জ্বালানির দাম
ভুবন বন্দ্যোপাধ্যায়
জ্বালানির দাম বাড়ে
দিন দিন ওই,
বাস সব ঠিক মত
চলে আর কই ?
তার সাথে বাড়ে দাম
আছে যত পণ্য,
চুপ করে থাকি সব
হয়ে আছি বন্য ।
পরস্পরে দোষারোপ
এই খেলা নিত্য,
পাই নাতো ভেবে আর
কারা বলে সত্য ।
যাঁতাকলে পেষা যায়
গরীবের দল,
যত দাম বাড়ে তত
চোখে আসে জল ।
ধ্বংসের পথে হাঁটে
সেই দেশ জাতি,
জ্বালানির দাম যদি
বেড়ে যায় অতি ।
————
৩) দুগ্গা মা
ভুবন বন্দ্যোপাধ্যায়
দুগ্গা মা তোর অঙ্গে কত
দামি শাড়ি গয়না,
ছেলে দুটোর কেন তবে
গেঞ্জি জামা হয়না ।
মেয়ে দুটো তোরই মত
রয়েছে কত সেজে,
ছেলেগুলোর হাল দেখে
বলবে লোকে কি যে ।
সস্তা দামের একটি করে
ধুতি ওদের সার,
চুড়িদারটা কিনতে টাকা
লাগত কত আর ?
এবার থেকে ছেলেগুলোর
কিনবি সাজ তবে,
হাল ফ্যাশনের দোকানে যে
সবই মিলে যাবে ।
আবার বলি সেকেলে সব
অস্ত্র মা তোর হাতে,
মর্তে অসুর ওসব দেখে
ভয় করেনা তাতে ।
মর্তে ওদের মারবি যদি
নতুন শক্তি ধর,
গ্রেনেড আর বন্দুক নিয়ে
তুই মা যুদ্ধ কর ।
===================
৪) চাষির কথা
ভুবন বন্দ্যোপাধ্যায়
বরষা এলে ভরসা জাগে
আসবে বুঝি সুখ,
জলে কাদায় চাষটি করি
আনন্দে উন্মুখ।
ধানের চারা ডাগর হলে
স্বপ্নে মন ভরে,
এবার বুঝি দুঃখ আর
থাকবে নাতো ঘরে ।
পাকলে ধান হতাশ হই
দামটি শুনে তার,
ফুলেই ওঠে মহাজনের
তখন কারবার ।
আপন মনে ভাবি তখন
কষ্টই শুধু সার,
অভাব যেন মোদের ছেড়ে
যায়না দূরে আর ।
————
৫)গ্রামের কথা
ভুবন বন্দ্যোপাধ্যায়
কফি হাউস রেঁস্তোরাটা
আমরা কোথা় পাই,
কাব্য কথা বলতে সবাই
গাছতলাতে যাই ।
কিম্বা নদীর বালুচরেই
একসাথে সব বসে,
গান গপ্পে সবাই মিলে
আড্ডা জমাই কষে ।
মাথার পরে নীল আকাশ
পাখপাখালির ঝাঁক,
কুল কুল কুল শব্দ নদীর
বালি হাঁসের ডাক ।
মোল ফুলের গন্ধে মাতাল
আমরা যে সব হই,
অন্য নেশা নেইতো কিছুই
ওতেই বিভোর রই ।
কাশের ঝোপে গঙ্গা ফড়িং
শাল পিয়াল বন,
সবুজ গ্রাম চারপাশে তার
সবুজ সবার মন ।
মাঠে মাঠে সোনার ফসল
বাউল গান সুর,
দুঃখ হাজার তবুও থাকি
আনন্দে ভরপুর ।
আমরা লিখি গাঁয়ের কথা
কলকাতা নয়তো,
তাই বুঝি সব অজ্ঞ হয়ে
রয়ে গেছি হয়তো ।
————