ছে,চলুক না .. এরকম গোছের মানসিকতারদরুন সেটাও কোনদিন হয়ে ওঠে নি।কত বারতারপরও তারের ব্রেক কেটে গিয়েছে। আবারসারিয়েছে। একদিন বোধহয় সবাই হাল ছেড়ে দিল।অর্ঘ্যর সাথে সেবন্তীর প্রেমটাও দেখলো ছেলেটি।কিন্তু লেডিস ছেলেটি এখন আর কিছু গায়ে মাখেনা।সবাইকে একটু এড়িয়েই চলে।দু তিন জন বন্ধুওকে খুব ভালোবাসে। তাদের নিয়েই চলে।ওরাকোনদিন ওকে খেপাই নি আর বলত, ‘আরে বাবাসাইকেল ,সাইকেলই।তোর এইটা আছেতুই এইটাইচালাবি। তুই কি আবার কিনবি নাকি?’ এই বলেতন্ময় বলত, ‘ দে তোকাকিমার সাইকেল টা আমি চালাই,আর তুই আমারটা চালা।‘ এইভাবে ওরাসাইকেল চালাতে চালাতে চৌরঙ্গী, নং স্টেডিয়ামঅথবা জিওলডাঙা চলে যেত।

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর পর সাইকেলটার পিছনেসাংঘাতিক খরচা হতে শুরু হল।আর চলে না।৩০০টাকায় একটা লোককে অবশেষে বিক্রি করে দেওয়াহল সেই বহু পুরোনোসুখস্মৃতিদুঃখের স্মৃতিবিজড়িত লেডিবার্ড সাইকেল টা। তারপর আসলহারকিউলিস ক্যাপ্টেন। নতুন সাইকেলে করেছেলেটি যখন বাড়ি ফিরলনতুন সাইকেলে সেইফুরফুরে ,তুলতুলে , হাওয়ার বেগে ছুঁটে চলা ভাবটাইযেন আর পাওয়া গেল না।সেই পুকুর পারটার কাছেএসে যেখানে ওকে আর ওর সাইকেল টাকে চরমমার মারা হয়েছিল ,ঠিক সেইখানে অনেক ক্ষন চুপটিকরে দাঁড়িয়ে থাকল।বাতাসে তখন  অল্প অল্প ঠান্ডাবাতাস বইছিল।মাঝে মাঝে একলা পুকুরের সামনেদাঁড়িয়ে থাকতে খুব ভালো লাগে।

                                                               

সেদিনকার সেই ছেলেটি আজ অনেক বড় হয়েআপনার আমার মধ্যেই , আশপাশের পরিচিতমানুষদের মধ্যেই হয়তো সাফল্যের চূড়ায় আছে।সেহয়তো অধ্যাপক,কোন আন্তর্জাতিক কম্পানিরউচ্চপদস্থ অফিসার অথবা জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্তচলচ্চিত্র পরিচালক কিংবা অভিনেতা কিংবাগবেষক অথবা আরো অনেক না জানা অনেক কিছু।আর এরকম প্রত্যেকের জীবনে একটা লেডিসসাইকেল অথবা অন্য কিছু আছে  যেটা সাইকেলএর সিটে চাপিয়ে জীবনকে অনেকটা পথ এগিয়েদেয়।সেই মানুষগুলোই হয়তো তাদের পাড়াতে ,তাদের কাজের জায়গায় আজ স্বনামধন্য। কিন্তু সেযখন আবার সেই একই ঘটনা পাড়ার অন্যছেলেদের মধ্যে ঘটতে দেখেমুচকি হেসে হয়তো সবকটা ছেলেকে ঠান্ডা রেস্তোরাঁয় নিয়ে গিয়ে নিজেরজীবনের সেই ল্যাডিস সাইকেলএর গল্পটা বলেন।কোন একটা আশার জন্য,কোন একটা আলোরজন্য।

                    ‌‌                                       সমাপ্ত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *