আর রাখাল রাজার বাঁশি হতে পারলাম না
নিত্য রঞ্জন
:তুমি কি আর আসবে এই ঢেউ ভাঙা জীবনের স্রোতে ভেসে, মানুষ হতে পারেনি
গভীর রাত ভেঙে আমি যে মরনের তরে বেঁচে আছি, তবু মন আমারে কেড়েছে
দিন যত ছিল মাটির ঘরে জন্ম শিশু কথা বলতে শিখেনি, মাথা তুলে দাঁড়াতে
পারি না কোথায় যেন হারিয়ে গেছি সন্ধ্যা তারার দেশে তারপর, আর জানি না
জীবনের জোছনা একা-একা ঘর ভেঙেছে, আর একটা ঘরের খোঁজে চলেছে
দূরের আকাশ পথে এ কোন পথের প্রান্তে ধূলোয় ভরা পুজোর রথ
ভিখারি যে অন্তরকামী তুমি কি বুঝুনি, চোখের জলে ভেজা মুখখানি তাঁর
গহন পথের প্রেম, তুমি কি জানো না খাতার হিসাব পড়ে আছে
মন করেছে একা খেলা, এ কোন খেলা, শেষ করেছে, একটা জীবন সাথী
বুনোফুল অন্ধকার সকালে ঝরেছে, বুনো মেঘ এখন ঘুমিয়ে আছে চাষা মাটির মতো
আমার স্বপ্নে ভেজা বিছানায় শুয়ে আর কত স্বপ্ন দেখব চাঁদের আলো
হরি লুটের বাতাসার মতো নিয়েছে কেউ লুটে, পায়ের কাছে কোন সে আমার ;
একদিনের বেঁচে থাকার আশা, এই মৃত্যু কালে মনে পড়ে প্রথম দিনের ভালবাসার চাদর খানি, শীতের সকালে মেলা কবিতার হাতের প্রেমের চিঠি
আজ যে আমি বারেবারে খুঁজি বুনোমহিষের মতো আর বুঝি এলো না
মেঘ বালিকা হেসে হেঁসে কোথায় যেন হারিয়ে যায়
আমার আর রাখাল রাজার বাঁশি হতে পারলাম না।
————————————————————————–