ঝাঁটা
(অণুগল্প)
রাজকুমার সরকার
আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি। আমাদের ভালোবাসা রাধাকৃষ্ণের ভালোবাসাকেও হার মানাবে।
তা বটে, শোনো না- আমি একটু আসছি লছমনপুর থেকে।ছেলেগুলো সকাল থেকে ডাকছে, পার্টি মিটিং বলে কথা।
যাবে?
যাও তাহলে।
বেশি দেরী কোরো না।তুমি না থাকলে একদম ভালো লাগে না।
— এই শুনছো, কিছু টাকা দিয়ে যাও যদি কম্বলওয়ালা আসে তাহলে নরম কম্বলটা কিনেই নেবো।ওটাতে খুব গরম বাঁধবে। ও তো সেটাই বলেছে সেদিন।
—- শোনো না, আমার হাতে এখন অত টাকা নেই, বাদ দাও।পরে নেবে।
— তাহলে তোমাকে যেতে হবে না।বাড়িতেই থাকো।
— লক্ষ্মীটি, বোঝো না কেন, পার্টির ছেলেগুলোকে হাতে রাখতে হয়।বিপদে আপদে কাজে লাগবে তারা।
— আমি পার্টির নিকুচি করি। টাকা ফেলো এখনই ….
সমস্যা।
বিয়ে করতে কে বলেছিলো?
টাকা দেওয়ার মুরাদ নেই তো?
সেটাও বটে।
তবে রাধাকৃষ্ণের প্রেম কেমন ছিল?
ফেলো বলছি নতুবা ….
কি করবে?
দেখবে?
না না তা বলছি না জানতে চাইছি।
ওরা ঠাকুর বাকুর ওদের প্রেমের সাথে কি আমাদের সাজে?
তুমি তো বলেছিলে, আমাদের প্রেম রাধাকৃষ্ণের মত।
বেশি তর্ক কোরো না, টাকা ফেলো।
এই নাও পাঁচ’শ টাকা।
হবে না।
হবে না মানে?
চওড়া বড় কম্বলটা নিলে হাজার টাকা লাগবে।
তুমি ছোটটা নেবে।বড়টার কি প্রয়োজন?
ছোটটায় দুজনের হবে না।
তুমি কোন স্কুলে পড়েছো গো?
তোমার জন্য ছোটটাই নাও। আমার লাগবে না। আমার শরীরে ঠান্ডা লাগে না।সামনে ভোট কখন তুমি বুঝবে লক্ষ্মীটি আমার ….?
বৌ এর মুখ দিয়ে বেরিয়ে এলো তোমার পার্টির মুখে ঝাঁটা।